পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল্লামা নূরুল হুদা ফয়েজী, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা গাজী আতাউর রহমান ও প্রচার সম্পাদক মুফতী রফিকুন্নবী হাক্কানী এক যুক্ত বিবৃতিতে সংবিধান থেকে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাদ দেয়ার জন্য অপেক্ষা করতে বলে সংবিধান দিবসে আইনমন্ত্রীর দেওয়া বক্তব্যে ক্ষোভ ও নিন্দা জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, সংখ্যাগরিষ্ঠ ৯২ শতাংশ মুসলমানদের দেশে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম আছে ছিল, থাকবে, এটা গণমানুষের দাবি। ইসলাম বিদ্বেষী গোষ্ঠীর এজেন্ট হাতে গোনা কিছু লোকের মন রক্ষায় সরকার যদি রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম বাদ দিতে চায় তবে দেশবাসী মনে করবে ক্ষমতাসীন সরকার জনগণকে খুশি করতে নয়, বিদেশি প্রভু ও তাদের এজেন্টদের খুশি করতে রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম বাতিল করতে চায়। তারা বলেন, রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম একটি মীমাংসিত বিষয়। এটা নিয়ে চক্রান্ত করার কোন সুযোগ নেই। সরকারের সুবিধাভোগী কিছু দুস্কৃতিকারী একইভাবে ইসলাম বিদ্বেষী ষড়যন্ত্রকারীদের এজেন্ডা বাস্তবায়নে শিক্ষাব্যবস্থা থেকে ইসলামী শিক্ষা উঠিয়ে দিয়ে ভিনদেশি শিক্ষা-সংস্কৃতির প্রচলন করতে উঠেপড়ে লেগেছে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকারের কোনো কোনো মন্ত্রীর বক্তব্য ও তৎপরতা বলে দেয় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ মুখে মদীনা সনদের কথা বলে মানুষকে বোকা বানিয়ে ধোঁকা দিয়ে বিধর্মীদের প্রেসক্রিপশন এ অন্যকোন সনদে রাষ্ট্র পরিচালনা করছে। যে কারণে তারা বাংলাদেশ থেকে ইসলামের নাম গন্ধ মুছে দিতে চায়। তারা বলেন, পীর আউলিয়ার বাংলায় ইসলাম ও মুসলমানদের চিন্তা চেতনা বিরোধী কোনো পদক্ষেপ রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে নেয়া হলে তা দেশবাসী অতীতে মেনে নেয়নি, ভবিষ্যতে ও মেনে নেবে না।
বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি ঃ এদিকে, আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হকগত শনিবার জাতীয় সংবিধান দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সেমিনারে সংবিধান থেকে রাষ্ট্র ধর্ম ইসলামকে বাদ দেয়ার বিষয়ে চিন্তা ভাবনা চলছে মর্মে যে বক্তব্য দিয়েছেন তার তীব্র ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির আমীর আল্লামা ছরওয়ার কামাল আজিজি ও মহাসচিব মাওলানা মুসা বিন ইযহার। এক বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, বিরানব্বই ভাগ মুসলিম অধ্যুষিত বাংলাদেশের সংবিধান থেকে রাষ্ট্র ধর্ম বাদ দেয়ার চক্রান্ত হলে এদেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা ঘরে বসে থাকবে না।
অতীতেও রাষ্ট্র ধর্ম ইসলামের বিরুদ্ধে কুচক্রী মহল অনেক যড়যন্ত্র করে তৌহিদী জনতার গণদাবীর মুখে ব্যর্থ হয়ে মুখ থুবড়ে পড়েছে। আগামীতেও তা সফল হবে না ইনশাআল্লাহ। নেতৃদ্বয় এই ধরনের ধর্মবিদ্বেষী স্পর্ধা দেখিয়ে বক্তব্য দেয়ার কারণে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার আহবান জানান নইলে জনগণ ফুসে উঠলে মন্ত্রীত্ব থেকে পদত্যাগ করেও শেষ রক্ষা হবে না বলেও হুশিয়ারী উচ্চারণ করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।