পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সিলেট অফিস : সিলেটের কলেজ শিক্ষার্থী খাদিজা বেগম নার্গিসকে হত্যাচেষ্টা মামলায় আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন স্কয়ার হাসপাতালের নিউরো সার্জন ডা. এমএ রেজাউস সাত্তার। গতকাল (বৃহস্পতিবার) বেলা সাড়ে ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত সিলেট মুখ্য মহানগর হাকিম সাইফুজ্জামান হিরোর আদালতে সাক্ষ্য প্রদান করেন তিনি। পরে আদালত ৮ জানুয়ারি তারিখ ধার্য্য করে খাদিজাকে হাজিরের নির্দেশনা দেন।
সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালতের এপিপি মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘ডা. রেজাউস সাত্তারের সাক্ষ্য প্রদানের মধ্য দিয়ে খাদিজা হত্যাচেষ্টা মামলায় এ পর্যন্ত ৩৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। এর আগে গত ৫ ডিসেম্বর সাক্ষ্যগ্রহণের প্রথম দিন বদরুল আলমের বিরুদ্ধে আদালতে ১৭ জন সাক্ষ্য প্রদান করেন। পরে ১১ ডিসেম্বর সাক্ষ্য দেন আরো ১৫ জন।’
তিনি বলেন, ‘আদালত পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ৮ জানুয়ারি তারিখ ধার্য্য করেছেন। ওইদিন সম্ভব হলে খাদিজাকে আদালতে হাজির করার কথা বলেছেন আদালত।’
এদিকে সাক্ষ্য প্রদানের পর আদালতের বাইরে এসে ডা. রেজাউস সাত্তার বলেন, ‘স্কয়ার হাসপাতালে খাদিজাকে ভর্তি করার পরবর্তী সময়ে তার শারীরিক ও মানসিক অবস্থার বিষয়ে আদালতকে অবহিত করেছি।’
এদিকে গতকাল আদালতে খাদিজার হাজির হওয়ার বিষয়ে আদালতের নির্দেশনা থাকলেও তার শারীরিক অবস্থা দীর্ঘ যাত্রার জন্য এখনো সুস্থ না হওয়ায় তিনি হাজির হননি। তার পক্ষে ডাক্তারের সার্টিফিকেট আদালতে দাখিল করা হয়।
গত ৮ নভেম্বর খাদিজা হত্যা চেষ্টা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিলেট নগরীর শাহপরান থানার এসআই হারুনুর রশীদ আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। গত ১৫ নভেম্বর আদালত চার্জশিট গ্রহণ করেন। গত ২৯ নভেম্বর আদালত বদরুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন।
প্রসঙ্গত, গত ৩ অক্টোবর এমসি কলেজে সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী খাদিজা বেগম নার্গিসকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অনিয়মিত ছাত্র ও শাবি ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক বদরুল আলম। ঘটনার পরপরই শিক্ষার্থীরা বদরুলকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেন। এ ঘটনায় খাদিজার চাচা আবদুল কুদ্দুস বাদী হয়ে বদরুলকে একমাত্র আসামি করে মামলা দায়ের করেন। গত ৫ অক্টোবর বদরুল আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। পরে তাকে কারাগারে প্রেরণ করেন আদালত। এছাড়ার ঘটনার পর শাবি থেকে চিরতরে বহিষ্কার করা হয় বদরুলকে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।