পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : দেশ স্বাধীনের ৪৫ বছর অতিক্রান্ত হলেও স্বাধীনতার লক্ষ্য ভূখ- অর্জিত হয়েছে কিন্তু জনগণ আজও স্বাধীনতার সুখভোগ করতে পারেনি। স্বাধীনতা অর্জনে আলেম সমাজের ব্যাপক ভূমিকা থাকলেও স্বাধীনতার প্রশ্নে আলেমদেরকে বিতর্কিত করা হচ্ছে। এ চক্রান্ত প্রতিহত করতে হবে। দেশের স্বাধীনতা রক্ষা এবং জনগণকে স্বাধীনতার সুফল দিতে সরকার ও বিরোধী দলকে জনগণকে সাথে নিয়ে একযোগে কাজ করতে হবে।
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সভাপতি আল্লামা আব্দুল মুমিন শায়খে ইমামবাড়ি ও মহাসচিব আল্লামা নুর হোছাইন কাসেমী গতকাল এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, আজ আমাদের দেশের স্বাধীনতা অর্জনের ৪৭ বছর হয়ে গেছে, কিন্তু দেশের জনগণ স্বাধীনতার সাধ কতটুকু পেয়েছে তা আজ ভাববার বিষয়। দেশের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষ এখন ও দরিদ্রসীমার নীচে বসবাস করছে, মানুষের জীবনের নিরাপত্তা আজও হুমকির সম্মুখিন। অন্ন, বস্ত্র, শিক্ষা, চিকিৎসা ও বাসস্থানের অভাবে দেশের অনেক জনগণ মানবেতর জীবন যাপন করছে। তাই, দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা, দেশের জনগণের ঐক্য ও সংহতি রক্ষা, দেশের মানুষের জান-মাল ও ইজ্জতের নিরাপত্তা রক্ষায় সরকার, জনগণ ও রাজনৈতিক দলগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে। স্বাধীনতার পূর্ণ সাধ যাতে দেশের জনগণ ভোগ করতে পারে। সে হিসাবে সরকার ও বিরোধী দলকে জনগণকে সাথে নিয়ে কাজ করে যেতে হবে।
ইসলামী আন্দোলন উত্তর-দক্ষিণ
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেছেন, বাংলাদেশ স্বাধীনতার পিছনে মুসলমানদের সবচেয়ে বেশি অবদান। ১৯৪৭ সালে মাওলানা শাহ আব্দুল আজিজ মুহাদ্দিস দেহলবী রহ. ভারতকে দারুল হারব রাষ্ট্র ঘোষণা না দিলে এদেশ স্বাধীন হতো কিনা তা বলা কঠিন। স্বাধীনতার ৪৫ বছর পর এসে যারা ধর্মনিরপেক্ষতার ঘোষণা দেয় তারা আসল ইতিহাসকে গোপন করছে। স্বাধীনতার ঘোষণায় ধর্মনিরপেক্ষতার কথা ছিল না। ৭৫ সালে ধর্মনিরপেক্ষতা সংযোজন করা হয়। বিজয় হয়েছে একটি দেশের, ভূ-খ-ের, স্বাধীন হয়নি এদেশের মুসলমানদের। ৭১-এ দেশের জনগণ যে আশা ও চেতনা নিয়ে জীবন দিয়ে পাকিস্তানীদের কাছ থেকে বাংলাদেশের বিজয় ছিনিয়ে এনেছিলো তা আজও বাস্তবায়ন হয়নি। ৪৫ বছর পর এসে জাতিকে বিভক্ত করার চক্রান্ত দেশপ্রেমিক ঈমানদার জনতা জীবনের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে রুখবে।
গতকাল ১৬ ডিসেম্বর শুক্রবার বিকেলে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের উদ্যোগে পুরানা পল্টনস্থ আইএবি মিলনায়তনে ‘বিজয়ের ৪৫ বছর : প্রাপ্তি ও প্রত্যাশা’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথা বলেন। সংগঠনের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মাওলানা ইমতিয়াজ আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক মাওলানা এটিএম হেমায়েত উদ্দিন, মাওলানা গাজী আতাউর রহমান।
খেলাফত আন্দোলন
বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের আমির মাওলানা শাহ আতাউল্লাহ বলেছেন, স্বাধীনতা আল্লাহ তা‘আলার মহান নেয়ামত, কোন ব্যক্তি, গোষ্টি বা একক কোন দলের অর্জন নয়। উপমহাদেশের আজাদী আন্দোলন বাংলাভাষা আন্দোলন ও স্বাধীনতা সংগ্রামসহ সকল জাতীয় অর্জনে এদেশের আলেম সমাজের অগ্রণী ভুমিকা রয়েছে। অথচ আলেমদেরকে পরিকল্পিতভাবে স্বাধীনতাবিরোধী বানানো হচ্ছে। স্বাধীনতার প্রকৃত ইতিহাস জাতির সামনে তুলে ধরতে আলেমদেরই ভুমিকা রাখতে হবে।
আজ ১৬ ডিসেম্বর শুক্রবার সকালে রাজধানী ঢাকার কামরাঙ্গীরচর জামিয়া নুরিয়া মাদরাসায় মুক্তি যুদ্ধে শহিদদের রূহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন, এতে অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
দাওয়াতে ইসলামী
মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে দাওয়াতে ইসলামী বাংলাদেশর পক্ষ হতে আলোচনা মিলাদ ও দো’য়ার আয়োজন করা হয়। গতকাল দাওয়াতে ইসলামীর মাদানী মারকায ফয়যানে মদিনা জনপথ মোড়, সংগঠনের সভাপতি মুফতি জহিরুল ইসলাম মুজাদ্দেদী বলেন ১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবস নিঃসন্দেহে আমাদের প্রতি আল্লাহর নিয়ামত। আমাদের উচিৎ আল্লাহ তা’য়ালার এই নিয়ামতকে শুকরিয়া জ্ঞাপন করা। কেননা আল্লাহ তা’য়ালা পবিত্র কোরআনে তার নিয়ামতের শুকরিয়া জ্ঞাপন করার জন্য বারবার তাগিদ দিয়েছেন। যদি আল্লাহ তা’য়ালার নিয়ামতের শুকরিয়া জ্ঞাপন না করা হয়, তাহলে আল্লাহ তার নিয়ামত ফিরিয়ে নেন। তাই আমরা সকলে যেন আল্লাহর এবাদতের মাধ্যমে ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক এই আনন্দ প্রকাশ করি। তবে মনে রাখতে হবে রাসুল (সা.) উনার আগমন সবচেয়ে বড় নেয়ামত। আলোচনা শেষে শহীদদের রূহের মাগফিরাত ও বাংলাদেশের সর্বাঙ্গীণ কল্যাণ কামনা করে দোয়া করা হয়। মাহফিলে আগামী ২৮, ২৯, ৩০ ডিসেম্বর ৩ দিনের ইজতিমা ময়দান আসিয়ান সিটি, উত্তরা বিজয় দিবসের আলোচনা মিলাদ-কিয়াম ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। মাহফিলে আলোচকগণ, আসছে ২৮, ২৯, ৩০ ডিসেম্বর ৩ দিনের ইজতিমা সফল করার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।