Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আইএমএফ জানতে চাওয়ার পরই রিজার্ভ কমল কীভাবে? : মানববন্ধনে রিজভী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৮ নভেম্বর, ২০২২, ১২:০৫ এএম

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগ বলে রিজার্ভে নাকি এখনো ৩৫ বিলিয়ন ডলার আছে। আইএমএফ (ইন্টারন্যাশনাল মনিটারি ফান্ড) বাংলাদেশ ব্যাংককে বললেন হিসাব দেন। বাংলাদেশ ব্যাংক বললেন ২৪ বিলিয়ন ডলার রিজার্ভ আছে। আওয়ামী লীগ বলে ৩৫ বিলিয়ন ডলার, আর বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে ২৪ বিলিয়ন ডলার। যেই আইএমএফ হিসেব চাইল তখনই হঠাৎ করে কমে গেল কেনো? বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর তো আপনাদেরই লোক। বাতাসে কিন্তু অনেক কথা বেরিয়ে যাচ্ছে। প্রকৃত রিজার্ভ তার চেয়েও কম। রাজকোষ শ‚ন্য অবস্থায় এসে পড়েছে। এই দেশের পরিস্থিতি খুবই ভয়ঙ্কর অবস্থায় আছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মুন্সিগঞ্জ জেলা বিএনপির উদ্যোগে ওই জেলার সদস্য সচিব কামরুজ্জামান রতনের মুক্তির দাবিতে এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ব্যাংকগুলোতে কোনো টাকা-পয়সা নেই। সব শ‚ন্য অবস্থায়। আওয়ামী লীগ কত লুটপাট করেছে যে আজ খেলাপি ঋণ ১ লাখ ৩৪ হাজার কোটি টাকা। আর বিএনপি যখন ক্ষমতা ছাড়ে তখন খেলাপি ঋণ ছিল শুধু চার হাজার কয়েকশো কোটি টাকা। এই ১ লাখ ৩৪ হাজার কোটি টাকা ঋণ খেলাপি হয়েছে এই টাকা কে নিয়েছে? এই টাকা সব আওয়ামী লীগ নিয়েছে। আওয়ামী লীগের নেতারা আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠজনেরা নিয়েছে। দেশের ঋণ খেলাপি কে তার জন্য একটা তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। যারা ঋণ খেলাপি তারাই সেই কমিটির সদস্য।

শেখ হাসিনার উদ্দেশ্যে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, শেখ হাসিনা ফুটবল খেলার মাঠে কিন্তু আত্মঘাতী গোলও আছে। অর্থাৎ নিজেদের প্লেয়ার নিজেদের গোল পোস্টেই গোল করে দেয়। ওবায়দুল কাদেররা কিন্তু সেই ধরনের আত্মঘাতী খেলোয়ার। ওবায়দুল কাদের, হাছান মাহমুদ যখন বিপদে পড়বে তখন সে বলবে ঋণ খিলাপির টাকা, উন্নয়নের বুলি বলে লুটপাট করে বিদেশে টাকা পাচারে সাথে শেখ হাসিনা ওয়াজেদ জড়িত। যেমন ওয়ান ইলেভেনে ওবায়দুল কাদের, জলিল, শেখ হাসিনার ফুফাতো ভাই শেখ সেলিম বলেছে শেখ হাসিনা কার কার কাছ থেকে চাঁদা নিয়েছে। তাই ওবায়দুল কাদের যখন খেলার কথা বলবে তখন শেখ হাসিনা আপনিও সাবধান হয়ে যান কারণ সে বিপদে পড়লে আপনার সব কথা কিন্তু সে বলে দিবে।

তিনি বলেন, আমাদের নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনে বাধা দিচ্ছেন। গ্রেফতার করছেন মারধর করছেন। নিউটনের তিনটা সূত্র তৃতীয় নাম্বারটা হল আপনি যেভাবে আঘাত করবেন তার বিপরীত সমান প্রতিঘাত হবে। যে অন্যায় করছেন বিএনপির সাথে, হত্যা নির্যাতন গ্রেপ্তার করছেন। খুলনা বরিশাল বিএনপির বড় বড় সমাবেশগুলোর আগে যেভাবে বিএনপি নেতাকর্মীদের উপর হামলা করছেন রক্তাক্ত করছেন সমানভাবে এর প্রতিঘাত জনগণকে সাথে নিয়ে দেয়া হবে।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, কামরুজ্জামান রতনকে গ্রেফতার করেছে যাতে ১০ ডিসেম্বর সমাবেশে লোকজন কম হয়। কিন্তু এটা আপনাদের ভুল পলিসি। কামরুজ্জামান রতনকে গ্রেফতার করার কারণে মুন্সীগঞ্জের নেতাকর্মীরা জনগণ আরো ঐক্যবদ্ধ হয়ে ১০ ডিসেম্বর সমাবেশকে সাফল্যমন্ডিত করবে। তিনি অবিলম্বে কামরুজ্জামান রতন সহ গ্রেপ্তারকৃত নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন।

মানববন্ধনে মুন্সীগঞ্জ জেলা বিএনপির সদস্য শাহজাহান খানের সভাপতিত্বে ও আবদুল কুদ্দুস ধীরেনের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, কেন্দ্রীয় নেতা আ ক ম মোজাম্মেল হক, আলী আজগর রিপন মল্লিক, শহীদুল ইসলাম শহীদ, যুবদলের সোহেল আহমদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের আওলাদ হোসেন উজ্জ্বল সহ মুন্সীগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানা ও ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকবৃন্দ। এসময় মুন্সীগঞ্জ জেলা বিএনপির সদস্য প্রকৌশলী মোঃ মাহবুব আলম, মহিউদ্দিন, স্বেচ্ছাসেবক দলের ডা. জাহেদুল কবির জাহিদ, শাহ আলম, এসএম জাহাঙ্গীর সহ অসংখ্য নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ