পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের হাতেই ইসলাম নিরাপদ বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী উপলক্ষে আঞ্জুমানে রাহমানিয়া মইনীয়া মাইজভাণ্ডারী নামে একটি সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত এক সমাবেশের তিনি এ মন্তব্য করেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশে একমাত্র শেখ হাসিনা সরকারের হাতেই ইসলাম নিরাপদ। অতীতে আর কোনো সরকারের হাতে ইসলাম এতোটা নিরাপদ ছিল না।
যারা গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁ ও কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় ঈদ জামাতে হামলা চালিয়েছিল তারা আর যাই হোক, মুসলিম হতে পারে না বলেও মন্তব্য করেন সেতুমন্ত্রী।
শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেন, ‘মুসলমানদের সম্পদ কুক্ষিগত করার জন্য বিশ্বব্যাপী গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। সমগ্র মুসলিম রাষ্ট্রগুলোতে সুপরিকল্পিতভাবে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। আফগানিস্তান, সিরিয়া, ইরাকসহ মুসলিম রাষ্ট্রগুলোকে ধ্বংস করে দেওয়া হচ্ছে। পাকিস্তান জঙ্গিবাদের আখড়ায় পরিণত হয়েছে। যাদের দাসত্ব থেকে আমরা মুক্ত হয়েছি তাদের গোলামি করার জন্য আমাদের দেশেরই একটি চক্র নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছে। এসব ষড়যন্ত্র রুখতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ পবিত্র কুরআনে সব সমস্যার সমাধান আছে। এখন পর্যন্ত দেশে কুরআন-সুন্নাহবিরোধী কোনো আইন পাস হয়নি।’
তিনি বলেন, আপাতদৃষ্টিতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণে থাকলেও ভেতরে-ভেতরে তারা আক্রমণের প্রস্তুতি নিচ্ছে। সেজন্য জঙ্গিবাদ নির্মূলে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান মন্ত্রী।
তিনি বলেন, কোনোভাবেই জঙ্গিবাদকে প্রতিষ্ঠিত হতে দেওয়া যাবে না। এজন্য সবাইকে এক হয়ে এদের মোকাবেলা, প্রতিহত ও প্রতিরোধ করতে হবে।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, ‘ইসলাম ধর্মের অপব্যাখ্যা দিয়ে একটি গোষ্ঠী বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসবাদ সৃষ্টি করেছে। ইসলাম প্রতিষ্ঠার নামে মানুষ হত্যা করছে। তাদের প্রকৃত মুখোশ উদঘাটনে আলেমদের ভূমিকা রাখতে হবে। আপনাদের প্রকৃত দায়িত্ব মানুষদের সঠিক পথের সন্ধান দেওয়া। অন্ধকার থেকে মানুষদের আলোর পথে নিয়ে আসা।’
মহাসমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান, ভারত থেকে আসা অতিথি মো. আব্বাস নিয়াজী, আব্দুল সামি বাবরী, ইন্দোনেশিয়া থেকে আসা ড. মো. ইউনুস, মালয়েশিয়া থেকে আসা শেখ ইসমাইল বিল ভিপি কাশিম, মরক্কো থেকে আসা আজিজ ইদ্রিস আল কোবাইতি, সিঙ্গাপুর থেকে আসা লিয়াকত আলী বিন মো. ওমার, তিউনিশিয়া থেকে আসা ড. খালেদ ছউকেত, সাজিদ ছারিফ প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।