পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সাধারণ ও নির্বাহী আদেশ মিলিয়ে ২০২৩ সালে ২২ দিন ছুটি থাকবে। এর মধ্যে আটদিন পড়েছে শুক্র ও শনিবার। সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা-স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের সময়সূচি নতুন করে নির্ধারণ করেছে সরকার। আগামী ১৫ নভেম্বর থেকে সকাল ৯টায় অফিস শুরু হয়ে বিকাল ৪টা শেষ হবে।
গতকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে ২০২৩ সালে ছুটির এ তালিকা অনুমোদন দিয়েছে। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ছুটি গতবারের মতোই আছে। গতবার যেটা ছিল ছুটি, কোনো চেঞ্জ করা হয়নি। গতবার ছয়দিন ছিল শুক্র-শনিবার, এবার সেখানে আটদিন। ২২ দিনের মধ্যে আটদিন শুক্র-শনিবার পড়ে গেছে। মোট সরকারি ছুটি ২২ দিন। তিনি বলেন, জাতীয় দিবস এবং বিভিন্ন সম্প্রদায়ের গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় পর্ব উপলক্ষে ১৪ দিনের সাধারণ ছুটি। এরমধ্যে চারদিন হলো দুটি শুক্রবার ও দুটি শনিবার।
সাধারণ ছুটির মধ্যে রয়েছেÑ শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস, স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস, জুমাতুল বিদা, মে দিবস, ঈদুল ফিতর, বুদ্ধপূর্ণিমা, ঈদুল আজহা, জাতীয় শোক দিবস, জন্মাষ্টমী, দুর্গাপূজা (বিজয়া দশমী), ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.), বিজয় দিবস ও যিশু খ্রিস্টের জন্মদিন (বড়দিন)।
বাংলা নববর্ষ এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় দিবস উপলক্ষে আটদিনের নির্বাহী আদেশে ছুটি থাকবে। শবে বরাত, বাংলা নববর্ষ, শবে কদর, ঈদুল ফিতরের আগে ও পরের দুই দিন, ঈদুল আজহার আগে ও পরের দুদিন এবং আশুরার দিন নির্বাহী আদেশে ছুটি থাকবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, সকল সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা-স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের অফিস সময়সূচি পুনর্নিধারণ করা হয়েছে। শীত চলে আসায় আগামী ১৫ নভেম্বর থেকে দেশের সকল সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা-স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের অফিস সময়সূচি পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলবে। বর্তমানে অফিস সময়সূচি সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত।
২০৩০ পর্যন্ত সংরক্ষিত বনের গাছ কাটা যাবে না
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন,দেশের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সংরক্ষিত ও প্রাকৃতিক বনাঞ্চলের গাছ কাটার ওপর আরোপিত বিধিনিষেধ ২০৩০ সাল পর্যন্ত বহাল রাখার প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ২০৩০ সাল পর্যন্ত রিজার্ভ ফরেস্টের গাছ কাটা যাবে না। কাটা যাবে সোশ্যাল ফরেস্ট-এর গাছ। সেখানে স্থানীয় জনগণের সঙ্গে সরকারি কর্তৃপক্ষের যৌথ বনায়ন হয়। রিজার্ভ ফরেস্টের গাছ কোনো অবস্থাতেই ২০৩০ সালের আগে কাটা যাবে না। যদি কেউ কাটে তাহলে আইন অনুযায়ী শাস্তি হবে। এছাড়া প্রতিবছর ৪ নভেম্বর তারিখকে জাতীয় সংবিধান দিবস হিসাবে ঘোষণা এবং দিবসটি উদযাপনের লক্ষ্যে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জারিকৃত এ বিষয়ক পরিপত্রে ক্রমিকে উহা অন্তর্ভুক্তকরণের প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়। বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা (সংশোধন) আইন,২০২২ এর খসড়ার নীতিগত/চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়। মন্ত্রিসভা-বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের বিষয়ে ২০২২ সালের তৃতীয় ত্রৈমাসিক (জুলাই-সেপ্টেম্বর) প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।