Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বুড়িগঙ্গা নদী থেকে আ.লীগ নেতার লাশ উদ্ধার

ফারদিন এবং দুরন্তের হত্যার ধরন একই

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৪ নভেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিনের ভাসমান লাশ উদ্ধারের কয়েক দিনের ব্যবধানে এবার আওয়ামী লীগ নেতা দুরন্ত বিপ্লবের (৫১) লাশ উদ্ধার হয়েছে নারায়নগঞ্জের ফতুল্লার বুড়িগঙ্গা নদী থেকে। দুরন্তের লাশের ময়না তদন্তকারি চিকিৎসকরা জানিয়েছেন,তাকে হত্যা করা হয়েছে। চিকিৎসকরা আরও জানিয়েছেন, ফারদিন এবং দুরন্তের জীবনের শেষ পরিনতি যেমন এক, তাদের হত্যার ধরনও একই। দু’জনকেই মাথায় এবং বুকে আঘাত করে হত্যা করা হয়েছে। পরে তাদের লাশ নদীতে ফেলে দেয়া হয়। দু’টি হত্যাই সংঘটিত হয়েছে নীরব ঘাতকের মাধ্যমে। ফারদিন ও দুরন্তের হত্যা রহস্য নিয়ে উদ্ধিগ্ন খোঁদ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনীর সদস্যরাও। দু’টি হত্যা একই সূত্রে গাঁথা কিনা পুলিশ সে বিষয়টিও মাথায় রেখে তদন্ত করছে বলে জানা গেছে।

গত ৪ নভেম্বর রাতে ঢাকার রামপুরা থেকে নিখোঁজ হন বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিন। এর তিন দিন পর গত ৭ নভেম্বর বিকেলে নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ফারদিনের লাশ উদ্ধার করে নৌ-পুলিশ।

অপরদিকে যেদিন ফারদিনের লাশ উদ্ধার হয় সেদিনই অথ্যাৎ গত ৭ নভেম্বর সন্ধ্যায় কেরানীগঞ্জ থেকে ঢাকার মোহাম্মদপুরের জাপান গার্ডেন সিটির বাসায় যাওয়ার পথে নিখোঁজ হন দুরন্ত বিপ্লব। তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। অনেক খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে ৯ নভেম্বর পরিবারের পক্ষ থেকে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়।

গত শনিবার বিকেলে বুড়িগঙ্গা নদীর পানগাঁও এলাকা থেকে দুরন্ত বিপ্লবের লাশ উদ্ধার করে পাগলা নৌ-পুলিশ। অজ্ঞাত হিসেবে লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।

গতকাল রোববার নিহতের বোন স্বাশতী বিপ্লব পুলিশের কাছে লাশের পরিচয় নিশ্চিত করেন।
দুরন্ত বিপ্লব নেত্রকোনা জেলার প‚র্বধলার ছোট ইলাশপুরের প্রয়াত আব্দুল মান্নানের পুত্র। তার পরিবারের লোকজন ঢাকার মোহাম্মদপুরে বসবাস করেন। তিনি কেরানীগঞ্জ এলাকায় একটি কৃষি খামারের মালিক ছিলেন।

রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন দুরন্ত বিপ্লব। তিনি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ উপ-কমিটির কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

গতকাল দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের (ভিক্টোরিয়া) মর্গে দুরন্তের লাশের ময়না তদন্ত শেষে আবাসিক চিকিৎসক ডা. মফিজ উদ্দিন প্রধান বলেন, ‘বিপ্লবের মাথায় ও বুকে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। মাথার পেছনের দিকে বেশি আঘাত। তেমনিভাবে বুকের দুপাশেও আঘাতের চিহ্ন আছে। সাধারণ সমান্তরাল কোনো বস্তু দিয়ে আঘাত করা হয়ে থাকতে পারে। তিনি বলেন, ফারদিন ও দুরন্ত বিপ্লব দু’জনকেই মাথায় ও বুকে আঘাত করে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার পর দু’জনকেই নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হয়।

দুরন্তের লাশ ময়না তদন্তকালে মর্গের বাইরে ছিলেন তার ছোট ভাই দুর্জয় বিপ্লব ও স্ত্রী নাহিদা ইসলাম। ছোট ভাই দুর্জয় বিপ্লব বলেন, চার বছর আগে তার ভাই চার বন্ধুর সঙ্গে মিলে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে একটি কৃষি খামার করেছিলেন। কী কারণে এই হত্যাকাÐের ঘটনা ঘটেছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক জানিয়েছেন ভাইকে হত্যা করা হয়েছে। এখন পুলিশের কাজ কারা, কেন, কী কারণে ভাইকে হত্যা করেছে, তা খুঁজে বের করা।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ