পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশে কত উন্নয়ন হয়েছে, হচ্ছে। কিন্তু কতিপয় দুর্নীতিবাজ লোকের কারণে দেশে সঙ্কট তৈরি হচ্ছে। এই মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট। কথিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ‘ই-অরেঞ্জ’ প্রতারণার বিষয়ে বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)র দাখিলকৃত প্রতিবেদন ‘যথাযথ নয়’ উল্লেখ করে আদালত এই মন্তব্য করেন।
এর আগে বুধবার প্রতিবেদনটি জমা দেয়া হয়। বিচারপতি মো: নজরুল ইসলাম তালুকদার এবং বিচারপতি খিজির হায়াতের ডিভিশন বেঞ্চে গতকাল বৃহস্পতিবার প্রতিবেদনের ওপর শুনানি হয়। এ সময় আদালত বিএফআইইউ’র প্রতিবেদনের বিষয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। সংস্থাটির আইনজীবী শামীম খালেদের উদ্দেশ্যে হাইকোর্ট বলেন, আপনারা প্রতিবেদনে দেখালেন, তারা (ই-অরেঞ্জ) অনেক টাকা উত্তোলন করেছেন। তাহলে সেই টাকা গেল কোথায়? এর প্রকৃত সুবিধাভোগী কারা? ওই টাকা কোথায় ব্যবহৃত হয়েছে? তা তো সুনির্দিষ্ট করে উল্লেখ নেই। আপনাদের এই প্রতিবেদনে আমরা সন্তুষ্ট হতে পারিনি। এতে প্রকৃত চিত্র উঠে আসেনি। এটি খাপছাড়া একটি প্রতিবেদন।
পুলিশের প্রতিবেদন সম্পর্কে আদালত বলেন, তাদের রিপোর্টেও পরিষ্কার করে, সুনির্দিষ্ট করে কিছু বলা হয়নি। আর দুদকের রিপোর্টে বিষয়টি পাশ কাটিয়ে গেছে।
এ সময় ই-অরেঞ্জের গ্রাহকের পক্ষে রিটকারী আইনজীবী আব্দুল কাইয়ুম আদালতকে বলেন, রিপোর্টে সমস্ত তথ্য সঠিকভাবে আসেনি, এজন্য পূর্ণাঙ্গ করে একটি রিপোর্ট দাখিলের নির্দেশনা চাইছি। একটি ভুঁইফোড় প্রতিষ্ঠানের নামে এত টাকা লেনদেন হচ্ছে। এই টাকা কোথায় যাচ্ছে? কী কাজে ব্যবহার হচ্ছে? এর ভ্যাট ট্যাক্স দিচ্ছে কি না? সেটা তো এনবিআরের দেখা উচিত। আর বিএফআইইউর কাজটা কী ?
এ সময় আদালত বলেন, এ সব লোকের কারণেই ঝামেলা হচ্ছে। দেশে কত উন্নয়ন হয়েছে, হচ্ছে। দক্ষিণবঙ্গে গিয়ে দেখেছি, তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ রাস্তাঘাটের কি উন্নয়ন হয়েছে! দেখলে মনে হবে না দেশের মধ্যে আছি। কতিপয় দুর্নীতিবাজ লোকের কারণে এখন সঙ্কট তৈরি হচ্ছে। আমরা কাজ করছি জনগণের জন্য। দেশ সোনার বাংলা হোক সেটা আমরা চাই। পরে আদালত মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ৪ ডিসেম্বর দিন নির্ধারণ করেন।
এ সময়ের মধ্যে নতুন করে বিএফআইইউ, দুদক, পুলিশ প্রধানকে রিপোর্ট দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। অভিযোগের বিষয়টি সুনির্দিষ্ট করে তাদের যথাযথভাবে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি শত শত কোটি টাকার যে লেনদেন হয়েছে, তা থেকে রাজস্ব আদায় হয়েছে কি-না তা জানাতে এনবিআরের চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেন আদালত। এছাড়াও ই-অরেঞ্জের প্রতিষ্ঠাতা সোনিয়া মেহজাবীনের ভাই বরখাস্ত পুলিশ পরিদর্শক শেখ সোহেল রানাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
এর আগে ই-অরেঞ্জ থেকে ৭৭ কোটি টাকার পণ্য কিনে প্রতারণার শিকার ৫৪৭ জন গ্রাহকের পক্ষে মো: আফজাল হোসেনসহ ৬ গ্রাহক গত মার্চ মাসে রিট করেন। প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত ৭ এপ্রিল হাইকোর্ট রুল জারি করেন। সেইসঙ্গে এ বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটকে (বিএফআইইউ) প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। এ প্রেক্ষিতে গত ২ নভেম্বর প্রতিবেদন দাখিল করে বিএফআইইউ।
গতকাল শুনানিতে রিটের পক্ষে অ্যাডভোকেট আব্দুল কাইয়ুম লিটন, বিএফআইইউ’র পক্ষে অ্যাডভোকেট শামীম খালেদ এবং সরকারপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক অংশ নেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।