প্রশ্ন : বিদেশ থেকে দেশে ফিরলে মুসাফির থাকা প্রসঙ্গে।
প্রশ্নের বিবরণ : আমি ২৩ বছর হল অষ্ট্রেলিয়া থাকি এবং বলতে গেলে এটাই এখন আমার পারমানেন্ট ঠিকানা। দেশে যাওয়া হয় খুব কম, তবে যখন যাই
প্রশ্নের বিবরণ : অবৈধ পথে যেমন মাদক ব্যবসা, কালোবাজারী ও চোরাচালানের মাধ্যমে পয়সা কামাই করা শরীয়তে বৈধ কি না, এ সব পয়সা মসজিদ মাদ্রাসার জন্যে গ্রহণ করা জায়েজ হবে কি?
উত্তর : দেশ ও জাতির জন্যে ক্ষতিকর কোনো পন্থায় তথা সরকারী কর ফাঁকি দিয়ে চোরাচালান বা কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণ ভেঙ্গে কালোবাজারী করা ইসলাম সম্মত নয়। এ ধরনের কোনো কাজ করা ক্ষেত্র বিশেষে, তাকওয়ার পরিপন্থি, কখনো মাকরুহ আর কখনো বা হারাম। সুতরাং সুনির্দিষ্টভাবে বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত হয়ে শরীয়তের বিজ্ঞ ব্যাখ্যাদাতাগণ সঠিক রায় দিতে পারবেন। মাদক ব্যবসাসহ যে কোনো হারাম উপায়ে অর্জিত টাকা পয়সা দান করে কোনো সওয়াব আশা করা যায় না। হারাম উপায়ে অর্জিত টাকা পয়সা কেউ মসজিদে বা মাদ্রাসায় দান করলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জন্যে তা গ্রহণ করা অবৈধ হবে না। যে সচেতনভাবে এসব দান করলো, তার ওপরই এসবের সকল দায়-দায়িত্ব বর্তাবে। কারণ, কোনো ভিক্ষুক, শ্রমিক বা সমাজকর্মীর জন্যে যে পারিশ্রমিক বা দান লাভ করা বৈধ হয়, তার উৎস সন্ধান করা সংশ্লিষ্ট গ্রহীতার জন্যে অপরিহার্য নয়। এ ক্ষেত্রে পবিত্র ও হালাল অর্থ-সম্পদ প্রদান করা দাতারই কর্তব্য।
উত্তর দিয়েছেন : আল্লামা মুফতি উবায়দুর রহমান খান নদভী
সূত্র : জামেউল ফাতাওয়া, ইসলামী ফিক্হ ও ফাতওয়া বিশ্বকোষ।
প্রশ্ন পাঠাতে নিচের ইমেইল ব্যবহার করুন।
[email protected]
ইসলামিক প্রশ্নোত্তর বিভাগে প্রশ্ন পাঠানোর ঠিকানা
[email protected]
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।