পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
নজরুল ইসলাম, রাজবাড়ী থেকে ঃ অগ্রাহায়নে শুরুতে শীতের আগমনে সারাদেশে দিনে দিনে শীতের তীব্রতা বাড়তে শুরু করেছে। শীতের কবল থেকে রক্ষা পেতে শীতের উষ্ণতা ছড়াতে লেপ ও তোষকের জুরি নেই। তাই এ সময়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে রাজবাড়ীর লেপ তোষকের কারিগররা। তাদের অভিযোগ মালিকরা তাদের অনেক কম মজুরি দিয়ে কাজ করিয়ে নেন। আর মালিকরা জানান সরকারিভাবে যতি কম শর্তে লোন প্রদান করে, তবে তারা আরো লাভবান হতে পারতো। সারাদেশের মত রাজবাড়ীর প্রতিটি উপজেলা লেপ-তোষকের কারখানা ও দোকানে শীতের শুরুতে শীত বরণের প্রস্তুতি চলছে। সময়ের পরিবর্তনে সাথে সাথে নিত্যনতুন অনেক ধরনের শীত বস্ত্র বাজারে থাকলেও লেপ ব্যবহারে বাড়তি আগ্রহ রয়েছে সবার মধ্যে। কারণ প্রাচীনকাল থেকেই চলে আসছে লেপের ব্যবহার। লেপের পাশাপাশি শীতের উষ্ণতা আনতে বিছানায় তোষকের প্রয়োজনীয়তা অনেকে মনে করছে। সে কারণে তোষকও বেশ তৈরি করা হচ্ছে দেখা যায় প্রতিটি দোকান ও কারখানায়। রাজবাড়ী শহরের লেপ তোশক বাজার এলাকার প্রায় ২০ টির অধিক কারখানা ও দোকান রয়েছে । যাতে পুরাতন লেপ তোষকের তুলা পুনরায় মেশিনের সাহায্যে প্রস্তুুত করে। নতুন তুলা মিশিয়ে বা সম্পূর্ন নতুন করে এ গুলো তৈরি করা হচ্ছে। প্রতিদিন সকাল থেকে শুরু করে রাত ১০টা পর্যন্ত কাজ চলছে প্রতিটি কারখানা ও দোকানে। এ ছাড়া শীত মৌসুমে প্রতিদিন একটি কারখানায় ১৫ থেকে ২০টি করে লেপ তৈরি করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।ে লেপ-তোষকের প্রায় ২০ ধরনের তুলা ব্যবহার করা হয়। যার প্রতি কেজির বাজার মুল্য ৩৫ টাকা থেকে শুরু করে ২শত টাকা পর্যন্ত। রাজবাড়ীর লেপ তোশক কারিগররা জানান, সারাদিন কাজ করে তারা দেড় থেকে দুই শত টাকা মজুরি পান এতে তাদের সংসার চালাতে অনেক কষ্ট হয়। মালিকরা তাদের সঠিক মূল্য দেন না বলেও তারা অভিযোগ করেন। রাজবাড়ীর লেপ তোশক ব্যাবসায়ীরা জানান, শীতের শুরুতেই একটু কাজের পরিমাণ বেশি থাকে। তাছাড়া শীত জুড়েও কাজ থাকে। তবে শীত বাড়তে থাকলে কাজ আরো বাড়বে বলে আশা করছেন তারা। প্রতিটি লেপ তৈরি করতে প্রায় ১ হাজার থেকে ১২শত টাকা লাগে। তবে বর্তমানে তুলা ও লেপের কাপরের দাম বেশি হওয়াতে একটু বেশি খরচ পড়ছে। তাছারা সরকারি কোনো সুযোগ সুবিধা না পাওয়ার অভিযোগ করেন তারা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।