পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপির সমাবেশে নেতাকর্মীদের হাতে লাঠি থাকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সমাবেশে লাঠি নিয়ে কেন তাদের নেতাকর্মীদের বের হতে হবে? জাতীয় পতাকা লাঠির সঙ্গে বেঁধে তারা আন্দোলন করবে, এটিও তো আরেক সন্ত্রাস। এটি বন্ধ করতে হবে।
গতকাল শহীদ নূর হোসেন দিবস উপলক্ষ্যে রাজধানীর জিরো পয়েন্টে নূর হোসেন স্কয়ারে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এ সময় ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আন্দোলনে গণতন্ত্র মুক্তি পেয়েছে, শৃঙ্খল মুক্তি পেয়েছে, কিন্ত গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে বাংলাদেশে অনেক প্রতিবন্ধকতা আছে। গণতন্ত্রকে বারবার বাধাগ্রস্ত করা হয়েছে। ১৫ আগস্টে রাজনৈতিক সম্পর্কে বিভিন্ন দলের যে উঁচু দেয়াল বিএনপি তুলেছিল, সেই দেয়াল ৩ নভেম্বর আরও উঁচু হলো। ২১ আগস্ট আরও উচ্চতা পেল। এটি তো গণতন্ত্র বিকাশের পথে প্রধান অন্তরায়।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে আমরা লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি। আমাদের এই লড়াই অব্যাহত থাকবে। গণতন্ত্র একটি বিকাশমান প্রক্রিয়া, এটি কোনো ম্যাজিক্যাল ট্রান্সফরমেশন নয় যে রাতারাতি পরিবর্তন হয়ে যাবে। আমাদের নেত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা স্বৈরাচার থেকে গণতন্ত্রকে শৃঙ্খলমুক্ত করার আন্দোলন করেছেন।
১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর তৎকালীন স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে রাজধানী ঢাকার রাজপথে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মিছিলে শহীদ হন নূর হোসেন। যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালিত হয়েছে। এদিন নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বিভিন্ন দল ও সংগঠন তার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানায়।
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির পক্ষ থেকে নূর হোসেন চত্বরে শ্রদ্ধা জানান দলের পলিটব্যুরোর সদস্য আনিসুর রহমান মল্লিক, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আবুল হোসাইন, মোস্তফা আলমগীর রতন প্রমুখ। বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) কেন্দ্রীয় নেতা জুলফিকার আলী, খালেকুজ্জামান লিপন; বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য আকবর খান, মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক মীর মোফাজ্জল হোসেন নূর হোসেন চত্বরে শ্রদ্ধা জানান।
বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফীর নেতৃত্বে শহীদ নূর হোসেনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি দিলীপ কুমার রায়, শরফুদ্দিন আহমেদ সেন্টু, আব্দুস সাত্তার মাসুদ, হেদায়েত উল ইসলাম স্বপন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন মহি, সাংগঠনিক সম্পাদক আখতার হোসেন ও গোলাম সারোয়ার কবির, দপ্তর সম্পাদক মো. রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক শরীফুল ইসলাম শরীফ প্রমূখ। জুরাইন কবরস্থানে নূর হোসেনের কবরে এই শ্রদ্ধা জানায় জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ), যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগ, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, যুব মৈত্রী, ছাত্রদল, ছাত্রমৈত্রী, শহীদ নূর হোসেন ফাউন্ডেশনসহ বিভিন্ন সংগঠন। শহীদ নূর হোসেন চত্বর ও জুরাইন কবরস্থানে নূর হোসেনের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছে ওয়ারী থানা আওয়ামী লীগের সদ্য সাবেক সভাপতি চৌধুরী আশিকুর রহমান লাভলু, ডেমরা থানা আওয়ামী লীগের সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান মোল্লা সজল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।