Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

২৪ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় ফাঁসছেন বিকল্পধারার মেজর মান্নান

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৪ নভেম্বর, ২০২২, ৭:৩৬ পিএম | আপডেট : ৭:৪৯ পিএম, ১৪ নভেম্বর, ২০২২

ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স করপোরেশন লিমিটেড (বিআইএফসি) থেকে প্রায় ২৪ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির সাবেক চেয়ারম্যান ও বিকল্পধারা বাংলাদেশের মহাসচিব মেজর (অব.) আবদুল মান্নানসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করতে যাচ্ছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

সোমবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে সেগুনবাগিচার দুদক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান সংস্থাটির সচিব মো. মাহবুব হোসেন। দুদক সচিব বলেন, বিআইএফসির সাবেক চেয়ারম্যান তার প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ও কর্মকর্তাদের সহায়তায় প্রতারণামূলকভাবে মেসার্স টেলিকম সার্ভিস এন্টারপ্রাইজের মালিক সিরাজুল ইসলামের নামে নিরাপত্তা জামানত ও মর্টগেজ ছাড়াই ১১ কোটি টাকা ঋণ মঞ্জুর ও বিতরণ দেখিয়ে গ্রাহকের ২৩ কোটি ৮৯ লাখ ৯ হাজার ১২৩ টাকা আত্মসাৎ করেন। আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/১০৯ ধারা ও ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) এবং ২০১২ সালের মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ এর ৪(২) ধারায় মামলা অনুমোদন করেছে।

অনুমোদিত মামলার আসামিরা হলেন- প্রতিষ্ঠানটির সাবেক চেয়ারম্যান ও বিকল্পধারা বাংলাদেশের মহাসচিব মেজর (অব.) আবদুল মান্নান, মেসার্স টেলিকম সার্ভিস এন্টারপ্রাইজের মালিক সিরাজুল ইসলাম, বিআইএফসি পরিচালক আব্বাস উদ্দিন আহমেদ, এ এম এম জাহাঙ্গীর আলম ও পরিচালক রইস উদ্দিন আহমেদ। এছাড়া প্রতিষ্ঠানের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মাহমুদ মালিক, সাবেক উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ইনামুর রহমান, সাবেক সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সৈয়ফ ফকরে ফয়সাল, সাবেক এভিপি আহমেদ করিম চৌধুরী ও সাবেক সিনিয়র অফিসার মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, মেসার্স টেলিকম সার্ভিস এন্টারপ্রাইজের মালিক সিরাজুল ইসলাম, তার স্বাক্ষরে ২০০৯ সালের ২৩ মার্চ বিআইএফসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর ৬০ দিন মেয়াদের ১১ কোটি টাকা ঋণের জন্য আবেদন করেন। আবেদনের বিপরীতে ব্যবস্থাপনা কমিটি ১৮ শতাংশ সুদে ৬ মাসের জন্য এমন প্রস্তাব বোর্ডে উত্থাপন করে। সিকিউরিটি হিসেবে প্রায় ১২ কোটি টাকার তারিখবিহীন স্বাক্ষরিত চেক রাখার কথা বলা হলেও প্রকৃতপক্ষে নিরাপত্তা জামানত হিসেবে চেক কিংবা অন্য কোনো সম্পদ মর্টগেজ নেওয়া হয়নি।

এমনকি তাদের আবেদনকারীর সিআইবি রিপোর্টও বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সংগ্রহ করা হয়নি। ২০০৯ সালের ২৩ মার্চ অনুষ্ঠিত পরিচালনা পর্ষদের ৭৫তম সভায় এই ঋণ অনুমোদনের বিষয়টি আলোচিত হয় এবং ৬ মাসের জন্য ১০ কোটি টাকা ঋণ প্রদানের বিষয়টি অনুমোদিত হয়। কিন্তু বিতরণ করা হয় ১১ কোটি টাকা। এজহারে জানানো হয়, আসামি সিরাজুল ইসলাম অপর আসামি আহমেদ করিম চৌধুরীর ভাই, যিনি বিআইএফসির এভিপি ও ইউনিট হেড। ঋণগ্রহীতা আসামি সিরাজুল ইসলাম মেজর (অব.) আব্দুল মান্নানের প্রতিষ্ঠান সানম্যান গ্রুপের ডিজিএম।

অপর আসামি কোম্পানির পরিচালক রইসউদ্দিন মেজর (অব.) আব্দুল মান্নানের শ্যালক এবং পরিচালক উম্মে কুলসুম মান্নানের (মেজর মান্নানের স্ত্রী) ভাই। দুদক সূত্র জানায়, মেজর (অব.) আব্দুল মান্নানসহ অন্যান্য আসামিদের বিরুদ্ধে এর আগেও ২টি মামলার চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। মামলাগুলোতে ১৪ কোটি ৩০ লাখ ৬৭ হাজার টাকা ও ২৮ কোটি ৮৪ লাখ ৩৫ হাজার ২৯৪ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ