Inqilab Logo

সোমবার, ২৭ মে ২০২৪, ১৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৮ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

বিশ্বের দেশে দেশে ব্যবসা-বাণিজ্য ও সম্পর্ক বাংলাদেশের টার্গেট আফ্রিকার ১০ দেশ

‘আফ্রিকায় নজর : বাংলাদেশের জন্য নতুন দিগন্ত অন্বেষণ’ শীর্ষক সেমিনার

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৪ নভেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

বাংলাদেশ এখন আফ্রিকার ১০ দেশকে টার্গেট করেছে। ওই সব দেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের পাশাপাশে ব্যবসা বাণিজ্য বাড়াতে চায়। গতকাল রোববার বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) আয়োজিত এক সেমিনারে এ তথা জাননো হয়।
‘আফ্রিকায় নজর : বাংলাদেশের জন্য নতুন দিগন্ত অন্বেষণ’ শীর্ষক সেমিনারে পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়ানোর অনেক সুযোগ রয়েছে। সেখানে আরও সুযোগ অন্বেষণ করতে হবে। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন পররাষ্ট্রসচিব (পূর্ব) মাশফি বিনতে শামস।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাসুদ বিন মোমেন বলেন, আফ্রিকার ১০টি দেশে আমাদের মিশন রয়েছে। সেখানে আমরা আরো নতুন মিশন খোলার চেষ্টা করছি। আফ্রিকার এলডিসিভুক্ত দেশগুলোর সঙ্গে আমরা আগে কাজ করেছি। এছাড়া ক্লাইমেট চেঞ্জ ঝুঁকি মোকাবিলায়ও সেখানের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে কাজ করেছি। আফ্রিকার দেশগুলোর সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা আমাদের আছে। আফ্রিকায় ভারত ও চীনের উপস্থিতি ব্যাপক। আমাদের তেমন উপস্থিতি নেই। আমাদের সেই সুযোগ নিতে হবে। আমরা সেখানে বাণিজ্য বাড়াতে চাই। তবে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা দুবাই, কানাডা, আবুধাবি, যুক্তরাষ্ট্রে যায়, আফ্রিকায় যায় না। তবে আফ্রিকায় গৃহযুদ্ধ ও জাতিগত সংঘাতও বিবেচনায় নিতে হবে।
মূল প্রবন্ধে মাশফি বিনতে শামস বলেন, বঙ্গবন্ধু আফ্রিকার দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্কের ভিত্তি গড়েছিলেন। আলজেরিয়া ও মিশরে ১৯৭৩ সালে মিশন খোলা হয়। পরে কেনিয়া সেনেগাল, জিম্বাবুয়ে, লিবিয়া ও মরক্কোয় মিশন খোলা হয়। তবে বঙ্গবন্ধু হত্যার পরে আফ্রিকার সঙ্গে সম্পর্ক অনেকটাই থমকে যায়। এখন সেখানে ১০টি মিশন রয়েছে। তিনি বলেন, আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে আমাদের শান্তিরক্ষীরা কাজ করছে। এটা ইতিবাচক দিক। আফ্রিকায় ফার্মাসিউটিক্যালস, পাট ও পাটজাত পণ্য, ওষুধ শিল্প রপ্তানির সুযোগ রয়েছে। সেই সুযোগ নিতে হবে। আফ্রিকার সঙ্গে বাণিজ্য বাড়াতে দ্বৈত কর প্রত্যাহারে জোর দেন মাশফি বিনতে শামস।
বিআইআইএসএস চেয়ারম্যান রাষ্ট্রদূত কাজী ইমতিয়াজ হোসেন বলেন, আফ্রিকায় ফার্মাসিউটিক্যালস পণ্যের সুযোগ রয়েছে। পোশাক শিল্প পণ্যেরও রফতানির সুযোগ রয়েছে আমাদের। সেখানে কন্ট্রাক্ট ফার্মিংয়েরও সুযোগ রয়েছে। আফ্রিকা অনেক দূরের মহাদেশও নয়। তিনি বলেন, সিয়েরা লিওনে বাংলা ভাষা বিকাশ ও গাম্বিয়া রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলায় ভ‚মিকা রেখেছে। সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য দেন বিআইআইএসএসের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শেখ পাশা হাবিব উদ্দিন। সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন বিআইআইএসএস চেয়ারম্যান রাষ্ট্রদূত কাজী ইমতিয়াজ হোসেন।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ