Inqilab Logo

রোববার, ০৭ জুলাই ২০২৪, ২৩ আষাঢ় ১৪৩১, ৩০ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

৬৩ হাজার ভোটারের জন্য ব্যয় সোয়া ৫ কোটি টাকারও বেশি

| প্রকাশের সময় : ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : জেলা পরিষদের ৬৩ হাজার ভোটারের জন্য সোয়া ৫ কোটি টাকার বেশি অর্থ ব্যয় করছে নির্বাচন কমিশন। এর সঙ্গে আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর ব্যয় যোগ হলে মোট খরচ আরও বাড়বে বলে নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। নির্বাচন কমিশনের বাজেট শাখার উপ-সচিব শাহেদুন্নবী চৌধুরী ইনকিলাবকে বলেন, জেলা পরিষদ নির্বাচনের জন্য বাজেট প্রস্তুত করা হয়েছে। প্রয়োজন অনুযায়ী অর্থ ছাড় দিচ্ছেন তারা। আর বাজেট শাখার জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব এনামুল হক বলেন, নির্বাচন পরিচালনা খাতেই সোয়া ৫ কোটি টাকার বেশি বাজেট ধরা হয়েছে। পরে আইন শৃঙ্খলা খাতের ব্যয় যুক্ত হবে।
নির্বাচনী সামগ্রী, ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের পারিশ্রমিকসহ বিভিন্ন খাত মিলিয়ে ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ কোটি ৩২ হাজার টাকা। আর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও বিচারিক হাকিমদের দায়িত্ব পালনের জন্য এক কোটি টাকার বেশি বাজেট রাখা হয়েছে। আগামী ২৮ ডিসেম্বর দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো জেলা পরিষদে ভোট হবে। নির্বাচন উপলক্ষে ১২ ডিসেম্বর থেকে ১৮ দিনের জন্য ৯১ জন নির্বাহী হাকিম নির্বাচনী এলাকাগুলোতে নিয়োজিত থাকবেন। এছাড়া ভোটের সময় চার দিন ৯১ জন বিচারিক হাকিম থাকবেন আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর মোবাইল-স্ট্রাইকিং ফোর্সে। তাদের দায়িত্ব পালনের সময় জ্বালানি, আপ্যায়নসহ আনুষঙ্গিক খরচ ধরে কোটি টাকার বাজেট ঠিক করা হয়েছে।
ইসি সচিব মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ ইনকিলাবকে বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনার জন্যে সব ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। প্রয়োজন অনুযায়ী স্থানীয়ভাবে আইন শৃঙ্খলাবাহিনীও যথাসময়ে নিয়োজিত থাকবে। ২০১১ সালের ১৫ ডিসেম্বর সরকার ৬১ জেলায় আওয়ামী লীগের জেলা পর্যায়ের নেতাদের প্রশাসক নিয়োগ দেয়। অনির্বাচিত এই প্রশাসকদের মেয়াদ শেষেই ডিসেম্বরে নির্বাচন হচ্ছে। জাতীয় সংসদ, সিটি করপোরেশন, উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদে জনগণের প্রত্যক্ষ  ভোটে নির্বাচন হলেও জেলা পরিষদ আইনে প্রত্যক্ষ ভোটের বিধান নেই। আইন অনুযায়ী প্রত্যেক জেলার অন্তর্ভুক্ত সিটি করপোরেশনের (যদি থাকে) মেয়র ও কাউন্সিলর, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র ও কাউন্সিলর এবং ইউপির  চেয়ারম্যান ও সদস্যরা এ নির্বাচনে ভোট দেবেন। সব মিলিয়ে ৬৩ হাজার ১৪৩ জন ভোটারের মধ্যে পুরুষ ৪৮ হাজার ৩৪৩ জন, নারী ১৪ হাজার ৮০০ জন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইসি’র এক কর্মকর্তা জানান, সংসদে ৩০০ আসনে নির্বাচন করতে প্রায় ৫০০ কোটি টাকা লাগে। সর্বশেষ দশম সংসদ নির্বাচনে ১৫৩ আসনে প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার পর বাকি অর্ধেক এলাকায় ভোট করতেই ২৬৫ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। সেই বিচারে ৬১ জেলায় ভোট করতে সোয়া ৫ কোটি টাকা ব্যয় স্বাভাবিক বলেই তারা মনে করছেন।  ২৮ ডিসেম্বর সকাল ৯টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত জেলা ও উপজেলা পরিষদে ওয়ার্ডভিত্তিক কেন্দ্রে ভোট চলবে। প্রতিটি জেলা পরিষদকে ১৫টি সাধারণ ও ৫টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে বিভক্ত করা হয়েছে। প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি করে ভোটকেন্দ্র স্থাপন করা হবে। প্রত্যেক কেন্দ্রে পুরুষ ও নারীদের জন্য আলাদাভাবে একটি করে ভোটকক্ষ থাকবে। ৬১ জেলায় ৯১৫টি সাধারণ ওয়ার্ড ও ৩০৫টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড রয়েছে। সেই হিসাবে ভোটকেন্দ্র থাকছে ৯১৫টি ও ভোটকক্ষ থাকছে ১৮৩০টি। তিন পার্বত্য জেলা বাদে বাকি ৬১ জেলায় চেয়ারম্যান, ১৫ জন করে সাধারণ ও পাঁচজন করে সংরক্ষিত মহিলা সদস্য নির্বাচিত হবেন এই ভোটের মাধ্যমে। চেয়ারম্যান পদে ইতোমধ্যে ২২ জেলায় ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। বিএনপি ও জাতীয় পার্টির বর্জনের মধ্যেও বাকি ৩৯ জেলায় প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন ১২৪ জন প্রার্থী। সাধারণ সদস্য পদে ২৯৮৬ জন ও সংরক্ষিত (নারী) সদস্য পদে ৮০৬ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন। সাধারণ সদস্য ১৩৯ ও সংরক্ষিত সদস্য পদে ৫৩ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ