পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
]দেশের বাজারে অতি চাহিদা যোগ্য নিত্যপণ্যের দাম ও সরবরাহ সঙ্কট কেটে যাওয়ার আভাস দিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। গতকাল বৃহস্পতিবার দ্রব্যমূল্য ও বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত টাস্কফোর্স কমিটির বৈঠক শেষে বাণিজ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য নিয়ে কোনো নেতিবাচক প্রভাব দেখছেন না।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষের সভাপতিত্বে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত টাস্কফোর্স কমিটির এ বৈঠকে প্রধান অতিথি ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। বাজার পরিস্থিতির গুরুত্ব অনুযায়ী নিয়মিত বিরতিতে এই টাস্কফোর্সের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এবারের অনুষ্ঠিত টাস্কফোর্স কমিটির বৈঠকটি ছিল চলতি বছরের জন্য চতুর্থবার। বৈঠকে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইসহ চাল, ডাল, তেল, চিনি, লবণ, পেঁয়াজ, আদা, রসুন, এমএস রড, সিমেন্টসহ অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের উৎপাদক, আমদানিকারক, পরিশোধনকারী, বাজারজাতকারী, পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ের ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ছাড়াও বাংলাদেশ ব্যাংক, এনবিআর, ট্যারিফ কমিশন, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর, শিল্প, খাদ্য ও কৃষি মন্ত্রণালয়, নৌ, সড়ক, সেতু বিভাগসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, বৈঠকে দেশের চাল, ডাল, তেল, চিনি, লবণ, পেঁয়াজ, আদা, রসুন, এমএস রড, সিমেন্টসহ বিভিন্ন পণ্যের অভ্যন্তরীণ উৎপাদন, চাহিদা, ঘাটতি, আমদানি ও মজুত পরিস্থিতি এবং বাজার পর্যায়ে দাম নিয়ে পর্যালোচনা করা হয়।
মন্ত্রী বলেন, বৈঠকে সার্বিক দ্রব্যমূল্য ও বাজার পরিস্থিতি নিয়ে পর্যালোচনা হয়েছে। তবে এই আলোচনায় সর্বাধিক গুরুত্ব পেয়েছে চিনি ইস্যুতেই। তিনি বলেন, চনি নিয়ে নেতিবাচক প্রভাব দেখছি না, চিনিটা অ্যাভেইলেবল। জানুয়ারি পর্যন্ত কোনো সমস্যা নেই। গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক না থাকায় চিনির উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। যে সমস্যা পেয়েছি সেটি হলো গ্যাসের সাপ্লাই অপ্রতুলতার কারণে ৬৬ শতাংশের বেশি চিনি উৎপাদন করতে পারছে না।
মন্ত্রী বলেন, চিনির সাপ্লাইটা ঠিকভাবে হওয়া দরকার। সরবরাহ ধীরগতি হলে সমস্যা, সরবরাহ স্বাভাবিক হলে যেই দাম নির্ধারণ করা হয়েছে সে দামে বিক্রি করা যাবে। অনেক চিনি গুদামে পড়ে আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সেটা প্রসেস করতে পারলে বাজারে আসবে। গ্যাসের সমস্যা সমাধান হলে এটি প্রসেস করা যাবে।
যারা গ্যাসের বিষয়টি দেখে তারা বলছে পরিস্থিতির উন্নতি ঘটছে। বিদ্যুতের অবস্থা ইমপ্রæভ করবে। তবে ভয় পাওয়ার কিছু নেই বলেও জানান বাণিজ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, আশা করি দুই একদিনের মধ্যে গ্যাসের সাপ্লাই স্বাভাবিক হলে যে পরিমাণ চিনি দরকার তা উৎপাদন সম্ভব হবে।
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের অস্বাভাবিক দাম বাড়া নিয়ে মানুষের ভোগান্তি ও কষ্টের কথা তুলে ধরে বাণিজ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, এটা সত্যি যে মানুষের কষ্ট হচ্ছে। এ কষ্টের পেছনে কিন্তু আমাদের চেয়ে বৈশ্বিক প্রভাব বেশি। এখন বৈশ্বিক প্রভাব তো আমরা রাতারাতি পরিবর্তন করতে পারবো না। তিনি বলেন, প্রত্যেক মানুষের জীবনে কখনো ভালো সময় থাকে, কখনো খারাপ সময় থাকে। আমাদের প্রধানমন্ত্রীও যেটা বলেছেন সামনে দুর্ভিক্ষ হতে পারে, খাদ্যের অভাব হতে পারে। সে চিন্তা করেই কিন্তু উনি বারবার বলছেন। উনি সবসময় অনেক অ্যাডভান্স চিন্তা করেন। যেন মানুষের সমস্যা না হয়।
সভা থেকে সাধারণ মানুষের জন্য কোনো সুখবর আছে কি না-জানতে চাইলে টিপু মুনশি বলেন, আমাদের খবরটা দিচ্ছি যে, ভয় পাওয়ার কিছু নেই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।