পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রতিমাসে দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমাকে ভালো অবস্থা হিসেবে দেখছেন না পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর। তিনি বলেন, আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংকের অর্থ আসতে সময় লাগবে। সেই পর্যন্ত রিজার্ভ কমতে দেওয়া যাবে না। বৈদেশিক মুদ্রার মজুত (রিজার্ভ) ২ হাজার কোটি ডলারের (২০ বিলিয়ন) নিচে নেমে গেলে দেশ সঙ্কটে পড়ে যেতে পারে। গত শনিবার অনলাইনে অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে এসব কথা বলেন তিনি।
‘বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সঙ্কট ও বৈদেশিক ঋণ’ শীর্ষক এই সেমিনার আয়োজন করে ফোরাম ফর বাংলাদেশ স্টাডিজ। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন জার্মান ফেডারেল শিক্ষা ও গবেষণা মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প গবেষক জিয়া হাসান।
অর্থনীতিবিদ আহসান এইচ মুনসুর বলেন, প্রতি মাসে এক থেকে তিন বিলিয়ন ডলার করে রিজার্ভ কমছে। এভাবে চলতে থাকলে কয়েক মাসের মধ্যে যদি রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে যায়, তাহলে আমরা সঙ্কটে পড়ে যেতে পারি।
স¤প্রতি আইএমএফের সঙ্গে ঋণ সংক্রান্ত বৈঠক শেষে বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনর জানিয়েছেন, দেশে নেট রিজার্ভ এখন ২৬ বিলিয়ন।
আহসান এইচ মনসুর বলেন, আইএমএফের ঋণ নেওয়ার সিদ্ধান্ত সময়োপযোগী। এতে রিজার্ভ সুসংহত হবে। সেই সঙ্গে বাংলাদেশ সম্পর্কে বিদেশি ঋণদাতাদের আস্থা বাড়াবে। আইএমএফ ঋণ না দিলে হয়তো বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে ২০ থেকে ২৫ কোটি ডলারের বেশি বাজেট সহায়তা পাওয়া যেত না। আইএমএফ আছে বলেই বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে বাজেট সহায়তা হিসেবে ১০০ কোটি ডলার পাওয়া যাচ্ছে।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করে জার্মান ফেডারেল শিক্ষা ও গবেষণা মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প গবেষক জিয়া হাসান বলেন, ৩ হাজার কোটি ডলার (৩০ বিলিয়ন) ডলারের কার্যকর রিজার্ভ আছে। সেখানে আবার ঋণপত্রের বিপরীতে আগের দায় আছে ২ হাজার ৩৪০ কোটি ডলারের সমপরিমাণ অর্থ। এগুলো কোভিডের সময় পিছিয়ে দেওয়া ঋণপত্রের দায়। এসব দায় পরিশোধ হলে রিজার্ভ বড় ঝুঁকিতে পড়তে পারে। আর এক বছরে আমদানি ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে ৭১৭ কোটি ডলার।
তবে রিজার্ভ এখনও তিনমাসের আমদানি ব্যয়ের নিচে নামেনি দাবি করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যান এম এম আকাশ বলেন, আমরা সঙ্কটের দিকে যাচ্ছি, যদিও সঙ্কটে এখনও পড়িনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।