Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শীতের সন্ধ্যায় পিঠার আমেজ নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৯ নভেম্বর, ২০২২, ১২:০১ এএম

শীতের সন্ধ্যায় গরম গরম পিঠা ছাড়া যেনো শীতকে অপূর্ণ মনে হয়। শীত আর পিঠা যেন একে অপরের পরিপুরক। শীতকাল আসলেই বাহারি রঙের পিঠা বিক্রির ধুম বেড়ে যায়। ক্যালেন্ডারে পাতায় এখনও শীতকাল না আসলেও প্রকৃতিতে বইতে শুরু করেছে শীতের আমেজ। শীতের আমেজ আসতে না আসতেই জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থানে বসেছে মৌসুমি পিঠার দোকান। আর এসব দোকানকে ঘিরে জমে উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের আড্ডা। সকাল গড়িয়ে সন্ধ্যা নামার সাথে সাথেই এসব দোকান চালু হয়। দোকানের আশে পাশে বসে ছোট ছোট আড্ডার আসর।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ম এবং ২য় গেট সংলগ্ন রাস্তার দুই পাশে ছোট ছোট পিঠার দোকান বসলেও ১ম গেটের পিঠার দোকানগুলোতে সবচেয়ে বেশি পিঠা বিক্রি হচ্ছে।
অনেকগুলো চুলায় একসঙ্গে পিঠা তৈরি হচ্ছে। আতপ চালের আটা দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে চিতই পিঠা আর সেদ্ধ চাল দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে ভাপা পিঠা। পিঠা তৈরির দোকানগুলোতে কারিগর হিসেবে নারীদেরকেই বেশি দেখা যায়। গরম গরম পিঠা শিক্ষার্থীদের আড্ডার আসরে পৌঁছে দিচ্ছেন দোকানের কর্মচারীরা। গরম পিঠার সঙ্গে নানা রকম ভর্তা যেন আড্ডাকে আরো মুখরোচক করে তুলেছে। পিঠার আড্ডায় কেউ বা প্রিয়তমার কাঁধে মাথা রেখে করছে আলাপ, আবার কেউ বা বন্ধুদের সঙ্গে মেতে উঠেছে গল্প-আড্ডায়। কিছু দোকানে বসার ব্যবস্থা না থাকলে পিঠাপ্রেমীরা দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছেন পিঠার জন্য। কেউ পিঠা খাচ্ছেন, আবার কেউবা নিয়ে যাচ্ছেন।
পিঠা খেতে আসা আইন ও বিচার বিভাগের শিক্ষার্থী আহসান হাবীব বলেন ‘এখানকার পিঠা খেতে অসাধারণ। তাই বন্ধুদের সঙ্গে পিঠা খেতে এসেছি। আর সঙ্গে চলছে আড্ডা। আমরা আমাদের পরিবারের সঙ্গেও পিঠা খেয়ে থাকি। কিন্তু সেখানকার মজা আর এখানকার পিঠা খাওয়ার মজা আলাদা’।
সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী কামরুল হাসান সজিব বলেন, ‘বন্ধুদের সাথে বসে পিঠা খাওয়ার মজাই আলাদা। এই শীতের শীতল বাতাসে বসে এক সাথে বসে পিঠা খাচ্ছি, গান করছি, আড্ডা দিচ্ছি অন্যরকম এক ভালোলাগা কাজ করছে’।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম গেটে প্রতিবছর পিঠা বিক্রি করেন হালিমা বেগম। তিনি বলেন, ‘প্রতিদিন বিকেল ৫টা থেকেই আমাদের পিঠা বানানোর প্রস্তুতি শুরু হয়। এই সময়ের মধ্যে প্রতিদিন ভাপা পিঠার জন্য ১৫ কেজি এবং চিতই পিঠার জন্য ২০-২৫ কেজি চাল লাগে। প্রতিদিন প্রায় ১৫০০ থেকে ২ হাজার টাকা বিক্রি হয়। শীত আরো বাড়লে বাড়বে বিক্রিও।
পিঠা খেতে খেতে কথা হয় বিক্রেতা রুবেল মিয়ার সাথে। তিনি বলেন ‘আমরা বিকেল থেকে প্রতিদিন রাত ৯টা পর্যন্ত এখানে পিঠা বিক্রি করি। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি বাইরে থেকে অনেকেই এখানে পিঠা খেতে আসেন। প্রতিদিন ২ হাজার টাকার উপরে বিক্রি হয়। প্রতিটি চিতই পিঠা ১০ টাকা এবং প্রতিটি ভাপা পিঠা ১৫ টাকায় বিক্রি করা হয়। সব কিছুর দাম বাড়লেও পিঠার দাম আগের মতই আছে। সব মিলে দিনে ৩০০-৪০০ টাকার মতো লাভ থাকে’।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ