পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী বাড়াবাড়ি করবেন না। বাড়াবাড়ির সীমা আছে। খালেদা জিয়াকে জেলের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। কারণ গণতন্ত্রের প্রশ্নে তিনি আপোসহীন। তিনি বলেন, দেশের প্রধানমন্ত্রী কী ধোয়া তুলসি পাতা? তিনি কি দুর্নীতি করেননি? ওবায়দুল কাদের কত টাকা নিয়ে ধরা পড়েছিলেন? সুতরাং বেশি বাড়াবাড়ি করবেন না। বাংলাদেশের ইতিহাসের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ দুর্নীতিবাজ এই সরকার। তারা মধ্যম আয়ের দেশের কথা বলে নিম্ন আয়ের দেশ বানিয়েছে। এ জন্যই ওবায়দুল কাদের বলেছেন তিনি দেশ ছেড়ে পালাতে চান না। তাকে সাধুবাদ জানাই। কারণ পালানোর তো পথ পাবেন না। ওদের সময় শেষ, জনগণের বাংলাদেশ। গতকাল রোববার বিকেলে বিএনপির নয়াপল্টন দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির প্রতিবাদে জাতীয়তাবাদী যুবদল আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আদালতকে ব্যবহার করে আইনের অপপ্রয়োগের দ্বারা খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখেছেন। এরপরও খালেদা জিয়াকে জেলে পাঠানোর কথা বলেছেন। খালেদা জিয়াকে জেলের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। কারণ গণতন্ত্রের প্রশ্নে তিনি আপোসহীন।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, গ্রেফতারি পরোয়ানা দিয়ে আমাদের নেতা তারেক রহমানের কিছু যায় আসে না। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া কারাগারে বন্দী। আমাদের ৩৫ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা। মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহম্মেদকে আটক করেছে। বরিশাল যাওয়ার পথে ইশরাক সহ অন্যদের ওপর হামলা করে উল্টো তাদের বিরুদ্ধেই মামলা দিয়েছে। ৬ শতাধিক মানুষকে গুম করেছে। হাজারো মানুষকে বিনা বিচারে হত্যা করেছে। এসব করে আমাদেরকে কি দমিয়ে রাখতে পেরেছে? আমরা তো সমুদ্রে বাসা বেঁধেছি। সুতরাং সেখানে এক বিন্দু শিশির ভয় পাই না। সেজন্য মানুষ আজ জেগে উঠেছে।
তিনি বলেন, ইনশাআল্লাহ তারেক রহমান ফিরে আসবেন। মামলাগুলো প্রত্যাহার করা হবে। আমাদেরকে নতুন বাংলাদেশ গড়তে হবে। বিএনপি মহাসচিব বলেন, বরিশালে সমাবেশের মাঠে তিনদিন ধরে বাউফল থেকে এসে শুয়ে ছিলেন বয়োবৃদ্ধ খলিল সরদার। সাংবাদিকরা তার কাছে জানতে চান- আপনি এতো কষ্ট করে কেনো এসেছেন? তিনি বলেন, খালেদা জিয়া ভালো মহিলা, বিএনপি ভালো দল, আমার ঘরে খাওয়া নেই বিএনপি ক্ষমতায় এলে আমার ভাতের ব্যবস্থা হবে। অন্য আরেকজন বুড়ো মহিলা সমাবেশে এসেছিলেন বহু কষ্ট করে, তার কাছে জানতে চাইলে বুড়ি মা বলেন, আমি পরিবর্তন দেখতে এসেছি। সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে এসেছি। এরকম অসংখ্য সাধারণ মানুষ পরিবর্তনের আশায় এসেছেন। আসুন আমরা সবাই মিলে নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে এগিয়ে যাই।
দুপুরে সমাবেশ শুরু হওয়ার আগেই সকাল থেকে ঢাকা মহানগর সহ আশেপাশের বিভিন্ন জেলা থেকে যুবদলের নেতারা ব্যানার-ফেস্টুন সহ খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে সমাবেশে জড়ো হন। তারা খালেদা জিয়া সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দের মুক্তির দাবিতে স্লোগান দেন। একইসাথে তারেক রহমান দম্পতির গ্রেফতারি পরোয়ানা প্রত্যাহারের দাবিতে স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে সমাবেশস্থল। সমাবেশে গাজীপুর, মানিকগঞ্জ, নারায়াণগঞ্জ, নরসিংদী, মুন্সীগঞ্জ যুবদলের হাজার হাজার নেতাকর্মী জমায়েত হন।
সমাবেশে স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, ২০১৮ সালের তারেক রহমানের মামলা কবর খুঁড়ে বের করা হয়েছে, আর আপনাদের দুর্নীতি প্রকাশ্যে হচ্ছে। তারেক রহমান দুর্নীতিবাজ সরকারের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষকে জাগিয়ে তুলেছে বলেই তাকে দমিয়ে রাখতে এতে মামলার হিড়িক।
সংগঠনের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোনায়েম মুন্নার পরিচালনায় আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, কেন্দ্রীয় নেতা আবদুস সালাম, রুহুল কবির রিজভী, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ফজলুল হক মিলন, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, কামরুজ্জামান রতন, সাইফুল আলম নীরব, যুবদলের শফিকুল ইসলাম মিল্টন, কামরুজ্জামান দুলাল, ছাত্রদলের কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতারা।###
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।