Inqilab Logo

রোববার, ১২ মে ২০২৪, ২৯ বৈশাখ ১৪৩১, ০৩ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

মাত্রা নির্ণয়ে হাইকোর্টের বিশেষজ্ঞ কমিটি

মোবাইল টাওয়ারের রেডিয়েশন

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৬ নভেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

স্বাস্থ্যঝুঁকিহ্রাস ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় মোবাইল টাওয়ারের রেডিয়েশনের মাত্রা আন্তর্জাতিকমানের ১০ শতাংশের এক শতাংশ হওয়া উচিত কি না, সে বিষয়ে মতামত দিতে ৭ সদস্যের বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করেছেন হাইকোর্ট। হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ’র (এইচআরপিবি) আবেদনের শুনানি শেষে বিচারপতি জে বি এম হাসান এবং বিচারপতি রাজিক আল জলিলের ডিভিশন বেঞ্চ এ আদেশ দেন। বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের সাবেক সদস্য মো: কামরুজ্জামানকে প্রধান এবং বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) পরিচালক মো: গোলাম রাজ্জাককে কমিটির সদস্য সচিব করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী চার মাসের মধ্যে মতামত জানিয়ে হাইকোর্টে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানি ২০২৩ সালের ৪ এপ্রিল।

আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। সরকারপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কুষার কান্তি রায়। আদেশের বিষয়ে অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ বলেন, গত সোমবার হাইকোর্ট আদেশ দিয়েছেন। আদালত বলেছেন, যেসব দেশের ভিত্তিতে বিকিরণমাত্রা প্রতি বর্গকিলোমিটারে ৪ দশমিক ৫ ওয়াট করা হয়েছে সেসব দেশ শীতপ্রধান। সেখানে জনবসতি কম। কিন্তু বাংলাদেশ উষ্ণ ও ঘনবসতিপূর্ণ। ভারতে একটি রায়ের ভিত্তিতে আন্তর্জাতিক মাত্রা নির্ধারণের পর নিজের দেশের প্রেক্ষাপটে মাত্রা দশমিক ৪৫ অর্থাৎ আন্তর্জাতিক মাত্রার ১০ শতাংশের এক শতাংশ করেছে। কিন্তু আমাদের দেশে সেটি করা হয়নি। মোবাইল টাওয়ার বিকিরণের ক্ষতিকর প্রভাব নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন হলে সেসব প্রতিবেদন যুক্ত করে মোবাইল ফোন টাওয়ারের রেডিয়েশন নিঃসরণ নিয়ে ২০১২ সালে হাইকোর্টে রিট করে পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ। রিটের প্রেক্ষিতে হাইকোর্টের নির্দেশের পর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করে। ওই কমিটি রাজধানীর মতিঝিল, গুলশান ও মিরপুর এলাকায় ৬টি মোবাইল কোম্পানির ১৮টি টাওয়ারের বিকিরণ পরিদর্শন ও পর্যবেক্ষণ করে ২০১৩ সালে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে তিন দফা সুপারিশ সম্বলিত প্রতিবেদন দেয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, এসব টাওয়ারের মধ্যে মাত্র একটি টাওয়ারে মাত্রাতিরিক্ত রেডিয়েশন পাওয়া গেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে আদালতের দেয়া নির্দেশনার আলোকে বিটিআরসি নীতিমালা করে। পরবর্তীতে আদালতের আদেশে কয়েক দফা এ নীতিমালা সংশোধন করে বিটিআরসি। এ প্রেক্ষাপটে মামলাটি চলমান রেখে ২০১৯ সালের ২৫ এপ্রির রায় দেন হাইকোর্ট। রায়ে ১১ দফা নির্দেশনা দিয়ে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের আগে বিকিরণের সম্ভাব্যতা যাচাই করতে বলেন আদালত। বিটিআরসি সম্ভাব্যতা যাচাই না করে নীতিমালা চূড়ান্ত করে তা আদালতে দাখিল করে। বিটিআরসির চূড়ান্ত নীতিমালায় বিকিরণের মাত্রা আগের মতোই রাখা হয়। পরে এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ মত নিতে গত ১৬ অক্টোবর হাইকোর্টে আবেদন করে এইচআরপিবি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ