পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
শ্রীপুর (গাজীপুর) উপজেলা সংবাদদাতা : উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানের বাড়ির মালিক, দোকান-মার্কেট মালিক ও শপিং মলের মালিকদের বিরুদ্ধে প্রতি বছরই কোটি কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। তারা বিভিন্ন কৌশলে এ রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে থাকেন। ভাড়াটিয়াদের নিকট থেকে জামানত বা ভাড়া নিলে এর বিপরীতে তারা কোনো ডিড-ডকুমেন্ট বা প্রমাণপত্র কিংবা টাকাপ্রাপ্তির মানি রিসিপ্ট বা প্রাপ্তি স্বীকারপত্র দেন না। জামানতের বিপরীতে কোনো ডিড-ডকুমেন্ট না দেয়ার কারণে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌরসভা কর্তৃপক্ষ হোল্ডিং ট্যাক্স, চৌকিদারি ট্যাক্স নিতে পারছেন না। এমনকি এসব ডিড-ডকুমেন্ট না থাকার কারণে সরকার প্রতি বছর কোটি কোটি টাকার আয়কর থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন ব্যাংকের আয়ের অংশ কমে যাচ্ছে।
জানা গেছে, শিল্পাঞ্চলখ্যাত শ্রীপুর সদর, মাওনা, জৈনা, নয়নপুর, এমসিবাজার, সিএন্ডবি বাজার, মাস্টারবাড়ি, গড়গড়িয়া, রাজাবাড়ি, কাওরাইদ, সাইটালিয়া, টেপিরবাড়ি, ধনুয়া, বৈরাগীরচালা, বেড়াইদেরচালা, মাধখলাসহ অর্ধশতাধিক গুরুত্বপূর্ণ স্থানে প্রায় ২০-২৫ হাজার বাড়ি-দোকান-মার্কেট-শপিং মলের দোকান মালিকদের ৯৫ ভাগ ভাড়াটিয়াকে ঘর ভাড়া দেয়ার সময় জামানতের বিপরীতে কোনো প্রকার ডিড-ডকুমেন্ট কিংবা রসিদ এমনকি ঘর-দোকান ভাড়া নেয়ার সময় কোনো রসিদ প্রদান করেন না। জামানত বা ভাড়া নেয়ার সময় মালিকপক্ষ তাৎক্ষণিক সান্ত¦নাস্বরূপ তাদের নিজস্ব নোটবুকে (চটিবুক) টাকার অংক লিখে রাখেন। দোকানদার বা ব্যবসায়ীরা এসব লেনদেনের সময় ডিড-ডকুমেন্ট বা রসিদ চাইলে ঘর ছেড়ে দেয়ার হুমকি দেয় মালিকপক্ষ। ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেন, এসব ডিড-ডকুমেন্ট না থাকার কারণে তারা ব্যাংক থেকে কোনো প্রকার লোন বা সিসি লোন গ্রহণ করতে পারছেন না। যেহেতু ডিড-ডকুমেন্ট নেই, সেহেতু ব্যাংক কর্তৃপক্ষ লোন বা সিসি লোন দিতে পারছেন না। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শুধু মাওনা চৌরাস্তা ও এর আশপাশ এলাকায় ১০ সহ¯্রাধিক দোকানঘর রয়েছে। ব্যাংক লোন নিতে না পারায় সরকার এ থেকে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে। উচ্ছেদের ভয়ে ভাড়াটিয়ারা মালিকদের এই অন্যায় বা অবৈধ পন্থা মুখ বুঝে সহ্য করছেন। বেশ কয়েক ব্যবসায়ী ও ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতারা জানান, ‘দেখুন আমরা মালিকদের নিকট জিম্মি, তাদের মর্জিমতো না চললে জামানতের টাকা অস্বীকার করে উচ্ছেদ করে দেবে বলি হুমকি দেয়’। তারা দুঃখ করে বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে মাওনা চৌরাস্তা এলাকায় দোকান ভাড়া নিয়ে জামানতের বিপরীতে ডকুমেন্ট চাওয়ায় শপিং মলের মালিক বেধড়ক মারধর করে ঐ ব্যবসায়ীকে মালামালসহ বের করে দিয়ে নাজেহাল করেন। এতে তাদের শেষ হয় না? প্রয়োজনে ঘর-দোকান-শপিং মালিকরা তাদের পিতা-মাতা, দাদা-দাদী, নানা-নানীসহ আত্মীয়-স্বজন মারা গেলে দোকান-শপিং মল বন্ধ রাখতে বাধ্য করা হয়। উপর্যুপরি মৃত ব্যক্তিদের কুলখানি, চেহলাম, মৃত্যুবার্ষিকী পালনের জন্য ধার্যকৃত চাঁদা না দিলে ঐ সব মালিকরা ভাড়াটিয়াদের লাঠিপেটা করে বের করে দেন। সময় সময়ে মালিকপক্ষ ব্যবসায়ীদের (ভাড়াটিয়া) পুলিশি হয়রানি করে থাকে। এসব নির্যাতন থেকে বাঁচার জন্য স্থানীয় ব্যবসায়ী ও ব্যবসায়ী সংগঠনগুলো যথাযথ কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।