পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, পড়াশোনা শুধু ডিগ্রি আর সার্টিফিকেট এর জন্য নয়, এটি হতে হবে একজন মানুষকে তৈরি করে দেয়ার জন্য। যাতে সে দক্ষ ও যোগ্য মানুষ হিসেবে তৈরি হয়ে নিজের জীবনে এবং দেশের জন্য অবদান রাখতে পারে। জাতীয় বিশ^বিদ্যালয় ঠিক সেরকম মানুষ তৈরির জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। গতকাল শুক্রবার কক্সবাজারে ‘পর্যটন শিল্পের সঙ্গে শিক্ষা ও শিল্প প্রতিষ্ঠানের যোগসূত্র বৃদ্ধি’ বিষয়ক দুইদিনব্যাপী কর্মশালার সমাপনী দিনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী। আর্মি ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট রেস্ট হাউজের একটি হোটেলের সম্মেলন কক্ষে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়। ‘এনহ্যান্সিং অ্যাকাডেমিয়া-ইন্ডাস্ট্রি লিংকেজ ইন ট্যুরিজম অ্যান্ড বুক লন্সিং’ শীর্ষক কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় বিশ^বিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান।
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি আরও বলেন, আমাদের দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এ দেশে দেখবার এবং দেখাবার অনেক কিছু আছে। আমরা কতটা গুছিয়ে, কতটা সবার কাছে আকর্ষণীয় করে দেখাতে পারবো সেই জন্যই ট্যুরিজম অ্যান্ড হস্পিটালিটি ম্যানেজমেন্টে আমাদের দক্ষতা বৃদ্ধি করা দরকার। আমাদের অনেক ঐতিহাসিক জায়গা আছে, অনেক প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন আছে। সেগুলোকে আরও গুছিয়ে আকর্ষণীয় করে উপস্থাপন খুবই জরুরি। পৃথিবীর বহু দেশ আছে, যেখানে হয়তো অনেকেই গেছেন। খুবই ছোট, তেমন সিগনিফিক্যান্ট কিছু হয়তো নেই। কিন্তু সেটিকে এমনভাবে সবার কাছে প্রেজেন্ট করা হয় পর্যটকরা হুমরি খেয়ে পড়ে। আমরা কেমন করে উপস্থাপন করছি সেটি গুরুত্বপূর্ণ। আজকে যারা ট্যুরিজম অ্যান্ড হস্পিটালিটি ম্যানেজমেন্ট পড়ছে সেটা জীবন-জীবিকার জন্য কতটা কাজে লাগবে, তার চেয়েও এটিতে দেশের অর্থনীতিতে বড় প্রভাব রয়েছে। আমাদের ট্যুরিজম যতবেশি উন্নত হবে, অর্থনীতিতে এর ইতিবাচক প্রভাব ততবেশি পড়বে। দেশ উন্নত হবে। যতবেশি পর্যটক আসবে, দুনিয়ার মানুষ ততবেশি বাংলাদেশকে জানতে পারবে। আমাদের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি ও কর্মসংস্থান বাড়বে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ট্যুরিজম অ্যান্ড হস্পিটালিটি ম্যানেজমেন্ট এর উপরে জাতীয় বিশ^বিদ্যালয় নতুন টেক্সট বই রচনা করেছে, সে উদ্যোগ এই সেক্টরকে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে একধাপ এগিয়ে নেবে। একইসঙ্গে জাতীয় বিশ^বিদ্যালয় দেশের উচ্চশিক্ষার ৭০ ভাগ শিক্ষার্থীকে পড়িয়ে থাকে। সেই ৭০ ভাগ শিক্ষার্থীর মান বাড়ানোর ব্যাপারে জাতীয় বিশ^বিদ্যালয় নিরন্তর প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। এজন্য আমি তাদের ধন্যবাদ জানাই। আজকের অনুষ্ঠানটি ৭০ জনকে নিয়ে শুধু কোনো কর্মশালা নয়, এর গুরুত্ব অনেক বেশি। এই কর্মশালার মাধ্যমে দেশব্যাপী পর্যটন শিল্পের সচেতনতা ও পর্যটন শিক্ষা বিকাশে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে।
ওয়ার্কশপে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় বিশ^বিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রের ডিন প্রফেসর মোহাম্মদ বিন কাশেম, স্নাতকপূর্ব শিক্ষা বিষয়ক স্কুলের ডিন প্রফেসর ড. মো. নাসির উদ্দিন, কারিকুলাম উন্নয়ন ও মূল্যায়ন কেন্দ্রের ডিন প্রফেসর ড. মনিরুজ্জামান, বিশ^বিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মোল্লা মাহফুজ আল-হোসেন, প্রকাশনা ও বিপণন দফতরের পরিচালক আবদুল মালেক সরকারসহ বিভিন্ন কলেজের প্রিন্সিপাল ও শিক্ষকবৃন্দ। ওয়ার্কশপে ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট নিয়ে তিনটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন শিক্ষামন্ত্রী।
উখিয়া ক্যাম্পে জসিম হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার ৫
উখিয়া (কক্সবাজার) উপজেলা সংবাদদাতা : কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মো. জসিমকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় এজাহার নামীয় ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে ৮ এপিবিএনের সদস্যরা।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, ৯ নম্বর ক্যাম্পের ১/এফ ব্লকের নজির আহম্মদের ছেলে মো. একরাম উল্লাহ, ১০ নম্বর ক্যাম্পের ৩১/এফ ব্লকের মৃত আনু মিয়ার ছেলে মো. শাকের, একই ক্যাম্পের কালা হোসেনের ছেলে মোহাম্মদ জাবের, শেখ আহম্মদের ছেলে নুরুল আমিন ও হামিদ হোসেনের ছেলে আমির হোসেন।
গতকাল শুক্রবার বিকালে ৮ এপিবিএনের সহকারী পুলিশ সুপার (অপস্ এন্ড মিডিয়া) মো. ফারুক আহমেদ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, ক্যাম্প এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা ও জসিম হত্যাকাণ্ডের জড়িতদের গ্রেফতারে জোর তৎপরতা শুরু করে ৮ এপিবিএন।
এরই প্রেক্ষিতে গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৭টা থেকে রাত ১২ পর্যন্ত ক্যাম্প ৯ ও ১০ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে এজাহারনামীয় ৫ আসামিকে গ্রেফতার করে পানবাজার পুলিশ ক্যাম্প। আটককৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে উখিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।