পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
দরপতন থেকে বেরিয়ে টানা ঊর্ধ্বমুখী ধারায় ফেরার আভাস দিচ্ছে দেশের শেয়ারবাজার। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে মূল্যসূচক বাড়ার পাশাপাশি বেড়েছে লেনদেনের গতি। এর মাধ্যমে টানা তিন কার্যদিবস ঊর্ধ্বমুখী থাকলো শেয়ারবাজার। আর পাঁচ কার্যদিবস পর আবারও হাজার কোটি টাকার বেশি লেনদেনের দেখা মিলেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সবকটি মূল্যসূচক বাড়লেও প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) যে কয়টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বেড়েছে বা কমেছে অপরিবর্তিত রয়েছে তার চেয়ে বেশি। তবে দাম কমার তুলনায় দাম বাড়ার সংখ্যা বেশি।
এর আগে সপ্তাহের প্রথম দুই কার্যদিবস শেয়ারবাজারে টানা দরপতন হয়। আর গত সোমবার লেনদেন শুরু হওয়ার ১ ঘণ্টা ২৮ মিনিটের মাথায় হঠাৎ ডিএসইতে লেনদেন বন্ধ হয়ে যায়। বন্ধ হওয়ার ৩ ঘণ্টা ১২ মিনিট পর ডিএসইতে আবার লেনদেন শুরু হয়। এ দফায় লেনদেন চলে মাত্র ২০ মিনিট। এতে সব মিলিয়ে ডিএসইতে লেনদেন হয় এক ঘণ্টা ৪৮ মিনিট। লেনদেন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পরবর্তী ডিএসইর পক্ষ থেকে দুঃখ প্রকাশ করা হয়। অবশ্য তাতে সন্তুষ্ট হয়নি নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। লেনদেন বন্ধের বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখতে ওইদিনই বিএসইসি পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করেছে। এ কমিটিকে ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। নিয়ন্ত্রক সংস্থা থেকে এমন পদক্ষেপ নেওয়ার টানা তৃতীয় দিনের মতো সূচক বাড়লো।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে শেয়ারবাজার খুলতেই ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৬ পয়েন্ট বেড়ে যায়। এরপর লেনদেনের সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বেড়েছে।
দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে ৭৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৫৯টির। আর ২১৯টির দাম অপরবর্তিত রয়েছে। এতে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৩৩ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ৩৭৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
অপর দুই সূচকের মধ্যে বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ১৬ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ২৬৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসই শরিয়াহ্ আগের দিনের তুলনায় ৯ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৪০২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
সবকটি মূল্যসূচক বাড়ার পাশাপাশি বাজারটিতে লেনদেনের পরিমাণ আগের কার্যদিবসের তুলনায় বেড়েছে। দিনভর ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৯৪ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৭৪১ কোটি ৮০ লাখ টাকা। সে হিসেবে লেনদেন বেড়েছে ২৫৩ কোটি ১৮ লাখ টাকা।
বাজারটিতে টাকার অঙ্কে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে সোনালী পেপারের শেয়ার। কোম্পানিটির ১২৬ কোটি ৪৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বেক্সিমকোর ৬৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ৫১ কোটি ৮০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ওরিয়ন ফার্মা। এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে-ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশন, সি পার্ল বিচ রিসোর্ট, সিনোবাংলা, ইস্টার্ন হাউজিং, পেপার প্রসেসিং অ্যান্ড প্যাকেজিং, বাংলাদেশ মনোস্পুল পেপার ম্যানুফ্যাকচারিং এবং কেডিএস এক্সসরিজ।
অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ১০১ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ২২ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। লেনদেন অংশ নেওয়া ২৪৪টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৫২টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৪৩টির এবং ১৪৯টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।