পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় পরিবেশ আইন না মেনে রাতের আঁধারে দেদারছে চলছে পাহাড় কাটার মহোৎসব। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দীঘিনালার ছোটমেরুং ১৬ নম্বর মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় পাহাড় কেটে সাবাড় করছেন নুরুল কবির প্রকাশ ভুট্টো নামের এক ব্যক্তি। গত চার-পাঁচ দিন যাবৎ বুলডোজার দিয়ে পুরো পাহাড়ের উপরিভাগ কয়েকটি লেয়ারে কাটা হয়েছে। পাহাড়ে কোথাও সবুজের চিহ্ন মাত্রও নেই। ইতোমধ্যে কয়েক লক্ষ ঘনফুট মাটি কেটে সাবাড় করে দেয়া হয়েছে। এতে তদারকি করছেন নুরুল কবির নিজেই। তিনি বলেন, খামারবাড়ি নির্মাণের জন্য পাহাড় কাটছি।
স্থানীয়দের অভিযোগ, শুধু ১৬ নম্বর মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় পাহাড় কাটছে এমনটা নয় বরং বেশ কয়েকটি পাহাড়ের মাটি কেটে অনেক পাহাড় দেউলিয়া করে দিয়েছে পাহাড়খেকো সিন্ডিকেট। অভিযুক্তদের সাথে স্থানীয় আরো বড় বড় রাঘব বোয়ালদের সম্পৃক্ততা আছে বলেও জানান স্থানীয়রা। সচেতন মহলের দাবি সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই প্রতিবছর এ এলাকায় পাহাড় উজার করছে একটি চক্র। অভিযোগ রয়েছে, পাহাড় কেটে মাটি ট্রলিতে পরিবহন করে অন্যত্র বিক্রিও করা হয়।
দীঘিনালা পরিবেশ সুরক্ষা আন্দোলনের সভাপতি জাকির হোসেন জানান, অপরিকল্পিতভাবে পাহাড় কাটার কারণে পাহাড়ি এলাকায় বর্ষায় বড় ধরনের বিপর্যয় নেমে আসে। অবিলম্বে পাহাড় খেকোদের অপতৎপরতা বন্ধ করা না গেলে ভয়াবহ পাহাড় ধসের আশঙ্কা রয়েছে। এবিষয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন। এই ব্যাপারে দীঘিনালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আরাফাতুল আলম জানান, রাতের আঁধারে কেউ পাহাড় কেটে থাকলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।