পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অক্সফোর্ড ইন্টারন্যাশনাল গ্রুপের ৬টি ইউনিভার্সিটি জানুয়ারী সেশনে সিলেট বিভাগের কোন শিক্ষার্থীকে পড়ালেখার জন্য সুযোগ দেবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে। আরও কয়েকটি কলেজ এই ৬টি কলেজের সাথে যুক্ত হয়ে বিধি নিষেধ আরোপ করতে যাচ্ছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।
বিট্রেন সরকারের সহজ নিয়মকানুনের কারণে বাংলাদেশসহ বিশে^র বিভিন্ন দেশ থেকে অসংখ্য শিক্ষার্থী পড়াশোনার জন্য লন্ডন যাচ্ছেন। তবে সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের বেশ কয়েকটি বিশ^বিদ্যালয় ঘোষণা দিয়েছে তারা বাংলাদেশের সিলেট বিভাগ থেকে জানুয়ারী সেশনে কোন শিক্ষার্থী নিবে না। কারণ হিসেবে তারা জানিয়েছে, যারা ইতোপূর্বে লন্ডনে পড়াশুনার জন্য গেছেন তারা অনেকেই ভূয়া কাগজপাতি প্রদর্শন করে ভিসা নিয়েছেন।
একজন ইমিগ্রেশন কনসালটেন্ট জানিয়েছেন, তারা অনেক ফাইল ইতোমধ্যে প্রসেস করে ফেলেছেন। কিন্তু অনেক ইউনির্ভাসিটি ইতোমধ্যে তাদের জানিয়ে দিয়েছে, তারা সিলেট বিভাগের ছাত্র গ্রহণ করবে না এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বলে দিয়েছে এর আগে যাদেরকে তারা কাস অফার লেটার দিয়েছে তারা যেন হাইকমিশনে তা জমা না দেয়। ইউনিভার্সিটিগুলো বলেছে, যদি কেউ জমা দেন তাহলে তারা ভিসা পাবে না। কারণ তারা তাদের কাস লেটার প্রত্যাহার করে নিবে।
বেঙ্গর ইউনিভার্সিটি বলেছে, তারা যাচাই করে দেখেছেন অনেকেই ইতোমধ্যে বাংলাদেশ থেকে ভূয়া সার্টিফিকেট জমা দিয়ে ভিসা গ্রহণ করেছে। বিশেষ করে সিলেট বিভাগ থেকে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বলছে, সিলেটি ছাত্রদের যাচাই কালে তারা দেখেছে তাদের কথার সাথে কাজের কোন মিল নেই। এছাড়াও স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে লন্ডন গেছে তারা কলেজে যায় না।
তবে বেঙ্গর ইউনিভার্সিটি বলেছে, যাদের নামে কাস লেটার ইতোমধ্যে ইস্যু হয়েছে তারা ভিসার জন্য হাই কমিশনে জমা না দিয়ে তাদের এজেন্টের মাধ্যমে টাকা ফেরত চাইতে পারে। ইউনিভার্সিটিগুলো তাদের টাকা ফেরত দেবে। অক্সফোর্ড ইন্টারন্যাশনাল গ্রুপের যে ৬টি ইউনিভার্সিটি জানুয়ারী সেশনে শিক্ষার্থী নেবে না বলে ইতোমধ্যে জানিয়ে দিয়েছে। শুধু বাংলাদেশী নয়, তারা ভারতসহ অন্যান্য কয়েকটি দেশের জন্য সমান নিয়ম রাখছে। তাদের আওতাধীন ৬টি ইউনিভার্সিটি হচ্ছে ডি মনট ফুর্ড ইউনিভার্সিটি, বেঙ্গর ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব গ্রিন উইচ, ইউনিভার্সিটি অব ব্রাডফুর্ড, ইউনিভার্সিটি অব ডান্ডি, রিভেন্স ব্রউনি ইউনিভার্সিটি লন্ডন।
এছাড়াও গ্রীন উইচ ইউনিভার্সিটি ইতোমধ্যে জানিয়ে দিয়েছে, বাংলাদেশ থেকে তারা আইএলটিএসসহ কোন ফাইল জমা নিচ্ছে না। জানুয়ারী সেশনের জন্য অনেক ছাত্র টাকা জমা দেওয়ার পাশাপাশি ইন্টারভিউতেও পাশ করে ফেলছে। কিন্তু এই ঘোষনার ফলে তাদের কপাল পুড়ল। তবে এই সিদ্ধান্ত ব্রিটিশ সরকারের হোম অফিসের নয়। ইউনিভার্সিটিগুলো স্বতন্ত্র তাই তারা মনে করছে এসব দেশের শিক্ষার্থীরা শিক্ষা ভিসায় নানা অনিয়মের মাধ্যমে আসছে। তাই তারা বন্ধ করে দিয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে সিলেট ইমিগ্রেশন এন্ড এডভাইজারী সার্ভিস এর কর্ণধার স্বপণ লাল বৈদ্যের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এই সিদ্ধান্ত শুধু সিলেট বিভাগের সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও সিলেটের জন্য। তাই এখানের আর কোন শিক্ষার্থী এই ৬টি ইউনিভার্সিটিতে আবেদন করার সুযোগ পাবে না। এমনকি যারা ইতোমধ্যে আবেদন করেছেন, টাকা জমা দিয়ে কাস লেটার পেয়েছেন তারাও আর ভিসা নিয়ে লন্ডন যেতে পারবে না। এই ঘটনার সাথে একটি সংঘবদ্ধ চক্র জড়িত রয়েছে বলে এই ইমিগ্রেশন এডভাইজার মনে করেন। কারণ হিসেবে তিনি জানিয়েছেন, এই চক্রটি অনেক শিক্ষার্থীদের অবৈধ পথে যাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে। যার ফল এখন সকল শিক্ষার্থীকে বহন করতে হচ্ছে। তিনি আরো জানান, ৬টি কলেজ ছাড়াও অন্যান্য কলেজ জানুয়ারী সেশনের জন্য তাদের কার্যক্রম এখনো চালু রেখেছে। তাই সকলে অত্যন্ত সতর্কতার সাথে কাজ করার জন্য তিনি আহবান জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।