Inqilab Logo

শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ কার্তিক ১৪৩১, ২৮ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

আজ থেকে ৯-৪টা অফিস

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৫ নভেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

আজ মঙ্গলবার থেকে অফিসের নতুন সময়সূচিতে চলবে সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা-স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের অফিস। নতুন নিয়মে সকাল ৯টায় অফিস শুরু হয়ে শেষ হবে বিকেল ৪টায়। স্বাভাবিক সময়ে সরকারি অফিস সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এবং ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত লেনদেন আর লেনদেন পরবর্তী আনুষঙ্গিক কার্যক্রম পরিচালিত হতো ৬টা পর্যন্ত। বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে গত ২৩ আগস্ট থেকে অফিসের সেই সূচিতে পরিবর্তন করে সরকার। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত অফিস করছেন সরকারি, আধা-সরকারি,স্বায়ত্তশাসিত ও আধা-স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা-কর্মচারীরা। বর্তমানে ব্যাংক লেনদেন পরিচালিত হচ্ছে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত। শীত মৌসুমকে সামনে রেখে গত ৩১ অক্টোবর মন্ত্রিসভার বৈঠকে নতুন সময়সূচি অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

জানা গেছে, গত ২২ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ভাচুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় গত ২৪ আগস্ট থেকে সকল সরকারি এবং স্বায়ত্বশাসিত অফিসগুলো ৮টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত করার সিদ্ধান্ত হয়। গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী এবং সচিবালয়ে মন্ত্রিসভা কক্ষ থেকে মন্ত্রী ও সংশ্লিষ্টরা অংশ নেন। ওই দিন বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে সরকারি এবং স্বায়ত্বশাসিত অফিসগুলো সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত অফিস সময় নির্ধারিত আছে। তবে রমজান মাসে অফিস সময় থাকে সকাল ৯টা থেকে সাড়ে ৩টা পর্যন্ত। গত ২৪ আগস্ট সব সরকারি এবং স্বায়ত্বশাসিত অফিসগুলো ৮টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত। সম্প্রতি বৈশ্বিক জ্বালানি সংকটের কারণে তেলের দাম বৃদ্ধি এবং কৃচ্ছতা সাধনের জন্য অফিস সময় কমানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, সরকারি অফিসগুলোতেৃ আমি বুঝলাম না এগুলো কেন। আমরা কিন্তু কেবিনেট মিটিংয়ে সময় পর্দা নামানো ছিল, সব পর্দা তুলে দিয়েছি। অর্ধেকও লাগে না (লাইট)। সেটা নির্দেশনাতে ছিল সরকারি অফিসগুলোতে কোথাও পর্দা টানানো থাকবে না। লাইট যত সম্বভ কম, এয়ারকুলার যত সম্ভব কম ব্যবহারের নির্দেশনা ছিল। আনার সুপারিশ করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক উচ্চপর্যায়ের সভায়। এ ছাড়া সারা দেশে এসির ব্যবহার ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে যেন না নামে সেই ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশও করা হয়েছে সভায়। সেপ্টেম্বরের আগে সংকট উত্তরণের সম্ভাবনা কম বলে সভায় জানানো হয়। সভাশেষে জানানো হয়,দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন সাড়ে ১২ হাজার মেগাওয়াট। আর চাহিদা ১৪ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট। লোডশেডিং ৫০০ মেগাওয়াটের। তাই বিদ্যুতের ব্যবহার কমাতে হবে। তিনি বলেন, আদালত, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সময়সূচির বিষয় নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেবে। সুপ্রিম কোর্ট, বাংলাদেশ ব্যাংকের বিষয়ে সিদ্ধান্ত তারা নেবেন। এছাড়া স্কুল কলেজের সময়সূচির বিষয়ে উনাদের (শিক্ষা মন্ত্রণালয়) কর্তৃপক্ষ যেভাবে সিদ্ধান্ত নেবে সেভাবেই হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ