Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

হাটহাজারীর সরকারি গবাদি পশু ও দুগ্ধ উৎপাদন খামার কর্তৃপক্ষের চরম অবহেলায় ধ্বংসের দারপ্রান্তে

| প্রকাশের সময় : ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

আসলাস পারভেজ, হাটহাজারী : হাটহাজারী উপজেলার এক মাত্র সরকারি গবাদি পশু ও দুদ্ধ উৎপাদন খামারটি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অবহেলা ও চরম উদাসীনতার কারণে বিপুল স¤া¢ভনাময়ী খামারটি দিন দিন ধ্বংসের দারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে। ফলে খামারটি উন্নয়ন দারুণ ব্যহত হচ্ছে। এই খামারটিতে প্রতি দিন সকাল বিকাল দুই দফা উৎপাদিত দুধ সাধারণ মানুষের কাছে কম দামে বিক্রি করার নিয়ম থাকলেও সরকারি কিছু কর্মকর্তা কর্মচারীরা অল্প মূল্য দিয়ে কয়েক লিটার দুধ নিয়ে যাচ্ছে। ফলে বাজারের মূল্যেও চেয়ে কম মূল্যে দুধ বিক্রয় করতে গিয়ে সরকারের বিপুল পরিমাণ অর্থ লোকসান হচ্ছে প্রতিবছর। সাধারণ মানুষ কম দামে দুধ ক্রয় করার জন্য সরকার যে পদক্ষেপ নিয়েছে তা একেবারেই হচ্ছে না। হাটহাজারী উপজেলার পৌরসভার পশ্চিমে পাহাড়ি অঞ্চলে অবস্থিত দুদ্ধ খামারটিতে বর্তমানে ১৩১টি পশু লালন পালন করে যাচ্ছে। তার মধ্যে দুধ দিচ্ছে ২৫টি পশু। গত মাসের মাঝা মাঝিতে কর্তৃপক্ষের চরম অবহেলাতে ৪টি পশু মারা যায়। প্রতিদিন সকালে ও বিকালে দুই দপা ৩০ কেজি করে মোট ৬০ কেজি দুধ পেয়ে থাকে। এই দুধ সরাসরি সাধারণ মানুষের মাঝে বিক্রয় করার সরকারি নিয়ম থাকলেও কিন্তু কর্তৃপক্ষ এই নিয়ম সঠিক ভাবে মানছেনা বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। সাধারণ মানুষের স্ব্যাস্থ্যও পুষ্টি বাড়তে সরকার যে পরিকলপনা নিয়েছে তাও মানা হচ্ছে না।
জানা যায়, পাহাড়ের উপর একাকি ও জনশূন্য এলাকায় দুধ বিক্রয়ের কথা অনেকেই জানেনা। ফলে খামার কর্তৃপক্ষের লোকজন এই দুধ কোথায় নিয়ে যায় তার কোন হদিস কেউ রাখে না। হাটহাজারীর এই খামারটিতে ১৩১টি পশুর মধ্যে ৫/৬টি রয়েছে বাচুর। বিনা টেন্ডারে বিপুল পরিমাণ গাছের ঢাল কেটে বিক্রয় করে দিচ্ছে দুদ্ধ খামার কর্তৃপক্ষ। কিন্তু হাজার হাজার মণ লাকড়ি ছাড়াও কয়েকশত ফুট বহু মূল্যবানের গাছও রয়েছে। বিগত কয়েকদিন ধরে এই গাছ ও লাকড়ি ট্রাকে ট্রাকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে তার কোন হদিস পাওয়া যাচ্ছে না। চাকুরি ফাঁকি দিয়ে আরাম আয়েশ করে যাচ্ছে এসব কর্মকর্তারা।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, মোঃ শফি নামের এক ঘাস কাটার কর্মচারী সে রাজার হালে লুঙ্গি পড়ে চেয়ারে পা তুলে বসে সিগারেট টেনে অফিসের মূল্যবান কাগজপত্র দেখছে সে যেন এক বড় কর্তা!। হাটহাজারী’র দুদ্ধ খামারটিতে মোট ৪৭ জন কর্মকর্তার মধ্যে বর্তমানে কর্মস্থলে রয়েছে ৩৮ জন বাকিরা অন্য জায়গায় চাকুরি করছে। উপজেলার পৌর এলাকার পশ্চিমে বিশাল পাহাড়ের উপর জনশূন্য এলাকায় ১৯৯২ সালে সর্বমোট ৮২ একর জায়গার উপর গবাদী পশু ও দুদ্ধ খামারটি প্রতিষ্টা করেন। কিন্তু সরকারি এত বড় অফিসে গত   রোববার সরেজমিনে গিয়ে প্রথমে দেখাযায় অফিসের সামনে জাতীয় পতাকা উত্তলন করা হয়নি। অফিসের প্রধান ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নেহাল উদ্দীন মিয়া তিনিও উপস্থিত ছিলেন না। বিকাল ৪ টায় এই প্রতিবেদক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নেহাল উদ্দীন মিয়ার কাছে ফোন করে উক্ত খামার এলাকার গাছ কাটার ব্যপারে জনতে চাইলে তিনি বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে এখানে চাকরি করে আসছি। এখানে আমরা কোন দুর্নীতির কাজ করছিনা। গাছ ও গাছের ঢাল গুলো বিক্রয়ের ব্যপারে টেন্ডার হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি জানান, কোন টেন্ডার হয়নি অথচ গাছ ও গাছের ঢাল গুলো সেই সময় ট্রাক ভর্তি করে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে তার কোন উত্তর পাওয়া যায়নি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ