বিএমইটি থেকে বিদেশগামী কর্মীদের বহির্গমন ছাড়পত্র হাতে পেতে গলদঘর্ম। নানা অনিয়ম অব্যবস্থাপনার দরুণ বিএমইটির ইমিগ্রেশন বিভাগ থেকে বহির্গমন ছাড়পত্র পেতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সির প্রতিনিধি ও মালিকরা বহির্গমন ছাড়পত্রের ফাইলের পেছনে পেছনে দৌড়-ঝাপ না করলে স্মাটকার্ড পেতে কয়েক দিন লেগে যায়। এতে নির্ধারিত ফ্লাইট বাতিল করতে হচ্ছে অনেক ক্ষেত্রে।

আজ বৃহস্পতিবার একাধিক রিক্রুটিং এজেন্সি এসব অভিযোগ তুলেছেন। আজ রাতে বিএমইটির পরিচালক (ইমিগ্রেশন) কে এম ফারাবির সাথে একাধিক বার মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন ধরেননি। বিএমইটির অপর একটি সূত্র জানায়, হাতে গোনা কয়েকটি রিক্রুটিং এজেন্সির অপতৎপরতায় বিএমইটির কর্মকর্তারা অতিষ্ট হয়ে পড়েছেন। এসব কারো কারো এজেন্সির প্রতিনিধিদের বিএমইটিতে আলমিরা ব্যবহারের সুযোগ করে দেয়া হয়েছে। ফলে জাল জালিয়াতির ঘটনা ধামা চাপা দেয়ার লক্ষ্যে মাঝে মধ্যেই বহির্গমন ছাড়পত্রে ফাইলও গায়েব হয়ে যাচ্ছে বলে জানা গেছে। দোর্দন্ড প্রতাপশালী গুটি কয়েক রিক্রুটিং এজেন্সিকে নিয়ন্ত্রণের জন্য বিএমইটির ইমিগ্রেশনের গেইট তালা লাগিয়ে বহির্গমন সাময়িক বন্ধ করে দেয়া হয় বলে সূত্র জানায়।

এদিকে, অতিসম্প্রতি প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আহমদ মুনিরুছ সালেহীনের নির্দেশনায় একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি বিএমইটির ৮/৯ জন কর্মকর্তা জাল জালিয়াতির মাধ্যমে দুবাইতে মানবপাচারের ঘটনায় জড়িত হওয়ার প্রমাণ পেয়েছে। এ ঘটনা নিয়ে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে বিএমইটির ডিজি শহিদুল আলম কয়েকজন কর্মকর্তাকে ঢাকার বাইরে বদিল করেছেন। সরকার গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে জাল জালিয়াতির ঘটনায় প্রমাণিত হওয়ায় ওয়েজ আর্নার্স কল্যান বোর্ডের মহাপরিচালক হামিদুর রহমান বিএমইটির সার্ভারের মূল দায়িত্বে থাকা কর্মচারী সাইদুল ইসলামকে সাসপেন্ট করেছেন।