পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশ্বব্যাপী প্রত্যাখ্যাত বিতর্কিত চার্লস ডারউইনের বিবর্তনবাদ পাঠ্য সূচিতে অন্তর্ভুক্ত করে আগামী প্রজন্মকে নাস্তিক বানানোর ষড়যন্ত্র বরদাশত করা হবে না। ডারউইনের বিবর্তনবাদকে যারা প্রতিষ্ঠা করতে চায় তারা ইসলাম ও মুসলমানদের দুশমন। শিক্ষা সিলেবাস থেকে ইসলামী শিক্ষা সঙ্কোচন পরিণাম শুভ হবে না। শিক্ষার সর্বস্তরে ইসলামী শিক্ষা বাধ্যতামূলক করতে হবে। আগামী প্রজন্মকে নাস্তিক্যবাদী বানানোর ষড়যন্ত্র এদেশের মুসলমানরা প্রতিহত করবেই ইনশাআল্লাহ।
ইসলামী বিশ্বাসের ঘোরতর পরিপন্থী অথচ এই বিবর্তনবাদকে পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করা কোমলমতি শিশু কিশোরদের ইসলাম বিচ্যুত করার দুরভিসন্ধিমূলক চক্রান্তের অংশ। বিভিন্ন ইসলামী দলের নেতৃবৃন্দ পৃথক পৃথক বিবৃতি ও আলোচনা সভায় নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন।
ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির সভাপতি মাওলানা আব্দুর রকিব অ্যাডভোকেট আজ শনিবার এক বিবৃতিতে বলেন, উপ-মহাদেশের প্রচলিত ইসলামী শিক্ষা ব্যবস্থার কোনো বিকল্প নেই। সর্বস্তরে ইসলামী শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করতে হবে। জাতিকে ভিনদেশি সংস্কৃতিতে আকৃষ্ট করতেই পাঠ্যসূচিতে ইসলামী শিক্ষা সঙ্কোচনের চক্রান্ত চলছে।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, সম্প্রতি জমিয়াতুল মোদারের্ছীন ঘোষিত মাদরাসা শিক্ষার উন্নয়নে প্রস্তাবিত ১৩ দফা দাবি অবিলম্বে মেনে নিন। ধর্মীয় শিক্ষার ব্যতিক্রম করে ঈমান আক্বিদার পরিপন্থী কোনো প্রকার অপসংস্কৃতি মাদরাসার শিক্ষার সিলেবাসভুক্ত করা হলে এ দেশের মুসলমানরা দাঁত ভাঙ্গা জবাব দেবে। অ্যাডভোকেট মাওলানা আব্দুর রকিব মাদরাসা শিক্ষার উন্নয়ন কল্পে জমিয়াতুল মোদারের্ছীনের দায়িত্বশীলগণের সহযোগিতা নিয়ে ইসলামি শরিয়ত মোতাবেক গ্রহণযোগ্য সিলেবাস প্রণয়নের জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান।
বাংলাদেশ জাতীয় ইমাম সমিতির কাউন্সিলে নেতৃবৃন্দ বলেছেন, মাদরাসা শিক্ষা সঙ্কোচনের যেকোনো ষড়যন্ত্র এদেশের মুসলমানরা মেনে নেবে না। শিক্ষা মন্ত্রণালয় মাদরাসা শিক্ষায় ভিনদেশি সংস্কৃতি চালুর পাঁয়তারা করলে ঈমানদার মুসলমানরা ফুঁসে উঠবে। আজ শনিবার ঢাকা মোহাম্মদপুর গাউছিয়া ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসা মিলনায়তনে বাংলাদেশ জাতীয় ইমাম সমিতির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত জাতীয় কাউন্সিল অধিবেশন নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন। সংগঠনের সভাপতি মাওলানা কাজী আবু হোরায়রার সভাপতিত্বে এবং মুফতি মাওলানা মহিউদ্দিনের উপস্থাপনায় এতে আরো বক্তব্য রাখেন, মহাসচিব মাওলানা আব্দুল মালেক নুরী,মাওলানা নাজির মাহমুদ,মুফতি মাওলানা আখতারুজ্জামান, গাউছিয়া ফাজিল মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা ইজহারুল হকসহ বিভাগীয় সভাপতিবৃন্দ।
নেতৃবৃন্দ বলেন, বাংলাদেশ জাতীয় ইমাম সমিতি দেশ জাতি ইসলাম ও ইমামদের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও করে যাবে ইনশাল্লাহ। নেতৃবৃন্দ শিক্ষার সর্বক্ষেত্রে ইসলামী শিক্ষা বাধ্যতামূলক, প্রতিটি মসজিদে শিশু ও গণশিক্ষা চালু রাখাসহ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টকারী যে কোন কর্মকাÐের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার ওপরগুরুত্বারোপ করেন।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা ইমতিয়াজ আলম বলেছেন, সরকার ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ধর্মহীন জাতি হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা করছে। সরকারের সে চেষ্টা ইসলামপ্রিয় জনগণ রুখে দেবে। তিনি বলেন, আমাদের সন্তানদেরকে নাস্তিক ও ধর্মহীন বানাতে দিতে পারি না। বিরানব্বই ভাগ মুসলমানের দেশ বাংলাদেশে ইসলাম নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে দেয়া হবে না। তিনি বলেন, এইচএসসি পাবলিক পরীক্ষায় ধর্মীয় উস্কানি দিয়ে দেশে সাম্প্রদায়িকতার বিষবাম্প ছড়ানোর চেষ্টাকারী হিন্দু সম্প্রদায়ের জড়িত শিক্ষককে রিমান্ডে নিয়ে তথ্য বের করে আসল রহস্য উদঘাটন করতে হবে। অন্যথায় দেশময় তীব্র আন্দোলন গড়ে উঠবে।
আজ সকালে পুরানা পল্টনস্থ কার্যালয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের উদ্যোগে থানা ও নগর আমেলার যৌথসভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন নগর দক্ষিণ সহ-সভাপতি আলহাজ্ব আলতাফ হোসেন, মুহাম্মদ আব্দুল আঊয়াল মজুমদার, ডা. শহিদুল ইসলাম, কেএম শরীয়াতুল্লাহ, মুফতী আব্দতুল আহাদ, মাওলানা নজরুল ইসলাম, নজরুল ইসলাম খোকন ও মাওলানা কামাল হোসাইন।
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র সমাজের নেতৃবৃন্দ বলেন, ২০২৩ সালের জন্য প্রণীত পাঠ্যসূচি থেকে ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে ইসলাম ধর্মীয় মূল্যবোধ ও চেতনা সমৃদ্ধ গল্প প্রবন্ধ ও কবিতা বাদ দিয়ে হিন্দুত্ববাদের উৎসাহ মূলক রচনা ও নাস্তিকতার চেতনা সংশ্লিষ্ট প্রবন্ধ কবিতার অন্তর্ভুক্তি কোন ভাবেই মেনে নেয়া হবে না। নেতৃবৃন্দ জমিয়াতুল মোদারের্ছীনের ঘোষিত ১৩ দফা দাবির প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে বলেন, প্রয়োজনে তীব্র আন্দোলনের মাধ্যমে ইসলামী শিক্ষার বিরুদ্ধে যেকোনো ষড়যন্ত্রকে প্রতিহত করা হবে। সম্প্রতি ইসলামী ছাত্র সমাজের ঢাকা মহানগরীর বাছাইকৃত কর্মীদের দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কোর্সে নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন।
প্রধান অতিথি ও প্রশিক্ষক হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির কেন্দ্রীয় প্রচার সচিব ও ইসলামী ছাত্র সমাজের সাবেক সভাপতি আবদুল্লাহ আল মাসউদ খান। সংগঠনের মহাসচিব এহতেশামুল হক সাখী বলেন, একটি ইসলাম বিদ্বেষী কুচক্রী মহল হিন্দুত্ববাদের এজেন্ডা বাস্তবায়নের চক্রান্ত হিসেবে বারবার সিলেবাসে ইসলামী চেতন ও বিশ্বাসকে বাদ দিয়ে হিন্দুত্ববাদের উদ্দীপনা মূলক রচনাকে অন্তর্ভুক্ত করার গভীর ষড়যন্ত্র করে আসছে। এই দেশের সচেতন উলামা মশায়েখ ও তৌহিদী ছাত্র জনতাকে নিয়ে তা’ প্রতিহত করতে হবে। আরো উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় ছাত্র নেতা সাকিবুুল হাসান, মহানগর সভাপতি মামনুন ইসলাম, সহ সভাপতি হাফেজ ইসমাইল, সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম শাহীন ও আবু হুরায়রা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।