পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নগরীর এনায়েতবাজারে ২২ বছর আগে দলীয় কোন্দলে খুন এক ছাত্রলীগ নেতার শোকসভা আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে পণ্ড হয়ে গেছে। গতকাল সোমবার বিকেলে নগরীর নন্দনকানন এক নম্ব রগলিতে এ শোকসভার আয়োজন করে স্থানীয় আওয়ামী লীগ। এতে নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন উপস্থিত থাকার কথা ছিল। আয়োজকরা এ ঘটনার জন্য যুবলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা হেলাল আকবর চৌধুরী বাবরের অনুসারীদের দায়ী করেছেন। সংঘর্ষে গুরুতর আহত হয়েছেন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা মোহাম্মদ ইদ্রিস (৫৫)। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ২০০০ সালে নগরীর রেয়াজুদ্দিন বাজারে ওমর গণি এমইএস কলেজ ছাত্রলীগ নেতা ও ছাত্র সংসদের সদস্য নুর আহমেদ রাসেলকে দলীয় কোন্দলের জেরে গুলি করে হত্যা করা হয়। তার ২২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এনায়েতবাজার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের উদ্যোগে শোকসভা, দোয়া মাহফিল ও এতিমদের খাবার বিতরণের আয়োজন করা হয়েছিল।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে অতিথি হিসেবে নগর আওয়ামী লীগের সাবেক কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য জামশেদুল আলম চৌধুরী ও কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সদস্য মোহাম্মদ ইদ্রিস সভাস্থলে আসেন। প্রধান অতিথি সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন তখনও পৌঁছাননি। এ সময় নন্দনকানন এলাকার একদল তরুণ-যুবক সেখানে গিয়ে মঞ্চের ব্যানার খুলে ফেলে। মঞ্চ থেকে অতিথিদের জন্য রাখা চেয়ার ফেলে দেয়। দর্শক সারিতে রাখা চেয়ার-মাইক খুলে ভাঙচুর করে। এতিমদের বিতরণের জন্য রাখা প্রায় ৩০০ প্যাকেট রান্না করা খাবার রাস্তায় ফেলে নষ্ট করা হয়। মোহাম্মদ ইদ্রিস বাধা দিতে গেলে তাকে প্লাস্টিকের চেয়ার দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়। এতে ইদ্রিসের মাথা ফেটে রক্ত ঝরতে থাকে। আয়োজকরা প্রতিরোধ করার চেষ্টা করলেও তাদের ঠেকাতে ব্যর্থ হন। আওয়ামী লীগ নেতা জামশেদুল আলম চৌধুরী ‘অপমানবোধ’ করে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। হামলাকারীরাও চলে যায়।
হামলার খবর পেয়ে আ জ ম নাছির উদ্দীন আর সেখানে যাননি। পণ্ড হয়ে যায় শোকসভার সব আয়োজন। দলীয় সূত্র জানায়, আ জ ম নাছির গ্রুপের সাথে শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল গ্রুপের বিরোধ দীর্ঘদিনের। এ বিরোধের জের ধরে এ ঘটনা ঘটেছে।
কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাহিদুল কবীর সাংবাদিকদের বলেন, একজন সাবেক ছাত্রলীগ নেতার শোকসভা ছিল। সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনকে প্রধান অতিথি করা হয়েছিল। শুনেছি, সেখানে হেলাল আকবর চৌধুরী বাবরের লোকজন গিয়ে কয়েকটা চেয়ার ভাঙচুর করেছেন। এ ঘটনার পর সাবেক মেয়র আর সেখানে যাননি। স্থানীয় কাউন্সিলর হিসেবে সলিমুল্লাহ বাচ্চু উভয়পক্ষকে ডেকে বৈঠক করে সমাধান করবেন বলে আমাদের জানিয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।