Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

একচেটিয়া পুঁজিবাজারের বিকাশ আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত নয়: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ভিসি

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৫ নভেম্বর, ২০২২, ৯:৩০ পিএম

পাশ্চাত্যের চেয়ে বাংলাদেশের বাজার অর্থনীতি অনেক বেশি মানবিক ও সংহতির বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় বিশ^বিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান। তিনি বলেন, ‘আমরা হাঁটি হাঁটি পা পা করে যে বাজার অর্থনীতির দিকে যাচ্ছি, সেই বাজার অর্থনীতি পাশ্চাত্যের বাজার অর্থনীতির চেয়ে ভিন্ন। আমাদের বাজার বৃত্তি দেয়া শেখায়, মানবিক হয়। একচেটিয়া পুঁজিবাজারের বিকাশ আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত নয়। আমাদের বাজার লাখো শরণার্থীকে ধারণ করার ব্যবস্থাপনা শিক্ষা দেয়। সেকারণেই বাংলাদেশের বাজার স্বতন্ত্র, বাজার অর্থনীতির ধরন ভিন্ন। শনিবার (৫ নভেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মার্কেটিং অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের (ডিইউএমএএ) উদ্যোগে মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন শিক্ষাবর্ষের ৫২ শিক্ষার্থীকে ‘এমজিআই-মার্কেটিং অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন স্কলারশিপ’ প্রদান করা হয়।

ড. মশিউর রহমান বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর দর্শনে এমন বাজার অর্থনীতি আমাদের প্রত্যাশিত ছিল না। ১৯৭৫’র ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধ শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারের হত্যার করার পর যে অগণতান্ত্রিক এবং সামরিক শাসনের যাঁতাকলে বাংলাদেশ এগিয়েছে ধীরে ধীরে সেখানে উঠতি ধনিক শ্রেণির বিকাশ হয়েছে। অব্যবস্থাপনা বেড়ে উঠেছিল। এর মধ্য দিয়ে যে বাজারের প্রকোপ এখানে তৈরি হয়েছে আমরা সেই বাস্তবতার শিকার।

দেশের প্রথিতযশা এই সমাজবিজ্ঞানী বলেন, সময়টা আমাদের জন্য সুখকর নয়। দু’বছরের কোভিড চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে আমরা এগোচ্ছি। অতঃপর অপ্রত্যাশিত যুদ্ধ। আমরা কোভিড উত্তর পৃথিবীতে যুদ্ধ আশা করিনি। কিন্তু রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ আমাদের অর্থনৈতিক মন্দার আভাস দেয়। আমাদের বিশ^ ব্যবস্থায় ধরেই নিয়েছিলাম কোভিড আমাদের সংহতির শিক্ষা দেবে। যার মধ্য দিযে যুদ্ধ বন্ধ হয়ে পৃথিবী আরও মানবিক হবে। কিন্তু অবাক বিস্ময় দেখছি, আমরা প্রাচ্য অঞ্চলের মানুষ সংহতির কথা ভাবি। যখন আমাদের নিজেদের মধ্যে মানবিকবোধকে জাগ্রত করে মিয়ানমারের লাখো শরণার্থীকে আশ্রয় দেই। সেই সময় বিশ^ব্যবস্থায় যুদ্ধের দামামা। এর মধ্য দিয়ে কী এটাই শিক্ষণীয় নয় যে, বিশ^ব্যবস্থায় প্রাচ্য এক ভিন্ন শক্তি। যেখান থেকে পাশ্চাত্যকে শিক্ষা গ্রহণ করা উচিত।’

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, ‌‘আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় যে ব্যাপক পরিবর্তন চাইছি, তার জন্য শিক্ষক গুরুত্বপূর্ণ। আমরা পরিবর্তন বা সংস্কারের কথা নয় বরং রূপান্তরের কথা বলছি। এই রূপান্তরের মূল হাতিয়ার হচ্ছেন শিক্ষক। আমাদের শিক্ষকদের এমন শিক্ষক হতে হবে, যার কাছ থেকে শিক্ষার্থীরা অনুপ্রেরণা পায়, যিনি শিক্ষার্থীদের মন বোঝেন, যিনি শিক্ষার্থীদের আলোকিত পথের দিশা দেন, যাকে দেখে শিক্ষার্থীরা অনুপ্রাণিত হয়।’ ডিইউএমএএর সহসভাপতি সালাউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি (শিক্ষা) প্রফেসর ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল। অনুষ্ঠানে শিক্ষকতার ৪০ বছর পূর্তি উপলক্ষে মার্কেটিং বিভাগের প্রফেসর ড. মীজানুর রহমানকে সম্মাননা প্রদান করা হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ