পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
উদ্যোক্তাদের যত্রতত্র শিল্প-কারখানা না গড়ে তুলে পরিবেশবান্ধব কারখানা করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রোববার (১৩ নভেম্বর) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) ‘মেইড ইন বাংলাদেশ উইক ২০২২’ এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উদ্যোক্তাদের এ আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি ও শিল্প বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ছাড়াও বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান, প্রথম সহ-সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, সিনিয়র সহ সভাপতি এসএম মান্নান কচি ও সহ-সভাপতি শহীদুল্লাহ আজিম উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দেশের সাড়ে ১৬ কোটি মানুষ, তাদের নিরাপদ খাদ্য দিতে হবে। আমরা কারও কাছ থেকে ভিক্ষা করে চলতে চাই না, নিজের উৎপাদন নিজে করবো। সে জন্য ফসলি জমি রক্ষা করা, যত্রতত্র শিল্প-কারখানা না গড়ে তুলে পরিবেশবান্ধব
কারখানা গড়ে তোলার আহ্বান জানাচ্ছি। তার ব্যবস্থাও আমরা নিচ্ছি।
তিনি বলেন, ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলেছি। যোগাযোগ ব্যবস্থা বিশাল উন্নতি হয়েছে। পদ্মা সেতুসহ শত শত সেতু করেছি। সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো করেছি। এসবের মাধ্যমে শুধু বাংলাদেশ না, দক্ষিণ এশিয়া, পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থাও সৃষ্টি করছি।
শেখ হাসিনা বলেন, এই ১০০টি অঞ্চলে দেশি বিদেশি বিনিয়োগ চাই। এগুলো বর্জ্যব্যবস্থাপনা থেকে সব ধরনের সুযোগ সুবিধা পাবেন। এখানে বহুমুখী বিনিয়োগ হউক, অঞ্চলভিত্তিক কৃষি পণ্য উৎপাদন হয়, কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য গড়ে উঠুক। এর চাহিদা কখনো দেশ ও বিদেশে কমবে না।
ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, তৈরি হোন পরিস্থিতির জন্য, ব্যবসায়ী সুবিধা এবং সোর্সিংয়ের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত জায়গা বাংলাদেশ। বিদেশি বিনিয়োগকারীদের স্বাগত জানাই পাশাপাশি দেশি উদ্যোক্তাদের বলবো, আপনারও পার্টনার হিসেবে বিদেশি উদ্যোক্তাদের খুঁজে নিন। কারণ বিনিয়োগের চমৎকার পরিবেশ রয়েছে।
এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, বিনিয়োগের সব ধরনের সুযোগ সুবিধা রয়েছে বাংলাদেশে, কারণ আমাদের নীতিমালা বিনিয়োগবন্ধব। একই সঙ্গে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শুল্কমুক্ত সুবিধা রয়েছে।
চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের জন্য আমাদের শ্রমিক তাদের প্রশিক্ষিত করতে হবে উল্লেখ্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি শ্রকিদের প্রতি দৃষ্টি দিচ্ছি। আপনারাও শ্রমিকদের প্রতি দৃষ্টি দিচ্ছেন। তারা যাতে সুন্দর ও সুষ্ঠু পরিবেশ কাজ করতে পারে, মনযোগ দিতে পারে তা একান্তভাবে প্রয়োজন। সবাইকে শ্রমিকদের ওপর বিশেষ সৃষ্টি দিতে হবে।
কারণ হিসেবে তিনি বলেন, আমার রাজনীতি হচ্ছে এদেশের কৃষক, শ্রমিক, মেহনতি মানুষের জন্য। তাদের দক্ষতা যোগ্যতা কাজে লাগাতে হবে। সাড়ে ১৬ কোটির ওপরে মানুষ। তাদের খাদ্য নিরাপত্তা দিতে হবে। নিজেরা উৎপাদন করতে হবে। ভিক্ষা করে চলবো না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।