পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশে মাছের প্রজনন বাড়ানোর লক্ষ্যে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে নতুন স্বপ্ন নিয়ে মধ্যরাত থেকে মাছ ধরতে সাগরে যাচ্ছেন নোয়াখালী, বরিশাল ও পটুয়াখালীসহ দক্ষিণ উপকূলের মৎস্যজীবীরা। এজন্য আগে থেকেইে ট্রলার মেরামত, নতুন জাল তৈরি ও পুরনো জাল সেলাইসহ সমুদ্রে মাছ ধরার সব কাজ সম্পন্ন করেছেন তারা। জেলেদের আশা সাগরে এবার তাদের জালে প্রচুর পরিমাণে ইলিশ ধরা পড়বে। আমাদের সংবাদদাতাদের পাঠানো তথ্যে প্রতিবেদন।
নোয়াখালী ব্যুরো জানায়, নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়া। এখানে অর্ধ লক্ষাধিক জেলের বসবাস। যাদের জীবিকা একমাত্র মৎস শিকার। গত ৬ অক্টোবর থেকে ইলিশের প্রজনন মৌসুমে মাছ শিকারে সরকারিভাবে আসে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা। এতে অলস সময় পার করেছেন তারা। এসময় সাগরে ইলিশ আহরণ, ক্রয়-বিক্রি ও পরিবহন বন্ধ ছিলো। অবশেষে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে সাগরে মাছ শিকারে যাচ্ছে হাতিয়ার জেলেরা। এতে জেলে পরিবারগুলোতে বইছে খুশির বন্যা।
জেলেরা জানান, নিষেধাজ্ঞার পর তাদের জালে ঝাঁকে ঝাঁকে রূপালি ইলিশ ধরা পড়বে এমনটাই আশা করছে সবাই। এ মৌসুমের শেষ সময়টা ভালো মাছ পেয়ে ধার-দেনা শোধ করার স্বপ্নও দেখছে জেলেরা।
বরিশাল ব্যুরো জানায়, নির্বিঘ্ন প্রজনন নিশ্চিত করতে ২২ দিনের ইলিশ আহরণ, পরিবহন ও বিপণনে নিষেধাজ্ঞা উঠে গল গতকাল শুক্রবার মধ্যরাতে। গত ৬ অক্টোবর থেকে ২৮ অক্টোবর মধ্যরাত পর্যন্ত ২২ দিন মূল প্রজনন এলকায় সব ধরণের মৎস্য আহরণসহ সারা দেশেই ইলিশ আহরণ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ছিল।
২২ দিনের এ নিষেধাজ্ঞার সময় দক্ষিণাঞ্চলের জেলে পল্লীগুলোতে নিস্তদ্ধতা নেমে এলেও গত কয়েক দিন ধরে বেকার জেলেদের মধ্য আবার প্রাণস্পন্দন লক্ষ্য করা গেছে। আড়তসহ মাছের মোকামগুলোও আবার জেগে উঠেছে। এবারো ইলিশ আহরণে নির্ভরশীল জেলেদের খাদ্য নিরাপত্তায় সরকার ১৩ হাজার ৮৭২ টন চাল বিনামূল্যে বিতরণ করেছে। দেশের ৩৭টি জেলার ১৫৫টি উপজেলার ৫ লাখ ৫৪ হাজার ৮৮৭ জেলে পরিবারকে ২৫ কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়েছে। এরমধ্যে শুধু বরিশাল বিভাগের ৬ জেলার ৪১টি উপজেলার ৩ লাখ ৬ হাজার ১২০ জেলে পরিবারের মাধ্যে ৯ হাজার ১৮২ টন চাল বিতরণ করা হয়েছে। দেশে উৎপাদিত ইলিশের ৬৮-৭০ ভাগই দক্ষিণাঞ্চলের অভ্যন্তরীণ নদ-নদী ও উপকূলীয় এলাকায় আহরিত হচ্ছে।
কলাপাড়া (পটুয়াখালী) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, দেশে মাছের প্রজনন বাড়ানোর জন্য গত ৬ অক্টোবর থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে সরকার। সরকারী এ নিষেধাজ্ঞা শেষ গতকাল শুক্রবার রাত ১২টার পর মৎস্য শিকারিরা নামছে ইলিশের সন্ধানে, ইলিশ শিকার করে ঋণের বোঝা দূর করবে এ স্বপ্ন নিয়ে ২৯ অক্টোবর শনিবার মধ্যোরাত থেকে আবারো নতুন স্বপ্ন নিয়ে মাছ ধরতে সাগরে যাবেন দক্ষিন উপকূলের জেলেরা। সারা দেশে টানা ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে গভীর সমুদ্রে মাছ শিকারে যাওয়ার প্রস্তুত কুয়াকাটাসহ মহিপুর, আলিপুর গঙ্গামতি জেলেরা। এজন্য ট্রলার মেরামত, নতুন জাল তৈরি ও পুরনো জাল সেলাইসহ সমুদ্রে মাছ ধরার সব কাজ শেষ করেছেন তারা।
মহিপুর মৎস্য বন্দরের একাধিক জেলেরা জানান, ইলিশের ভরা মৌসুমে তেমন মাছ না পেয়ে উপকূলের জেলেরা অনেকেই ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েন। তারপরও আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে মাছ শিকার থেকে বিরত ছিলেন তারা। অবরোধ শেষে সমুদ্রে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়লে দেনা পরিশোধ করতে পারবেন তারা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।