পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, আজকে দেশে গণতন্ত্র নাই। ভোটের অধিকার নেই। দ্রব্যমূল্যের দাম সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। গরীব মানুষ কী চায়, তারা কী লাখ লাখ টাকা চায়? তারা পেট ভরে তিনবেলা খেতে চায়। দরিদ্র মানুষ চায় পাঁচ বছর পরে স্বাধীনভাবে ভোট দিয়ে তাদের পছন্দের সরকার নির্বাচিত করবে। এক সময় আওয়ামী লীগ তো নিজেই বলতো, আমার ভোট আমি দেব যাকে খুশি তাকে দেব। এখন আওয়ামী লীগ বলে আমার ভোট আমি দেব, দিনের ভোট রাতে দেব। এখন দিনের ভোট রাতে দিলে তো, ভোটের অধিকার থাকে না।
বুধবার (৯ নভেম্বর) দুপুরে মৌলভীবাজার শহরের রেস্ট ইন হোটেলের কনফারেন্স হলে বিএনপির সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, বিএনপি সারাদেশের বিভাগীয় পর্যায়ে দশটি গণসমাবেশ করছে। এর মধ্যে সিলেটেরটা সাত নম্বর। ইতোমধ্যে পাঁচটি সমাবেশ হয়েছে। আপনারা দেখেছেন প্রত্যেকটি সফল হয়েছে। লাখ লাখ লোক এসেছে। তারা কেন এসেছে, একটি মাত্র কারণ। তারা অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছে। তারা এদেশে ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য এসেছে। বাংলাদেশ যখন স্বাধীন হয়, গণতন্ত্রের কথা ছিল প্রথমে। দ্বিতীয় কথা ছিল, দেশের দরিদ্র মানুষের অর্থনৈতিক উন্নয়ন। আজকে দেশে কী অবস্থা হয়েছে, গুটি কয়েক মানুষ ও একটি গোষ্ঠী শোষণ করছে।
ড. আব্দুল মঈন খান আরও বলেন, আওয়ামী লীগ উন্নয়নের জোয়ারের কথা বলে দেশকে দুর্নীতির জোয়ারে পরিণত করেছে। বাংলাদেশে গণতন্ত্র নেই। এই দেশে জনগণের সরকার নেই। আমরা স্বাধীনতা যুদ্ধ করেছিলাম। লাখ লাখ মানুষ জীবন দিয়েছিল, বুকের রক্ত ঢেলে দিয়েছিল গণতন্ত্রের জন্য। আজকের স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পরে, কেন বলতে হচ্ছে দেশে গণতন্ত্র নেই, ভোটাধিকার নেই। বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, আজকে বিএনপি আন্দোলন করছে দ্রব্যমূলের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির জন্য। সেই আন্দোলন করতে গিয়ে আমার দলের সাতজন ভাইকে শহীদ হতে হয়েছে। সেই কারণে সারাদেশের সর্বস্তরের ক্ষুব্ধ মানুষ আজ বিএনপির সমাবেশে যোগ দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে। যারা নেতৃত্বে আছি আমরা যেন সতর্ক হই। যারা যেখানে দায়িত্বে আছেন তা সঠিকভাবে পালন করতে হবে।
বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবন বলেন, সরকারের শত বাধা বিপত্তিকে উপেক্ষা করে সারাদেশে বিএনপি গণসমাবেশে জনগণ ট্রেনে, নৌপথে, হেঁটে সভা সমাবেশে উপস্থিত থেকে এই সরকারের গদিকে কাঁপিয়ে দিচ্ছে। সিলেটের সমাবেশকেও মৌলভীবাজারের পক্ষ থেকে গণসমাবেশে দলে দলে যোগ দিয়ে মহাসমাবেশের রূপ দিতে হবে। শেখ হাসিনাকে আর ক্ষমতায় রাখা যাবে না। তাকে ক্ষমতাচ্যুত করে একটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের মাধ্যমে বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে দেশের মানুষের সরকার প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।
জেলা বিএনপির সভাপতি এম নাসের রহমান বলেন, দেশে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনতে বিএনপি আন্দোলন করছে। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ হিটলারের প্রেতাত্মা। এই আওয়ামী লীগ ১৬৪ দিন দেশের অর্থনীতিকে জিম্মি করে গাল চিপে ধরে চিটাগাং পোর্ট বন্ধ করে দিয়ে তত্বাবধায়ক সরকার প্রবর্তনের জন্য জ্বালাও পোড়াও লগি বৈঠার আন্দোলন করেছিল। এই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে, আওয়ামী লীগ দেশেকে অচল করেছিল। সেদিন দেশকে রক্ষা করার জন্য বেগম জিয়া তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি ষষ্ঠ সংসদে পাশ করেন। অথচ তারা ক্ষমতায় এসে এই পদ্ধতিকেই বাতিল করল। এখন তারাই দেশের মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। দিনের ভোট রাতে করছে। এ অবস্থা আর চলতে দেয়া যায় না। যত বাধাই আসুক তা পেরিয়ে দলের সকল নেতা-কর্মীদের প্রস্তুতি নিতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।