পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রধানমন্ত্রীর পরিবারের সদস্যদের প্রটোকল অফিসারের ভুয়া পরিচয়ে বদলি বাণিজ্য, টেন্ডারবাজি ও প্রতারণার মাধ্যমে কোটি টাকা আত্মসাৎ চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদের একজন হরিদাস চন্দ্র ওরফে তাওহীদ ইসলাম ও অপরজন ইমরান মেহেদী হাসান। জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) ও র্যাবের যৌথ অভিযানে রাজধানীর বনানী থেকে গত সোমবার রাতে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়।
গতকাল মঙ্গলবার কারওয়ান বাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, এ চক্রের মূল হোতা হরিদাস চন্দ্র ধর্মান্তরিত হয়ে তাওহীদ ইসলাম নাম ধারণ করেন। তাদের কাছ থেকে চারটি মুঠোফোন, জালিয়াতিতে ব্যবহার করা বিভিন্ন নথি এবং প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এডিট করা ভুয়া ছবি জব্দ করা হয়েছে।
প্রতারক চক্রের প্রতারণাসহ নানা অপকর্মের বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে এনএসআই ও র্যাব-৩ যৗথ অভিযান চালিয়ে বনানী এলাকা থেকে তাওহীদ ইসলাম ও ইমরান মেহেদীকে গ্রেপ্তার করে। তাওহীদ ইসলাম বগুড়ার শিবগঞ্জের উথলী বাজার গ্রামের গোপীনাথের ছেলে। মো. ইমরান মেহেদী হাসান ময়মনসিংহের ত্রিশালের নওদার গ্রামের মো. সাইফুল ইসলামে ছেলে।
হরিদাস ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ার সময় অবৈধ উপায়ে ভারতে গিয়ে এক আত্মীয়ের বাসায় ছিলেন। ওই আত্মীয়ের মাধ্যমে সেখানকার পঞ্চায়েত প্রধানের কাছ থেকে কৌশলে এতিম সার্টিফিকেট গ্রহণ করেন। স্থানীয় একটি স্কুল থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পাস করেন। এরপর ইলেকট্রনিকস বিষয়ে দুই বছরের বিশেষ প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। ২০১০ সালে দেশে ফেরেন। উত্তরায় পুরাতন এসি কিনে মেরামত করে বিক্রির দোকানে কাজ শুরু করেন। ২০১৮ সালে এক সবজি বিক্রেতার সঙ্গে সাবলেট ভাড়া বাসায় অবস্থানকালীন সবজি বিক্রেতার মেয়েকে বিয়ে করার জন্য ২০১৯ সালে ধর্মান্তরিত হন। এরপর হরিদাস নিজের নাম বদলে রাখেন তাওহীদ ইসলাম।
পরে শ্বশুরের পরিচয়ে ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া এলাকায় কিছু জমি কেনেন। এরপরই প্রধানমন্ত্রীর পরিবারের সদস্যদের প্রটোকল অফিসার পরিচয়ে স্থানীয় রাজনীতিবিদ এবং বিত্তশালী ব্যক্তিদের সঙ্গে পরিচিত হয়ে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্প পাইয়ে দেয়া, চাকরি, বদলি, টেন্ডারসহ বিভিন্ন বিষয়ে তদবিবর নামে কোটি টাকা হাতিয়ে নেন। তার চক্রে পাঁচ-ছয়জন সহযোগী রয়েছেন। প্রতারণা করে অর্থ উপার্জনই তার মূল লক্ষ্য ও পেশা। গোয়েন্দা সূত্রে তার ব্যাংক হিসাবগুলোয় কোটি কোটি টাকা লেনদেনের প্রমাণ মিলেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।