পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মোহাম্মদ শামছদ্দোহা, লামা থেকে ঃ ব্যাপক অনিয়মের মধ্য দিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের অর্থায়নে ৫ কোটি ২৫ লাখ টাকা ব্যয়ে বান্দরবনে লামা উপজেলার রূপসীপাড়া ইউনিয়নের লামা খালের উপর নির্মিত গার্ডার ব্রিজটি উদ্বোধনের আগে দেবে গেল। কার্যাদেশ প্রদানের ৩ বছরেও শেষ হয়নি ব্রিজের কাজ। নির্মাণাধীন ব্রিজের কাজে নানান অনিয়মের অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা। ফাইলিং পিলারের সাথে সমন্বয় না রেখে বেইজ ঢালাই দেয়ায় ব্রিজের পূর্ব দিক থেকে ৩য় ও ৪র্থ পিলার দু’টি আংশিক ডেবে গেছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। ৯০ মিটার এই গার্ডার ব্রিজে নি¤œমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার, সøাব ঢালাই ও অন্যান্য নির্মাণকাজে অনিয়মের কারণে যেটুকু কাজ শেষ হয়েছে তার নির্মাণকাজের গুণগতমান খুবই নিম্নমানের মর্মে অভিযোগ স্থানীয় জনসাধারণের।
পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের অর্থায়নে ৫ কোটি ২৫ লাখ টাকা চুক্তিমূল্যে মি. প্রসন্ন কান্তি আমু ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের নামে মোঃ নুরুল আবচার নামক জনৈক ব্যক্তি ব্রিজের নির্মাণ কাজ করছেন। ১ বছর সময় দিয়ে ২০১৪ সালের ২২ এপ্রিল কার্যাদেশ প্রদান করা হয়। কার্যাদেশের সময় মোতাবেক নির্মাণ কাজ শুরু না করায় নির্ধারিত সময়ে ব্রিজের নির্মাণ কাজ শেষ হয়নি। ঠিকাদারের একাধিক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ৩০ জুন ২০১৭ পর্যন্ত সময় বর্ধিত করা হয়েছে। যথাযথ তদারকির অভাব ও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের গাফিলতির কারণে বর্ধিত সময়েও ব্রিজের নির্মাণ কাজ শেষ করা সম্ভব হবে না মর্মে স্থানীয়রা আশংকা করছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা আকবর আলী, রবিউল সিকদার, অংশেপ্রু মার্মা, রহিমা খাতুন ও ওসমান গণিসহ অনেকে জানিয়েছেন ব্রিজের নির্মাণকাজে ব্যবহৃত মালামাল খুবই নিম্নমানের। ব্রিজের ফাইলিং নির্মাণে সিডিউল অনুসরণ করা হয়নি। ঠিকাদার সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীর সাথে আতাত করে নিম্নমানের বালি, ইট, পাথর ও রড ব্যবহার করেছে। ব্রিজ নির্মাণে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয় উপকরণের অভাব ছিল। দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকৌশলীদের অনুপস্থিতিতে ব্রিজের নির্মাণ কাজ করা হচ্ছে। পাইলিং পিলারের সাথে সমন্বয় না রেখে বেইজ ঢালাই দেয়া হয়েছে। কাজের বাস্তব অগ্রগতির চেয়ে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে অতিরিক্ত বিল প্রদান করা হয়েছে। গুণগতমান নিশ্চিতের জন্য ল্যাবটেষ্টে প্রদর্শিত নিমাণ সামগ্রীর সাথে ব্রিজের ব্যবহৃত নির্মাণ সামগ্রীর মিল নেই।
অনিয়মের বিষয় নিয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আব্দুল আজিজ জানিয়েছেন, নির্মাণকাজের অনিয়মের কোন অভিযোগ পাইনি। এবিষয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড চেয়ারম্যান নববিক্রম কিশোর ত্রিপুরা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, এই বিষয়ে খোঁজ-খবর নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।