পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রায়হান গ্যাংয়ের সঙ্গে আমার ছেলের কী নিয়ে বিরোধ থাকবে? বুঝলাম সে (রায়হান) একটা খারাপ মানুষ। কিন্তু আমাকে বোঝান, আমার ছেলেটাই কেন তার টার্গেটে পড়বে? সে কেন ওখানে (চনপাড়ায়) যাবে? কীভাবে সম্ভব সেটা! কোন তথ্যের ভিত্তিতে দেখাবেন সেখানে আমার ছেলেটা মুভ করেছে? সে যদি সেখানে না থেকে থাকে তাহলে এসব বলার অর্থ কী?’
বুয়েট ছাত্র ফারদিন নূর পরশের বাবা কাজী নূরউদ্দিন রানা ছেলের হত্যায় চনপাড়ার রায়হান গ্যাং জড়িত বলে র্যাব কর্মকর্তারা গণমাধ্যমে যে বক্তব্য দিচ্ছেন তার প্রতিক্রিয়ায় এসব কথা বলেন। গতকাল বৃহস্পতিবার ডিবি কার্যালয়ে ছেলে হত্যার তদন্ত-সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন নূর উদ্দিন। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। নূর উদ্দিন বলেন, ‘আমার ছেলে হত্যার শিকার হয়েছে। আর মামলাটা কী? এসব বলে মামলাটাই পাল্টে দিচ্ছেন। আগাম কথাবার্তা বলা উচিত নয়।’
মামলায় কোনো মোটিভ পাওয়ার বিষয়ে তদন্তকারী সংস্থা কিছু জানিয়েছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে নূর উদ্দিন রানা বলেন, ‘না, আমাকে সেরকম কিছু জানানো হয়নি। তারা (ডিবি) আমাকে ডেকেছে, ছেলের পড়াশুনা, বয়স, মাদকে জড়ানোর বিষয়ে জানতে চেয়েছে। সে মুক্তমনা ছিল কি না, যেসব জায়গায় গিয়েছে সেসব জায়গায় অন্য কোনো বন্ধু রয়েছে কি না, এসব বিষয় জানতে চেয়েছে।’
নূর উদ্দিন রানা বলেন, পরিবারের সঙ্গে পরামর্শ করে বা জানিয়ে সব কিছু করতো ফারদিন। নিখোঁজ হওয়ার আগ পর্যন্ত সে তার মাকে যা জানিয়েছে, সে অনুযায়ী চলতে দেখেছি। কিন্তু এখন ঠিক বুঝতে পারছি না সে আসলে কেন গিয়েছিল যাত্রাবাড়ীতে।’
তিনি বলেন, আমার ছেলে কখনো ধূমপান করত না। এমনকি ধোঁয়াও সহ্য করতে পারত না। আমার ছেলে ছোটবেলা থেকেই গল্প উপন্যাস পড়ে বড় হয়েছে। বিদেশ যাওয়া হলো না বলে ভেঙে পড়ার মতো ছেলে সে নয়। তিনি বলেন, ‘বুশরার জন্য প্রচÐ রকমের খারাপ লাগা তো আছেই। কিন্তু বুশরার সঙ্গে ফারদিনের ৫/৬ ঘণ্টা কাটানোর কথা নয়। এই মেয়ে এতটা সময় কাটানোর কথা নয়। আমি নিশ্চিত করে বলতে পারছি না বুশরা জড়িত নয়।’
নূরউদ্দিন বলেন, র্যাব থেকে তথ্য সংগ্রহের জন্য আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। তবে মামলা দায়েরের পর থেকে তারা কোনো আপডেট দেয়নি। এই যে ম্যাসেজটা দিলো, কারা দিলো, কোন সংস্থা দিলো তা আপনারা জানেন। বিচারাধীন বিষয়ে এমন তথ্য দেওয়াটা কতটা যথাযথ? ওখানে যে ফুটেজ দেখানো হলো, রায়হান গ্যাংয়ের সঙ্গে আমার ছেলেটার কী বিরোধ থাকবে?’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।