পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
তোমরা ভালো থেকো, ঠিকভাবে খাওয়া-দাওয়া করিও- এ কথা বলেই দুই সন্তানকে জড়িয়ে ধরে আদালতে কান্না শুরু করে দেন পুলিশের সাবেক এসপি বাবুল আক্তার। এসময় তার দুই সন্তানও বাবাকে জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়েন। গতকাল বৃহস্পতিবার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারকে এক দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে শুনানি শেষে বাবুল আক্তারকে নেওয়া হচ্ছিল হাজতখানায়। এসময় আদালতেই বাবুল আক্তার তার দুই সন্তানকে জড়িয়ে ধরে কান্না করতে থাকেন। দুই সন্তানকে বুকে জড়িয়ে ধরে আদর করতে থাকেন বাবুল আক্তার। এ দৃশ্য দেখে অনেকের চোখেই পানি চলে আসে তখন। কান্না করতে থাকেন উপস্থিত অনেকে।
মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় মিথ্যা ও অসত্য তথ্য সরবরাহ ও প্রচারের অভিযোগে ওই মামলায় বাবুল আক্তারকে সাত দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে পুলিশ। গতকাল উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মামলায় বাবুল আক্তারকে চার নম্বর আসামি করা হয়। প্রধান আসামি করা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইনকে। অন্য দুই আসামি হলেন বাবুলের ভাই হাবিবুর রহমান লাবু ও বাবুলের বাবা ওয়াদুদ মিয়া।
গত ২৭ সেপ্টেম্বর চারজনের বিরুদ্ধে পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদার মামলা করেন। এ মামলায় বাবুল আক্তারকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
শুনানিতে বাবুল আক্তারের আইনজীবী শিশির মনির বলেন, বাবুল আক্তারের বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা করা হয়েছে। মিতু হত্যাকান্ডের সময় তিনি ঢাকায় ছিলেন। মিতু হত্যা মামলায় জোর করে তার জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে। পিবিআই অফিসে তাকে ৫৩ ঘণ্টা আটকে রেখে জবানবন্দি দিতে চাপ প্রয়োগ করা হয়। তিনি নির্দোষ।
অপরদিকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ধানমন্ডি থানার পরিদর্শক (অপারেশন) রবিউল ইসলাম মামলার সুষ্ঠু তদন্তসহ তিন কারণে বাবুলকে রিমান্ডে নিতে যুক্তি দেখান। বাবুল আক্তার জেলা কারাগারে থাকাকালীন কীভাবে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য-উপাত্ত বিদেশে থাকা আসামি ইলিয়াসের কাছে সরবরাহ করেছেন এবং কার কার সঙ্গে কথা বলেছেন তা জানার জন্য রিমান্ড আবশ্যক।
২০১৬ সালের ৫ জুন চট্টগ্রাম নগরের জিইসি মোড় এলাকায় ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে গিয়ে গুলি ও ছুরিকাঘাতে নিহত হন বাবুলের স্ত্রী মাহমুদা। এ ঘটনায় বাবুল আক্তার প্রথমে বাদী হয়ে মামলা করেন।
তদন্ত শেষে পিবিআই গত বছরের ১২ মে এ মামলায় চ‚ড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়। একই দিন বাবুলের শ্বশুর সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মোশাররফ বাদী হয়ে পাঁচলাইশ থানায় হত্যা মামলা করেন। এ মামলায় বাবুলসহ আটজনকে আসামি করা হয়। এ মামলায় ১৩ সেপ্টেম্বর বাবুল আক্তারসহ সাতজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছে পিবিআই। বাবুল বর্তমানে কারাগারে আছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।