পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বর্তমান সরকারের নীতি নির্ধারকদের গণতন্ত্র এবং মানবাধিকার সুরক্ষার তাগাদা দিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জো বাইডেন প্রশাসন বলেছে, তারা বাংলাদেশে আইনের শাসনের বাস্তবায়ন এবং সব নাগরিকের মৌলিক অধিকারের বাস্তবায়ন দেখতে চায়। গত সোমবার স্টেট ডিপার্টমেন্টের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলরত বিরোধীদল বিএনপিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হুমকি প্রসঙ্গে এ মন্তব্য করেন মুখপাত্র নেড প্রাইস।
সম্প্রতি বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বিএনপি আন্দোলনের নামে বাড়াবাড়ি করলে খালেদা জিয়াকে আবারো জেলে পাঠানো হবে।’ এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশের আগামী জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে স্টেট ডিপার্টমেন্টের এই মুখপাত্র বলেন, জনগণকে নিজেদের পছন্দের সররকারকে বেছে নেয়ার সুযোগ তৈরি করে দিতে হবে। আগামী নির্বাচন হতে হবে অবাধ ও নিরপেক্ষ। নিশ্চিত করতে হবে সুশীল সমাজের ব্যাপকভিত্তিক অংশগ্রহণ। একইসঙ্গে বিরোধীদলের আন্দোলনে কোনো ধরনের ভীতি প্রদর্শন কিংবা বাধা প্রাদান না করে শান্তিপূর্ণ পন্থায় হাঁটতে সরকারকে যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনের পররাষ্ট্রনীতির বার্তার কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন নেড প্রাইস।
ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর হুমকি প্রসঙ্গ উত্থাপন করে স্টেট ডিপার্টমেন্ট বাংলাদেশের এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের পররাষ্ট্রনীতির অবস্থান স্পষ্ট করে নেড প্রাইস বলেন, সারাবিশ্বে যুক্তরাষ্ট্র পররাষ্ট্রনীতিতে যে দুটি বিষয়কে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয় তা হলো- গণতন্ত্র এবং মানবাধিকার। এ বিষয়গুলো নিয়ে আমরা সবসময় প্রকাশ্যে কথা বলে আসছি।
বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন সরকারকে আইনের শাসন এবং মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হবার আহ্বান জানিয়ে স্টেট ডিপার্টমেন্টের এই মুখপাত্র বলেন, যেসব দেশের সরকারের সঙ্গে আমরা এ ইস্যুতে কথা বলেছি তার মধ্েয বাংলাদেশ রয়েছে। এর মাধ্যমে আমরা গণতন্ত্র, সংবিধানকে শক্তিশালী করা, আইনের শাসন এবং সকল বাংলাদেশিদের মানবাধিকারের সুরক্ষায় গুরুত্ব দিচ্ছি। এর আগেও আমি একই বিষয়ে আমাদের অবস্থান তুলে ধরেছি। আমি এখানেও বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অধিকার নিয়ে কথা বলেছি। আবার দ্বিপক্ষীয় পর্যায়ের সরকারের সাথে আলোচনার সময়ও এ বিষয়গুলো উত্থাপন করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, আমাদের (যুক্তরাষ্ট্র) এই আহ্বান জানানোর উদ্দেশ্য হলো যাতে করে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া শক্তিশালী হয়। যার মধ্যে রয়েছে সংবিধান, আইনের শাসনের বাস্তবায়ন, মানবাধিকারের সুরক্ষা এবং বাংলাদেশের সব মানুষের মৌলিক অধিকারের বাস্তবায়ন।
বাংলাদেশের আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বার্তার জানান দিতে নেড প্রাইস বলেন, আমরা আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সুশীল সমাজ এবং বাংলাদেশের জনগণের অংশগ্রহণ চাই যাতে করে তারা নিজেদের সরকারকে স্বাধীনভাবে বেছে নিতে পারে। আমরা এটাই আশা করি এবং বাংলাদেশ সরকারকে সে বিষয়টির দিকেই আহবান জানাচ্ছি।
বিরোধী দলের ওপর চলমান নিপীড়ন থামানোর আহ্বান জানিয়ে নেড প্রাইস বলেন, আমরা বাংলাদেশের সরকারকে বলবো বিরোধীদলের উপর বলপ্রয়োগ এবং বাধা ছাড়া মুক্তসমাবেশের সুযোগ করে দিতে যেনো তারা তাদের উদ্বেগের কথা স্বাধীনভাবে প্রকাশ করতে পারে। ##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।