Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

হাসপাতালে জীবিত রোগী থানায় হত্যা মামলা

মডেল থানার কান্ড

| প্রকাশের সময় : ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার, নরসিংদী থেকে : হাসপাতালের বেডে জীবন্ত রোগী রেখে থানায় হত্যা মামলা দায়েরের এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে। মামলাটি দায়ের করেছে ওমর ফারুক নামে এক ব্যক্তি। বিনা তদন্তে মামলাটি গ্রহণ করেছেন নরসিংদী সদর মডেল থানার ওসি গোলাম মোস্তফা। এই মডেল ঘটনাটি ঘটেছে নরসিংদী সদর উপজেলার দক্ষিণ শিলমান্দী গ্রামে। চাঞ্চল্যকর এ মামলা নিয়ে নরসিংদীতে চলছে
ব্যাপক তোলপাড়। বিষয়টি টক অব দা টাউনে পরিণত হয়েছে।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নরসিংদী সদর উপজেলার দক্ষিণ শিলমান্দী গ্রামের জাকির হোসেন ও ওমর ফারুক গংদের মধ্যে জমি সংক্রান্ত বিরোধ ছিল। এ নিয়ে গত ৯ ডিসেম্বর সকালে দুই পক্ষের প্রথমে কথা কাটাকাটি হয়। পরে বেলা ১২টায় মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এতে দুই পক্ষের লোকজনই আহত হয়। এ ঘটনায় পর তাদের মা মমতাজ বেগমকে (৫০) গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথম নরসিংদী সদর হাসপাতাল ও পরে ঢাকার এ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে ওমর ফারুক নরসিংদী সদর মডেল থানায় গিয়ে ছানাউল্লাহ নামে স্থানীয় এক দালালের মাধ্যমে তার মাকে হত্যা করা হয়েছে মর্মে একটি এজাহার দাখিল করে। নরসিংদী সদর মডেল থানার ওসি একই দিন রাত ১১টা ৩৫ মিনিটে বিনা তদন্তে মামলাটি রুজু করেন। মামলা নং ১৫ (১২) ২০১৬।
মামলা তদন্তের দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম সাংবাদিকদেরকে জানান, যাকে মৃত বলে অভিযোগটি দায়ের করা হয়ে ছিল সেই মমতাজ বেগম বর্তমানে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি ইউনিটে ভর্তি রয়েছেন। প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার উদ্দেশ্যে মমতাজ বেগমের পুত্র ওমর ফারুক সরকার স্থানীয় দালাল সানাউল্লাহর মাধ্যমে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে ভুল বুঝিয়ে মামলাটি রুজু করিয়েছে।
এ ব্যাপারে নরসিংদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। মমতাজ বেগম জীবিত বলে তিনি জানতে পেরেছেন বলে জানান। তবে তিনি দেখতে যাননি। এ ব্যাপারে যে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেছে তার বিরুদ্ধে ২১১ ধারায় মামলা দায়ের করা হবে বলে জানান তিনি ।
নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) হাসিবুল ইসলাম সাংবাদিকদেরকে জানান, মিথ্যা মামলা রুজুর বিষয়টি আমি শুনেছি। তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। মিথ্যা মামলা রুজুর সঙ্গে জড়িতদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ