Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রাজনৈতিক হতাহতের ঘটনা উদ্বেগের

ডিক্যাব টকে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৯ নভেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

বাংলাদেশে রাজনৈতিক সংঘাতে হতাহতের ঘটনা উদ্বেগজনক মন্তব্য করে ঢাকায় জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক গোয়েন লুইস বলেছেন, বাংলাদেশের নির্বাচনে জড়িত হওয়ার ম্যান্ডেট এই মুহূর্তে জাতিসংঘের নেই।
গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবে ডিপ্লোম্যাটিক করোসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ডিক্যাব) আয়োজিত ডিক্যাব টকে এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ মন্তব্য করেন।

গোয়েন লুইস বলেন, আমার কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে রাজনৈতিক সংঘাত ও মানুষের নিরাপত্তার বিষয়টি আমি কীভাবে দেখছি। মে মাসে আমি ঢাকায় আসার পর থেকে গত কয়েক মাসে মানুষ আহত হয়েছেন এবং নিহতও হয়েছেন। সুতরাং এটা নিশ্চিতভাবে উদ্বেগের। এখানে যেন কোনো রাজনৈতিক সংঘর্ষ না ঘটে সেজন্যে আমরা সবার প্রতি আহ্বান জানাই। যেকোনো সঙ্কট উত্তরণে আলোচনা বা ডায়ালগের কোনো বিকল্প নেই। রাজনৈতিক বিষয়গুলো ডায়ালগের মাধ্যমে সমাধান করা যেতে পারে।

রাজনৈতিক দল, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে জাতিসংঘ আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, কীভাবে সমাধান করা যায়, সেটা নিয়ে প্রত্যেক রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনার মধ্যেই রয়েছে জাতিসংঘ।
তিনি বলেন, আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলেছি, কথা বলেছি বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গেও। যাতে জীবন বাঁচানোর চেষ্টা এবং জীবন রক্ষা করা যায়। তিনি আরো বলেন, প্রতিবাদ ও সমাবেশ গণতন্ত্রেরই অংশ এবং এটার প্রতি সম্মান দেখাতে হবে। সংলাপ ও সংযোগের পথ তৈরি করতে আহ্বান জারি রাখার আশা রাখি আমরা।

নির্বাচন নিয়ে অতীতের মত সংলাপ আয়োজনের সম্ভাবনার বিষয়ে এক প্রশ্নে ঢাকায় জাতিসংঘের এই কর্মকর্তা বলেন, কোনো দেশে নির্বাচনে সম্পৃক্ততার সিদ্ধান্ত আমার কিংবা জাতিসংঘের নয়। এটা আমাদের সিদ্ধান্তের বিষয় নয়, এটা সরকারের বিষয়, তারা কোনো সহযোগিতা চায় কি-না।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ বা সাধারণ পরিষদ কিংবা কোনো দেশের পক্ষ থেকে সুনির্দিষ্ট অনুরোধ ছাড়া নির্বাচনে জড়িত হওয়ার ম্যান্ডেট জাতিসংঘের নেই।

তবে, ‘কোনো উদ্বেগ থাকলে’ তা নিয়ে জাতিসংঘ কাজ করে বলে জানান গোয়েন লুইস। এক্ষেত্রে সংঘাতে না জড়িয়ে সব দলের অংশগ্রহণে শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের বিষয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনারের প্রতিবেদনের উদাহরণ টানেন তিনি।
বাংলাদেশের নির্বাচনে জড়িত হওয়ার ম্যান্ডেট এই মুহূর্তে জাতিসংঘের নেই।

তিনি আরো বলেন, রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ার জন্য বাংলাদেশের প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতা। রোহিঙ্গাদের প্রতি আমরা সংহতি জানাই। রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের সঙ্গে জাতিসংঘ কাজ করছে। আমরা রোহিঙ্গা সঙ্কটের রাজনৈতিক সমাধান চাই। আমাদের উদ্যোগ অব্যাহত রেখেছি। গোয়েন লুইস বলেন, রোহিঙ্গাদের জন্য ডোনারদের দেয়া ফান্ড থেকে জাতিসংঘের স্থানীয় অফিস ব্যবস্থাপনার জন্য মাত্র ৬ থেকে ৭ শতাংশ ব্যয় করে। বাকি অর্থ রোহিঙ্গাদের জন্য ব্যয় করা হয়। এ ব্যয়ে স্বচ্ছতা রয়েছে।
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ইউক্রেন সঙ্কট নিয়ে চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এ সঙ্কট নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদে সংলাপ হয়েছে। এটা একটি কঠিন ও জটিল বিষয়।

জাতিসংঘের আবাসিক দূত বলেন, জাতিসংঘ শান্তি মিশনে বাংলাদেশের ৬ হাজার ৮০০ শান্তিরক্ষী রয়েছে। সেখানে বাংলাদেশের ৫০০ নারী শান্তিরক্ষী রয়েছে। এটা খুব ইতিবাচক।
এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন ডিপ্লোম্যাটিক করোসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (ডিক্যাব) এর সভাপতি রেজাউল করিম লোটাস ও সাধারণ সম্পাদক এ কে এম মঈনউদ্দিন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ