পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মো: দেলোয়ার হোসেন, গাজীপুর থেকে : গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মীরেরগাঁও কারখানা বাজার এলাকা থেকে শুক্রবার রাতে নিখোঁজ এক স্কুলছাত্রের লাশ ইটভাটায় ফেলে পুড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে বুধবার ট্রাকচালকসহ চারজনকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহত স্কুলছাত্রের নাম আতিকুর রহমান (১৫)। সে সিটি কর্পোরেশনর কাউলতিয়া বিপ্রবর্থা এলাকার আব্দুর রশিদের ছেলে।
আটককৃতরা হলো- ট্রাক চালক আব্দুল আলিম (৩২), ইটভাটার শ্রমিক খোরশেদ আলম (২২), শাহিনুর রহমান (২২) ও শফিকুর রহমান টাইগার (২৩)।
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর মোহাম্মদ ফারুক আহম্মেদ জানান, আতিক স্থানীয় বিপ্রবর্থা এলাকার আব্দুর রশিদের ছেলে। সে কাউলতিয়া জহির উদ্দিন উচ্চবিদ্যালয় থেকে এবার জেএসসি পরীক্ষা দিয়ে ওই ভাটার ট্রাকে শ্রমিকের কাজ নেয়। শুক্রবার রাতে আতিক ইটভাটার উদ্দেশে বের হয়ে নিখোঁজ হয়। আতিক নিখোঁজ হওয়ার পর সোমবার দুপুরে তার সঙ্গে থাকা ওই চারজনকে ডেকে স্থানীয়দের নিয়ে সালিস করা হয়। এ সময় তারা একেকবার একেক তথ্য দিলে সন্দেহের সৃষ্টি হয়। পরে তাদের পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
আটকদের বরাত দিয়ে জয়দেবপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহমুদুল হাসান জানান, শনিবার ভোরে আটকদের সঙ্গে স্কুলছাত্র আতিকুর রহমান (১৫) একটি ট্রাকে ইট লোড করার পর ওই ট্রাকে উঠে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। পরে ঢাকার আজিমপুর এলাকায় ইট আনলোড করার সময় দুর্ঘটনায় (ট্রাকের ঢালার আঘাতে) আতিক মারা যায়। সেখান থেকে তার লাশ এনে ইটভাটার মালিক ইমরান দেয়ানের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
ইমরান দেওয়ান কৈফিয়ত এড়াতে লাশটি তার পরিবারের লোকজনের কাছে হস্তান্তর না করে ওই ইটভাটায় ফেলে পুড়িয়ে দিতে পারে বলে আটক শাহীনুরের ধারণা।
পুলিশ পরিদর্শক মাহমুদুল হাসান কর্মকর্তা আরও জানান, বুধবার ওই ইটভাটায় অভিযান চালানো হয়েছে। ইটভাটার মালিক ইমরান ও ম্যানেজার রফিকুল ইসলামকে সেখানে পাওয়া যায়নি। ঘটনার পর থেকে তারা পলাতক রয়েছে। তাদের মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তা বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।