পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে মৎস্য সেক্টরের ওপর বিরূপ প্রভাব মোকাবেলার লক্ষ্যে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করছে।
তিনি আজ সংসদে সরকারি দলের সদস্য মোরশেদ আলমের প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে উষ্ণতা, সমুদ্রের পানির উচ্চতা এবং লবণাক্ততা বৃদ্ধির ফলে উপকূলীয় মৎস্য সম্পদের ওপর ক্রমশ নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। এছাড়া নদীগুলোতে লবনাক্ত পানি অনুপ্রবেশের ফলে মিঠা পানির মাছ ও প্রাথমিক উৎপাদনশীলতায় পরিবর্তন ঘটছে। উষ্ণতা বৃদ্ধির কারণে মাছের আবাসস্থল, বিচরণক্ষেত্র, অভিপ্রয়াণ ও প্রজনন প্রভাবিত হচ্ছে।’
জলবায়ুর ধারাবাহিক ক্রম অবনতির ফলে মৎস্য সম্পদের ওপর নানা ধরনের বিরূপ প্রভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, মাছের অনেক আচরণগত বৈশিষ্ট্য পরিবর্তিত হচ্ছে। মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন মারাত্মকভাবে বাধাগস্ত হচ্ছে, নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে মাছের প্রজাতি বৈচিত্র্যেও। এছাড়া তাপমাত্রা বৃদ্ধি, অনাবৃষ্টি ও অপর্যাপ্ত বৃষ্টির ফলে মাছের প্রাকৃতিক আবাসস্থল, প্রজননক্ষেত্র ও লালনক্ষেত্র হ্রাস পাচ্ছে। ভূগর্ভস্থ পানির স্তর ক্রমান্বয়ে নীচে নেমে যাওয়ায় পুকুর-দিঘির পানির স্তর কমে যাচ্ছে। বাৎসরিক পুকুরগুলো মৌসুমি পুকুরে রূপান্তরিত হচ্ছে। আবাদি পুকুরের সংখ্যা কমে যাচ্ছে।
সরকারি দলের অপর সদস্য নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়নের এক প্রশ্নের জবাবে শ ম রেজাউল করিম জানান, দেশীয় প্রজাতির বিলুপ্ত প্রায় মাছের সংখ্যা ৬৪টি। বিলুপ্ত প্রায় এসব মাছ রক্ষায় সরকার নানা পদক্ষেপ নিয়েছে।
সরকারি দলীয় সদস্য মমতাজ বেগমের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, সারা দেশে খামারের সংখ্যা ১৩ লাখ ৩৮ হাজার ৫৯০টি। এর মধ্যে গাভীর খামার দুই লাখ ৭০ হাজার ২৯০ টি, ছাগল-ভেড়ার খামার আট লাখ ৭৩ হাজার ২০০টি এবং পোল্ট্রি খামার এক লাখ ৯৫ হাজার ১০০টি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।