পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জাতীয় শিক্ষা সিলেবাস থেকে ইসলামী শিক্ষা (এসএসসির বোর্ড পরীক্ষা থেকে ইসলাম শিক্ষা বাদ দেয়া), তাহজীব-তমদ্দুন ধ্বংসের চক্রান্ত, মাদরাসার পাঠ্যপুস্তকে বিজাতীয় সাংস্কৃতির অন্তর্ভুক্তি, মাদরাসা শিক্ষার মধ্যেও হিন্দুত্ববাদী শিক্ষা সংযোজন করে ইসলামী ও মাদরাসা শিক্ষার স্বতন্ত্র ও বৈশিষ্ট্য নষ্টের গভীর ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদ এবং মাদরাসার জন্য স্বতন্ত্র শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক প্রণয়নসহ ১৩ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে মাদরাসা শিক্ষকদের ঐতিহ্যবাহী সংগঠন বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদাররেছীনের কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচীকে বাংলাদেশ জমিয়তে তালাবায়ে আরাবিয়া সমর্থন জানিয়ে এক বিবৃতি প্রদান করেন।
বিবৃতিতে বাংলাদেশ জমিয়তে তালাবায়ে আরাবিয়ার কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম ও প্রধান সম্পাদক মুহাম্মদ আহসান হাবীব এক যুক্ত বিবৃতিতে বলেন, ৯০ ভাগ মুসলমানের দেশে কোরআন-সুন্নাহ ও আধুনিক চাহিদার সাথে সম্পর্ক রেখে যুগোপযোগী শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক তৈরি হবে এটা ছিল সবার প্রত্যাশা। বাংলা, ইংরেজি, ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান, গণিত, শিল্প সংস্কৃতি, স্বাস্থ্য সুরক্ষা, জীবন জীবিকা, ডিজিটাল প্রযুক্তি, বিজ্ঞান; এই বইগুলো ২০২৩ সাল থেকে ৬ষ্ঠ ও ৭ম শ্রেণির পাঠ্যপুস্তক হিসেবে স্কুল ও মাদরাসায় বাধ্যতামূলকভাবে পড়াতে হবে মর্মে এনসিটিবি ঘোষণা দিয়েছে। অথচ এসব পাঠ্যপুস্তকে সন্নিবেশিত কিছু ছবি, চরিত্র, চিত্র, শব্দ, বাক্য, তথ্য ও উপাত্ত ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের মর্মাহত এবং শঙ্কিত করে তুলবে। অথচ যেখানে বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর জীবনী, সাহাবাদের জীবন-কর্ম, আহলে বাইত, মুসলিম মনীষিদের জীবন-কর্ম এবং মুসলিম কবি, সাহিত্যিক, বিজ্ঞানীদের বাণী, নীতি-নৈতিকতা সৃষ্টিকারী তথ্য-উপাত্ত দিয়ে সন্নিবেশিত করার কথা ছিল। সেখানে এগুলোর একটিও স্থান পায়নি। যা ৯০ ভাগ মুসলমানদের হৃদয় মর্মাহত করবে।
নেতৃদ্বয়, অচিরেই মাদরাসা শিক্ষার স্বকীয়তা বজায় রেখে স্বতন্ত্র শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যসূচী প্রণয়ন করতে হবে এবং এগুলোর কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত পূর্বের পাঠ্যসূচী অনুযায়ী মাদরাসার কার্যক্রম পরিচালনা করা এবং বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদাররেছীনের কেন্দ্র ঘোষিত ১৩ দফা দাবি মেনে নেয়ার আহবান জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।