পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
শিল্পাঞ্চলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনায় শিল্প পুলিশ সফলতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছে। শিল্পাঞ্চলে অপরাধের মাত্রা ও প্রকৃতি ভিন্নতর। শিল্পক্ষেত্রে বিশেষ করে পোশাক শিল্পে নৈরাজ্য ও অস্থিরতা দেখে আওয়ামী লীগ সরকারই প্রথম শিল্প পুলিশের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে ২০০৯ সালে শিল্প পুলিশ গঠনের ঘোষণা দেয়। ২০১০ সালের ৩১ অক্টোবর হতে শিল্পাঞ্চলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার জন্য এ ইউনিটটি যাত্রা শুরু করে। গতকাল সোমবার ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে গত রোববার দেয়া এক বাণীতে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের ১২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। যুগপূর্তির এই শুভক্ষণে প্রধানমন্ত্রী ইউনিটের সব সদস্যকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ পুলিশকে সাইবার ক্রাইম, জঙ্গি ও সন্ত্রাস দমন, মানি লন্ডারিং ইত্যাদি সমসাময়িক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সক্ষম একটি জনবান্ধব আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে সরকার সব ধরনের সময়োপযোগী কার্যক্রম গ্রহণ করেছে।
তিনি জানান, গত সাড়ে ১৩ বছরে পুলিশ বাহিনীতে অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিট, সাইবার ইউনিট গঠনসহ ছয়টি বিশেষায়িত ইউনিট, চারটি আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন, তিনটি র্যাব ব্যাটালিয়ন, দুটি রেঞ্জ, দুটি মেট্রোপলিটন পুলিশ, ৬৩টি থানা, ৯৫টি তদন্ত কেন্দ্র এবং ৩০টি ইন সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টার গঠন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, একটি নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণ দেশ গড়ার লক্ষ্যে পুলিশের মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা শক্তিশালী করতে জনবল ও বাজেট বৃদ্ধিসহ সার্বিক সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য পুলিশের প্রায় সব ইউনিটের কাঠামো সংস্কারসহ মোট ১ হাজার ৫২৯টি ক্যাডার পদসহ সর্বমোট ৮২ হাজার ৯২৭টি পদ সৃজন করা হয়।
তিনি জানান, বিশ্বায়ন ও ডিজিটালাইজেশনের এ যুগে অপরাধীরা সহজলভ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ও সর্বদা নতুন নতুন কৌশল অবলম্বন করে অপরাধকে আন্তর্জাতিক এবং আঞ্চলিক পরিসরে দ্রুত বিস্তৃত করছে। এক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক, আঞ্চলিক এবং স্থানীয় প্রযুক্তিনির্ভর অপরাধ প্রতিরোধ ও অপরাধ উদঘাটন এবং চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের এ যুগে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্পর্কিত নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার জন্য পুলিশ কার্যক্রমের প্রতিটি পর্যায়কে ডিজিটালাইজড করা হচ্ছে। শিল্পাঞ্চলে শ্রমিক, মালিক ও অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের মধ্যে শিল্প সম্পর্কিত সুসম্পর্ক বজায় রাখা, বিদেশি বিনিয়োগকারী ও কারিগরি বিশেষজ্ঞদের নিরাপত্তা বিধান করাসহ শিল্প সেক্টরে সামগ্রিকভাবে আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। এ কারণে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ ও কলকারখানার সংখ্যা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে।
একই সঙ্গে কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলসহ সব শিল্পক্ষেত্রে অধিকতর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার মাধ্যমে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টিতে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ আরও সচেষ্ট হবে এবং দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রাখবে।
শিল্প পুলিশের প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মো: মাহাবুবুর রহমান গতকাল ইনকিলাবকে বলেন, আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অুনযায়ী শিল্পাঞ্চলের সার্বিক আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ এবং কর্ম পরিবেশ রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছি। এ সেক্টরে লাখ লাখ মানুষ কাজ করেন। মালিক ও শ্রমিকদের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নেও শিল্প পুলিশ ভ’মিকা রাখছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।