Inqilab Logo

রোববার ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ১৮ কার্তিক ১৪৩১, ৩০ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে শহরের চেয়ে এগিয়ে গ্রাম

সেপ্টেম্বরে ৩০৩২৫ কোটি টাকার আমানত সংগ্রহ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৭ নভেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষকে ব্যাংকিং সেবা দিচ্ছে এজেন্ট ব্যাংকিং। এতে একদিকে যেমন ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটছে, অন্যদিকে চাঙা হচ্ছে গ্রামীণ অর্থনীতি। এসব কারণে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে ঝুঁকছে গ্রাহক। এর ফলে এজেন্ট ব্যাংকিং ব্যবস্থায় বাড়ছে আমানত সংগ্রহের পরিমাণ। ব্যাংকগুলোর এসব শাখা চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে ৩০ হাজার ৩২৫ কোটি টাকার আমানত সংগ্রহ করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
ব্যাংকখাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এজেন্ট ব্যাংকিং সেবার মাধ্যমে ইউনিয়ন পর্যায়ে ব্যাংকিং সেবা পৌঁছে গেছে। আমানত রাখা, ঋণ বিতরণ ও রেমিট্যান্স আনার পাশাপাশি তারা স্কুল ব্যাংকিং চালু করেছে। সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির ভাতাও বিতরণ করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে গ্রামীণ জনগণও ব্যাংকিং কার্যক্রম শিখতে পারছে। এগিয়ে যাচ্ছে দেশের অর্থনীতি।
তথ্য অনুযায়ী, সেপ্টেম্বর মাসে মোট ৩০ হাজার ৩২৫ কোটি টাকার আমানত সংগ্রহ করেছে এজেন্ট ব্যাংক। আমানত সংগ্রহের ক্ষেত্রে শহরের চেয়ে এগিয়ে ছিল প্রত্যন্ত অঞ্চলে থাকা শাখাগুলো। আলোচিত সময়ে গ্রাম এলাকার গ্রাহকরা মোট ২৪ হাজার ২৪৩ কোটি টাকার আমানত রাখেন। আগের মাস আগস্টে গ্রাম এলাকা থেকে এজেন্ট শাখাগুলো আমানত সংগ্রহ করে ২৩ হাজার ৬৭১ কোটি ৭০ লাখ টাকার। এক্ষেত্রে আগস্টের তুলনায় সেপ্টেম্বরে মাসে ৫৭১ কোটি ৩০ লাখ টাকা বেশি সংগ্রহ করে। একইসময়ে শহরের এজেন্ট ব্যাংকের শাখাগুলোতে মোট ৬ হাজার ৮২ কোটি ৩০ লাখ টাকার আমানত রাখেন গ্রাহক।
আলোচিত মাসে (সেপ্টেম্বর) ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রেও এগিয়ে ছিল ব্যাংকের এজেন্ট শাখাগুলো। সেপ্টেম্বর মাসে মোট ঋণ বিতরণ হয়েছে ৬৮৫ কোটি ২০ লাখ টাকা। আগের মাসে (আগস্ট) ঋণ বিতরণের পরিমাণ ছিল ৬০০ কোটি ৫০ লাখ টাকা। এতে আগস্টের চেয়ে সেপ্টেম্বরে ৮৪ কোটি ৭০ লাখ টাকা বেশি বিতরণ হয়েছে। এরমধ্যে শহরে বিতরণ করা হয় ২৪০ কোটি টাকা এবং গ্রামের শাখাগুলো বিতরণ করে ৪৪৪ কোটি ৬০ লাখ টাকা।
শুধু আমানত সংগ্রহ কিংবা ঋণ বিতরণ নয়, বেড়েছে লেনদেনের সংখ্যা ও পরিমাণ। সেপ্টেম্বরে মোট লেনদেন হয়েছে ৫৯ হাজার ২৯৫ কোটি ২০ লাখ টাকা। যা আগের মাসের তুলনায় এক হাজার ৭৫২ কোটি ৯০ লাখ টাকা বেশি। আগের মাস আগস্টে লেনদেন হয়েছিল ৫৭ হাজার ৫৪২ কোটি ৩০ লাখ টাকা। এছাড়া আগস্টের তুলনায় সেপ্টেম্বরে ২ লাখ ৪৬ হাজার ৮৩টি লেনদেন বেশি হয়েছে।
তবে লোডশেডিংয়ের কারণে সেপ্টেম্বরে গ্যাস ও বিদ্যুৎ বিল কম পরিশোধ হয়েছে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে। আলোচিত মাসে এ খাতে মোট ১৩৮ কোটি ৬০ লাখ টাকা পরিশোধ হয়, যা আগস্টে ছিল ১৫৪ কোটি ৪০ লাখ টাকা।
এজেন্ট শাখাগুলোতে প্রবাসী আয় (রেমিট্যান্স) সংগ্রহ কমেছে। আলোচ্য সেপ্টেম্বর মাসে মোট ২ হাজার ৪৩৪ কোটি ৬০ লাখ টাকার রেমিট্যান্স আসে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে। এর আগের মাস আগস্টে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে মোট ২ হাজার ৯৮৫ কোটি ৬০ লাখ টাকা সংগ্রহ করা হয়। সে হিসাবে আগস্ট মাসের তুলনায় সেপ্টেম্বরে ৫৫৩ কোটি ৮০ লাখ টাকা কম প্রবাসী আয় এসেছে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ