পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার সময়ে দেশে ইন্টারনেটের অবস্থা নাজুক ছিল উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, আমরা যখন ক্ষমতায় আসলাম, তখন টু-জি ছিল, এখন আমরা ফাইভ-জিতে চলে এসেছি।
গতকাল রাজধানীর র্যাডিসন বøæ হোটেলে আনুষ্ঠানিকভাবে ডিজিটাল লেনদেনের প্ল্যাটফর্ম ‘বিনিময়’ সেবার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, আমরা যখন ২০০৮ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন প্রকাশ করি, তখন ডিজিটাল বলতে কিছুই ছিল না। বিশ্বের কোথাও ডিজিটাল দেশ গড়ার কোনো ফ্রেমওয়ার্ক ছিল না। আইএমইফ, ওয়ার্ল্ড ব্যাংকসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা আমাদের ডিজিটাল দেশ গড়ে দেওয়ার আশ্বাস দিত। তাদের স্বপ্ন ছিল আমাদের দেশে তাদের নিজস্ব কনসালটেন্ট আসবে, একটা প্রজেক্ট করতে ৫ থেকে ৬ বছর সময় লাগাবে এবং নিজেদের মতো কাজ করবো। আমি বলেছি, দরকার নাই। ডিজিটাল বাংলাদেশ আমরা নিজেরাই করবো।
তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের পরিকল্পনা, বাস্তবায়ন সব আমরা নিজেরাই করেছি। তবে ধাপে ধাপে করতে হয়েছে, সময় লেগেছে। আওয়ামী লীগ সরকার যখন ক্ষমতায় আসে, তখন ঢাকা-চট্টগ্রামে ইন্টারনেট ছিল, খরচ ছিল ৭৮ হাজার টাকা। তখন আমরা কমিয়ে আনার পরিকল্পনা করেছি। কিন্তু সবাই অবাক হলো কীভাবে সম্ভব! কিন্তু আমরা করেছি। আমরা ইউনিয়ন পর্যন্ত ফাইবার অপটিক ক্যাবল স্থাপন করেছি।
জয় বলেন, গ্রামের মানুষের হাতে স্মার্টফোন নেই, মানুষ কীভাবে সেবা নেবে? তখন সাড়ে চার হাজার ইউনিয়নে ডিজিটাল সেন্টার করেছি মাত্র এক বছরে। সব অ্যাপ আমরা নিজেরা করেছি। বিদেশি কোনো সংস্থার হাত ছিল না। আগামী কয়েকবছরের মধ্যে শতভাগ সরকারি সেবা ডিজিটালি দেওয়া হবে। ইতোমধ্যে আইটি কোম্পানিগুলো সব ডিজিটালাইজড হয়ে গেছে। এখন আমাদের চিন্তা ইন্ডাস্ট্রিগুলো নিয়ে।
তিনি বলেন, এখন আইটি খাতে মানুষের কর্মসংস্থান নিয়ে ভাবছি। প্রশিক্ষণ দিচ্ছি। এক্ষেত্রে আমাদের নারীরা এগিয়ে আসছে। আইটি খাতে এতদ্রæত কোনো দেশ উন্নয়ন করতে পারেনি। লেনদেন সহজ করতে আমরা বিনিময় উদ্বোধন করেছি, এটি করতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত। আমাদের পরবর্তী লক্ষ্য ক্যাশলেস সোসাইটি। সে লক্ষ্যে আমরা কাজ শুরু করে দিয়েছি।
‘বিনিময়’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। আজ সোমবার থেকে ‘বিনিময়’-এর মাধ্যমে লেনদেন করা যাবে।
‘বিনিময়’ হচ্ছে ওয়েবভিত্তিক প্ল্যাটফর্ম, যা একটি সেবা হিসেবে ব্যাংক, এমএফএস ও পেমেন্ট সিস্টেম অপারেটরের নিজস্ব অ্যাপে যুক্ত হচ্ছে। এটি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন একাডেমি (আইডিয়া) প্রকল্প এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের যৌথ উদ্যোগে তৈরি করা হয়েছে। ভেলওয়্যার লিমিটেড, মাইক্রোসফট বাংলাদেশ ও ওরিয়ন ইনফরমেটিকস লিমিটেড প্ল্যাটফর্মটি তৈরিতে সহযোগী হিসেবে কাজ করেছে। এছাড়া ‘বিনিময়’ প্লাটফর্মটি রক্ষণাবেক্ষণ করবে ভেলওয়্যার লিমিটেড।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।