Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সরকার রিজার্ভের টাকা গিলে ফেলেছে : যুব সমাবেশে মির্জা ফখরুল

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৯ অক্টোবর, ২০২২, ১২:০০ এএম

পায়রা বন্দর নির্মাণে বৈদেশিক মুদ্রার তহবিল (রিজার্ভ) থেকে অর্থ বিনিয়োগের বৈধ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, দেশের যে অর্থনৈতিক সংকট সৃষ্টি হয়েছে তার মূলে হচ্ছে সরকারের দুর্নীতি। এমন চুরি করেছে প্রতিটি ক্ষেত্রে যে, এই ১৪ বছরে অর্থনীতিকে ধবংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে।

পায়রা বন্দর উদ্বোধন করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলছেন যে, আমাদের বিরোধীরা অর্থ্যাৎ বিএনপি বলে যে, রিজার্ভের টাকা কোথায় গেলো? অবশ্যই আমরা জিজ্ঞাসা করতে চাই যে, রিজার্ভের টাকা কোথায় গেলো? তিনি উত্তর দিয়েছেন রিজার্ভের টাকা কী চিবিয়ে খায়? চিবিয়ে তো খাননি, গিলে ফেলেছেন। রিজার্ভের টাকা আপনারা গিলে ফেলেছেন। বলেছেন যে, পায়রা বন্দরে খরচ করা হয়েছে। পায়রা বন্দরে খরচ করার জন্য রিজার্ভের টাকা না। গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয়তাবাদী যুবদলের ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে যুব সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। সমাবেশে ঢাকাসহ পাশপাশের জেলাগুলো থেকে হাজার হাজার নেতা-কর্মী অংশ নেয়। যুব সমাবেশে মঞ্চে প্রধান অতিথি বিএনপি মহাসচিবের পাশে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ছবি রেখে দুই চেয়ার খালি রাখা হয়।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল বলেন, রিজার্ভের টাকা হচ্ছে আপনি যখন বাইর থেকে যেসমস্ত পণ্য আমদানি করবেন সেই টাকা ডলারে পরিশোধ করবেন। রিজার্ভের টাকা হচ্ছে দেশে যখন অর্থনৈতিক ক্রাসিস দেখা দেবে তখন আপনি এখান থেকে তার ব্যবস্থা করবেন। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই পায়রা বন্দর কার্যকর হতে পারে না। কারণ? যে নাব্যতা দরকার তার এখানে জাহাজ ভেতরে আসার জন্যে যে পানির দরকার, সেই গভীরতা সেখানে নেই। সেখানে কী করেছেন সুপার ড্রেজার লাগিয়েছেন। এই সুপার ড্রেজারের জন্য আরো সাড়ে ৬ হাজার কোটি টাকা খরচ করে সেখানে আবার চুরির ব্যবস্থা করে আপনারা সেখানে সুপার ড্রেজার লাগিয়েছেন।

সমাবেশ বন্ধে পরিবহন ধর্মঘট কাপুরুষের আচরণ উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা তিনটা সমাবেশ করাতেই আপনাদের এতো কম্পন শুরু হয়েছে, এতো কাপাকাপি শুরু হয়েছে যে, আপনারা ওই সমাবেশগুলো বন্ধ করার জন্যে আপনারা সমস্ত বাসসহ পরিবহন ধর্মঘট করাচ্ছেন। লজ্জা করে না আপনাদের। কী কাপুরুষ আপনারা? যে বিরোধী দলের শান্তিপূর্ণ সমাবেশকে বন্ধ করার জন্য আপনারা আপনাদের পেটুয়া সেই সমস্ত ইউনিয়নকে দিয়ে ধর্মঘট ডাকাচ্ছেন। চট্টগ্রামে ধর্মঘট দিয়েছে, ময়মনসিংহে ধর্মঘট দিয়েছে, খুলনায় ধর্মঘট দিয়েছে। কিন্তু সেই ধর্মঘট দিয়ে কী এই গণতন্ত্রকামী মানুষকে আটকিয়ে রাখতে পেরেছে? পারেনি। তারা পায়ে হেটে বিভিন্ন ভাবে তাদের যে দাবি সেই দাবি জানাতে তারা সেই সমাবেশগুলোতে উপস্থিত হয়েছে।

তিনি বলেন, বরিশালে ৫দিন আগে ধর্মঘট ডেকেছে। কারণ যেনো সমাবেশকে পন্ড করা যায়। রংপুরে ধর্মঘট দিয়েছে বাস শ্রমিকদের দিয়ে। কারণ রংপুরের সমাবেশকে যেন বন্ধ করা যায়।
মির্জা ফখরুল বাস মালিক-শ্রমিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা সবসময় জনগণের সেবা করেন, জনগণের সঙ্গে বরাবরই ছিলেন। আজকে চালের দাম ১০ টাকা থেকে ৯০ টাকা হয়েছে, ডালের দাম বেড়েছে, ডিমের দাম বেড়েছে, চিনির দাম বেড়েছে। আপনারা আপনাদের বাচ্চাদের একটা ডিম পর্যন্ত দিতে পারেন না। তাহলে কার ইঙ্গিতে কাদেরকে সহায়তা করতে আপনারা এই কাজটা করবেন না। জনগণের সঙ্গে থাকুন, জনগণের ভোগান্তি করবেন না।

চলমান আন্দোলনে যুবদলের মুন্সিগঞ্জের শহিদুল ইসলাম শাওন, নারায়ণগঞ্জের শাওন প্রধানের আত্মত্যাগসহ নেতা-কর্মীদের ওপর নির্যাতনের ঘটনার তুলে ধরে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এই আওয়ামী লীগ সরকার তারা আজকে আমাদেরকে গুলি করে দমন করতে চায়, তারা আজকে আমাদেরকে অত্যাচার করে নির্যাতন করে দমন করতে চায়। এদেশের মানুষরা তা করতে দেবে না, এদেশের যুবকরা তা করতে দেবে না।

এদেশে কোনো নির্বাচন ব্যবস্থা নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশে কোনো নির্বাচন নেই। নির্বাচনী ব্যবস্থাটাই আওয়ামী লীগ ধবংস করে দিয়েছে। একটা নির্বাচন কমিশন করেছে যাকে ডিসি-এসপিরাই মানে না এবং তারা নির্বাচন করতে পারে না। সুতরাং নির্বাচনের প্রশ্নই উঠতে পারে না। আমরা খুব পরিস্কারভাবে বলেছি যে, সবার আগে শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করতে হবে, তার সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে, সংসদ বিলুপ্ত করে দিতে হবে এবং একটা তত্ত¡াবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। পরিস্কার কথা যে, নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা না দিলে এখানে কোনো নির্বাচন হবে না। নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। সেই কমিশনের মাধ্যমে তখন আবার নতুন করে এদেশের মানুষ তারা তাদের ভোটের অধিকার প্রয়োগ করবে, তারা তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করবে।

মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের সামনে এখন অনেক কঠিন সময়, অনেক পরীক্ষা, যুদ্ধ। মঞ্চে যে চেয়ারটা খালি রাখা হয়েছে সেটা আমাদের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জন্য, আরেকটা চেয়ার খালি রাখা হয়েছে আমাদের ভারপ্রাপ্ত তারেক রহমানের জন্য। আমাদের নেত্রী তার সারাটা জীবন লড়াই-সংগ্রাম করেছেন গণতন্ত্রের জন্য। এখনো অসুস্থ শরীর নিয়ে তিনি গৃহে বন্দি হয়ে আছেন। আমাদের নেতাকে মিথ্যা মামলায় দিয়ে বিদেশে নির্বাসিত করে রাখা হয়েছে। ৩৫ লাখ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা, অসংখ্য নেতা-কর্মীকে খুন করেছে, গুম করেছে।
‘খেলা হবে’- আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-নেতাদের এহেন বক্তব্যের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, বলে কি খেলা হবে। কিসের খেলা হবে? খেলেছো তো ১৮ কোটি মানুষের ভাগ্য নিয়ে, এদেশের মানুষের যুবকদের নিয়ে, ছাত্রদের নিয়ে, নারীদের নিয়ে খেলেছো। এভাবে খেলা হয় না। খেলা যখন হয় তখন লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড থাকে। খেলা তখনই হবে যখন সরকার থেকে তোমরা পদত্যাগ করবে, নির্বাচনকালীন সময়ে তত্ত¡াবধায়ক সরকার দায়িত্ব নেবে তখনই সেই নির্বাচনে খেলা হবে। কোনো খেলা হতে দেয়া হবে না। এদেশে মানুষ কখনোই সেটা হতে দেবে না।

যুব দলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মোনায়েম মুন্না, যুগ্ম সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টনের সঞ্চালনায় যুব সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমান, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, যুব দলের সাবেক নেতা আবদুস সালাম আজাদ, সাইফুল আলম নিরব, মীর আলী নেওয়াজ, মোরতাজুল করীম বাদরু, মহানগর বিএনপির রফিকুল আলম মজনু, আমিনুল হক, যুব দলের মামুন হাসান, কামরুজ্জামান দুলাল, নুরুল ইসলাম নয়ন, গোলাম মওলা শাহিন, ইছহাক সরকার প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।

এরআগে সকালে সকালে নেতা-কর্মীদের নিয়ে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী শেরে বাংলা নগরে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কবরে পুস্পমাল্য অর্পন করে শ্রদ্ধা জানান।

বগুড়া ব্যুরো জানায়, বগুড়া দিবসটি উপলক্ষে গতকাল নবাবববাড়ি দলীয় কার্যলয়ে চেয়ারপার্সন উপদেষ্টা এ্যাড. একেএম মাহবুবর রহমান বলেন, স্বৈরাচারী নিশিরাতের সরকারকে হটানো এখন সময়ের দাবি। কারণ দেশের যুব সমাজের পাশাপাশি সাধারণ মানুষ আজ সরকারে বিরুদ্ধে জেগে উঠেছে। জেলা যুবদলের আহবায়ক খাদেমুল ইসলাম খাদেমের সভাপতিত্বে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন, মোশাররফ হোসেন এমপি বগুড়া-৫।

বরিশাল ব্যুরো জানায়, এ উপলক্ষে বরিশাল মহানগরীতে দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলা যুবদল এক বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের হয়। সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী এতে অংশ নিয়ে অবিলম্বে বেগম জিয়ার মুক্তি দাবি আগামী ৫ নভেম্বর বরিশাল বিভাগীয় মহাসমাবেশে যোগদানের আহবান জানানো হয়।

যশোর ব্যুরো জানায়, দিনটিকে ঘিরে যশোরে যুব সমাবেশ করেছে জেলা যুবদল। বিকালে শহরের লালদিঘি পাড়ে দলীয় কার্যালয়ে এই সমাাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক নার্গিস বেগম। সমাবেশে বক্তরা বলেন, দেশের স্বাধীনতা-স্বার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সরকার পতনের দাবিতে বিএনপি মাঠের আন্দোলনে করে যাবে। জেলা যুবদলের সভাপতি এম তমাল আহমেদের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাড. সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, জেলা যুবদলের সহ সভাপতি আমিনুর রহমান মধু সহ যুবদলের নেতৃবৃন্দগণ।

স্টাফ রিপোর্টার, মাগুরা থেকে জানান, জেলা যুবদলের আয়োজনে উপলক্ষে বিক্ষোভ করেছে মাগুরা জেলা যুবদলের নেতা-কর্মীরা। বিক্ষোভে উপস্থিত ছিলেন মাগুরা জেলা যুবদলের সভাপতি করিমুল হাছান, সিনিয়র সহ-সভাপতি আমিরুল ইসলাম, জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি আব্দুর রশিদ, মাগুরা জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক গোলাম জাহিদ, সদর উপজেলা যুবদলের আহবায়ক সৈয়দ কুতুব উদ্দিন রানা সহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।

স্টাফ রিপোর্টার, মাদারীপুর থেকে জানান, মাদারীপুরের নানান আয়োজনের মধ্য দিয়ে পালন করা হয়েছে দিনটি। এ উপলক্ষে গতকাল সকালে মাদারীপুর প্রেসক্লাবের সামনে থেকে একটি র‌্যালি বের হয়। পথসভায় বক্তব্য রাখেন জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মনিরুজ্জামান ফুকুর, জেলা বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম লিটু, মজিবুর রহমান হাওলাদার, সালাম মুন্সি প্রমুখ।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা জানান, চাঁপাইনবাবগঞ্জে এ উপলক্ষে জেলা শাখার আয়োজনে গতকাল বিকেলে শহরের দলীয় বিএনপির কার্যালয়ের সামনে সভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান অতিথি ছিলেন, জেলা কৃষকদলের আহবায়ক ও সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি তসিকুল ইসলাম তসি। পরে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সুস্বাস্থ্য কামনায় দোয়া করা হয়।

ঝিনাইদহ জেলা সংবাদদাতা জানান, পুলিশের বাধা পেরিয়ে ঝিনাইদহে দিবসটি পালিত হয়েছে। জেলা শাখার আয়োজনে গতকাল সকালে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সামনে থেকে র‌্যালি বের করা হয়। শহরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে মর্ডান মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাড. এম এ মজিদ, সাধারণ সম্পাদক জাহিদুজ্জামান মনা, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম পিন্টুসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন।

ঝালকাঠি জেলা সংবাদদাতা জানান, ঝালকাঠিতে শোভাযাত্রায় পুলিশের বাধার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল সকালে শহরের পশ্চিম চাঁদকাঠি এলাকা থেকে জেলা যুবদলের আহবায়ক মো. শামীম তালুকদারের নেতৃৃত্বে একটি শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি কিছুদূর গেলে পুলিশ শহরের প্রধান সড়কে প্রবশে তাদের বাধা দেয়। এ সময় নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি হয়। এক পর্যায়ে শোভাযাত্রাটি পন্ড হয়ে যায়। জেলা যুবদলের র মো. শামীম তালুকদারের সভাপতিত্বে অতিথির বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির আহবায়ক অ্যাড. মো. সৈয়দ হোসেন।

ফরিদপুর জেলা সংবদদাতা জানান, বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের মধ্য দিয়ে ফরিদপুরে দিবসটি পালন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে গতকাল বিকেলে জেলা ও মহানগর উদ্যোগে শহরের ব্র²সমাজ সড়ক থেকে আনন্দ মিছিল বের করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-সভাপতি মাহবুবুল হাসান ভুঁইয়া পিংকু। আনন্দ মিছিল শেষে, ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ করা হয়। এর আগে ফরিদপুর প্রেসক্লাব চত্বরে ফ্রি বøাড গ্রæপিং ও রক্তদান কর্মসূচি পালিত হয়।

ফুলপুর (ময়মনসিংহ) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, ফুলপুরে কেক কাটা, দোয়া, সভার মধ্যদিয়ে দিনটি পালিত হয়েছে। জেলা উত্তর যুবদলের সহ-সভাপতি উপজেলা যুবদলের সভাপতি মো. সানোয়ার হোসেন খানের সভাপতিত্বে ও উপজেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক দিদারুল ইসলাম বিপুল ফকির ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলামের সঞ্চালনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন, জেলা উত্তর বিএনপির সদস্য মো. এমদাদ হোসেন খান, ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য কুদরত আলী প্রমুখ।

নাটোর জেলা সংবাদদাতা জানান, নাটোরে এ উপলক্ষে গতকাল সকালে শহরের আলাইপুরে জেলা বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এরপর জেলা বিএনপির নেতাকর্মীদের অংশগ্রহণে বর্ণাঢ্য এক র‌্যালি বের করা হয়। সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব রহিম নেওয়াজ, বিএনপি নেতা শহিদুল ইসলাম বাচ্চু, জেলা যুবদলের সভাপতি এ. হাই তালুকদার ডালিম সহ প্রমুখ।

ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, ঈশ্বরগঞ্জে এ উপলক্ষে আনন্দ মিছিল করেছে জেলা ও উপজেলা যুবদল। গতকাল দুপুরে দলীয় কর্মসূচি শুরুর পর এক আনন্দ মিছিল বের করা হয় দিবসটি ঘিরে যুবদলের আয়োজনে পৌর সদরে এক আনন্দ মিছিল বের হয়। মিছিলের নেতৃত্বদেন ময়মনসিংহ উত্তর জেলা যুবদলের সহ সভাপতি অ্যাড. সারোয়ার জাহান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহীন ফরিদ, সদস্য আরমান শরিফ, যুবনেতা ফয়সাল আহমেদ।

নান্দাইল (ময়মনসিংহ) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, নান্দাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র এএফএম আজিজুল ইসলাম পিকুলের নেতৃত্বে চারিআনিপাড়া মেয়রের বাড়ি সংলগ্ন যুব দলের কার্যালয়ে সভা, দোয়া ও র‌্যালির মাধ্যমে দিনটি পালিত হয়।

 

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ