পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় খাদ্য পণ্য উৎপাদনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সামনে ইরি ও বোরো মৌসুমে পর্যাপ্ত সার মজুত ও সেচের ব্যবস্থা করা হয়েছে। খাদ্য উৎপাদন হচ্ছে, মজুত রয়েছে। আবার বেসরকারিভাবেও খাদ্যপণ্য আমদানি করা হচ্ছে। আমরা যদি হতাশ আর আতঙ্কিত হয়ে তিন/চারগুণ বেশি পণ্য কিনে মজুত না করি, তাহলে দেশে দুর্ভিক্ষ হবে না। দুর্ভিক্ষের কোনো আশঙ্কাও নেই।
রবিবার (১৩ নভেম্বর) কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য রপ্তানির জন্য ‘হেলথ সার্টিফিকেট’ প্রদান অনুষ্ঠানে খাদ্যমন্ত্রী কথা জানান তিনি। পণ্যের স্বাস্থ্য সনদ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, আমাদের সার্টিফিকেট দিয়ে প্রমাণ করতে হচ্ছে রপ্তানির জন্য নিরাপদ খাদ্য দরকার। এখন আমাদের সবার সচেতন হওয়া উচিত। আমরা যদি সব খাদ্য নিরাপদ করতে পারি তাহলে এত সার্টিফিকেটের প্রয়োজন হবে না। নিজেদের সুস্বাস্থ্য ও খাদ্যপণ্য রপ্তানির জন্য নিরাপদ খাদ্যের একটা অবস্থা তৈরি করতে হবে। যাতে করে সার্টিফিকেট নয়, আমাদের নাম শুনলেই বিদেশিরা যেন খাদ্যপণ্য আমদানিতে আগ্রহী হন।
নিরাপদ খাদ্য জন্মের শুরু থেকেই শুরু করা দরকার জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের উচিত যখন একটা শিশুর জন্ম হয় তখনই নামীদামি ব্রান্ডের গ্রুপ গুঁড়া দুধ না খাইয়ে অন্তত প্রথম ছয় মাস শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানো উচিত। এতে করে শিশুর জন্মের পরই ভালো বিকাশ হবে। আর যদি বাজারের পণ্য খাওয়াই তাহলে ৪-৫ বছর গেলেই দেখা যাবে নানা রোগবালাই শিশুকে আক্রান্ত করছে। এভাবে প্রত্যেকটি ক্ষেত্রেই আমাদের নিজেদের আগে সচেতন হতে হবে। এতদিন খাদ্যপণ্য রপ্তানির জন্য রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান দেশ-বিদেশের ল্যাব থেকে পণ্যের গুণমান পরীক্ষা করে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) কাছে দিত, ওইসব পরীক্ষা-নীরিক্ষার সব কাজ এখন থেকে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ (বিএফএসএ) নিজেই করবে। এতে করে একদিকে রপ্তানিকারকদের ভোগান্তি কমবে, অন্যদিকে পণ্যের মানের বিষয়েও আপস করার সুযোগ থাকবে না।
জানা যায়, আমদানিকারক দেশের চাহিদা অনুযায়ী রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান পণ্যের ল্যাব টেস্ট রিপোর্ট আনলে ইপিবি তা দেখে সার্টিফিকেট ইস্যু করতো। যেসব রপ্তানিকারকের সার্টিফিকেট দরকার, বন্দর থেকে তাদের পণ্যের নমুনা এনে পরীক্ষা করে সার্টিফিকেট প্রদানের সবগুলো কাজই করবে বিএফএসএ। তবে ল্যাব টেস্টে কোনো পণ্যে হেলথ হ্যাজার্ড পাওয়া গেলে তা আর রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হবে না। খাদ্যসচিব মো. ইসমাইল হোসেনের সভাপতিত্বে উনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএফএসএ’র চেয়ারম্যান মো. আবদুল কাইউম সরকার, সদস্য আব্দুল আলীম প্রমুখ। অনুষ্ঠানে প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিকভাবে দুটি প্রতিষ্ঠানকে পণ্যের স্বাস্থ্য সনদ প্রদান করা হয়। প্রতিষ্ঠান দুটি হলো-ইএসএল বাংলাদেশ লিমিটেড ও ট্রাস্ট অ্যান্ড ট্রেড এম ইমপেক্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।