পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
দেশে ডিমের বাজারে চলছে অস্থিরতা। কারসাজি করে বাড়ানো হচ্ছে দাম। যখন অভিযান চলে তখন কিছুটা দাম কমলেও পরে সেই আগের অবস্থা। ডিমে বাড়তি দাম। এ জন্য জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর ডিমের বাজারের সিন্ডিকেটকে দায়ী করছে। এই সিন্ডিকেট ভাঙতে না পারলে দাম নিয়ন্ত্রণে থাকবে না বলে জানান অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) এ এইচ এম সফিউজ্জামান। তিনি বলেন, ডিমের বাজারে এমন সিন্ডিকেট রয়েছে, যারা রাতারাতি একটি ডিমের দাম চার টাকা বাড়িয়ে দিতে পারে। সেটি ভাঙতে না পারলে ডিমের দামে কোনো নিয়ন্ত্রণে থাকবে না।
গতকাল বুধবার ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা ও আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন ভোক্তা অধিদফতরের মহাপরিচালক। তিনি বলেন, বড় বড় কিছু করপোরেট কোম্পানি পোল্ট্রির বাচ্চা ফুটানো থেকে শুরু করে ডিম-গোশত সবকিছুর বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে। তাদের হাতে এ খাতের নিয়ন্ত্রণ চলে গেলে সরকারও তখন নিরুপায় হয়ে পড়বে।
ডিমের বাজারে সিন্ডিকেটের কারসাজির বিষয়ে ভোক্তা অধিদফতরের মহাপরিচালক বলেন, ডিমের বাজারে সিন্ডিকেটের বিষয়টি পরিষ্কার। কারণ যখন আগষ্টে জ্বালানি তেলের দাম বাড়লো তখন একটি ডিমের দাম পাঁচ টাকা পর্যন্ত বাড়ানো হলো। সে সময় আমরা মাঠে নামলাম। নিলামের নামে একটি সাজানো ঘটনার মধ্য দিয়ে ডিমের দাম বাড়ানোর প্রমাণ মিললো। যে কোম্পানি দাম বাড়ালো তার সংবাদ সারাদেশ ছড়িয়ে গেলো।
তিনি আরও বলেন, এরপর যখন অভিযান চলছে তখন ডিম আমদানি করার ঘোষণা হলো। তখন আবার তিনদিনের মধ্যে স্বাভাবিক হয়ে গেলো বাজার। কিন্তু এরমধ্যে একটি টাকাও বাড়তি দাম পেলো না প্রান্তিক খামারিরা। ভোক্তার প্রায় ৫০০ কোটি টাকা নিয়ে গেলো সে সিন্ডিকেট।
ভোক্তা অধিদফতরের মহাপরিচালক বলেন, তাদের বিরুদ্ধে আমরা প্রতিযোগিতা কমিশনকে দিয়ে মামলা করিয়েছি। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়েও তাদের বিরুদ্ধে রিপোর্ট দেওয়া রয়েছে। কিন্তু এ সিন্ডিকেট ভাঙতে না পারলে লাভ হবে না।
এসময় পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুমন হাওলাদার বলেন, পোল্ট্রি বোর্ড গঠনের মাধ্যমে সব প্রকার সমস্যার সমাধান সম্ভব। আলোচনা সভা শেষে সুমন হাওলাদারকে সভাপতি ও মো. ইলিয়াস খন্দকারকে সাধারণ সম্পাদক করে ৬১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করে সংগঠনটি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।