Inqilab Logo

বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ০১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৬ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

দরপত্র ছাড়াই আমি প্রবাসীর’ ভাগ্য খুলছে!

বিএমইটির ডিজিটালাইজেশন সার্ভিস কার্যক্রম উদ্বোধন আজ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৭ অক্টোবর, ২০২২, ৪:০৫ পিএম

আধুনিক প্রযুক্তিগত সেবা দ্রুত বিদেশগামী কর্মীদের দোরগোরায় পৌঁছে দিতে আজ বৃহস্পতিবার থেকে আলোচিত ’আমি প্রবাসী লি:’ অ্যাপসের মাধ্যমে স্মাট কার্ড সরবরাহের কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হচ্ছে। রাজধানীর একটি বিলাসবহুল হোটেলে ডিজিটালাইজেশন সার্ভিস কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ। প্রবাসী সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীনের সভাপতিত্বে এতে আমন্ত্রিত মেহমান হিসেবে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় সর্ম্পকিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ উপস্থিত থাকবেন।
এ কার্যক্রম উদ্বোধনের মাধ্যমে আমি প্রবাসী অ্যাপস বিদেশগামী কর্মীদের স্মাট কার্ড সরবরাহের এককভাবে ক্ষমতা লাভ করলো। এখন থেকে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো বিএমইটি কাগজপত্র জমা দেয়ার পর আমি প্রবাসীর কিউ আর কোর্ডের মাধ্যমে স্ব স্ব অফিসে ডাউনলোড করে স্মাট কার্ড দ্রুত সংগ্রহ করতে পারবে। তবে এজন্য প্রবাসী কর্মীদের বর্হিগমন ছাড়পত্র ফি’র অতিরিক্ত প্রায় ৭০০ টাকা পরিশোধ করতে হবে। ফলে অভিবাসন ব্যয় বেড়ে যাবে।
বিএমইটিতে প্রচুর দক্ষ জনবল ও সার্ভার কী কাজে লাগবে তা’এখনো জানানো হয়নি। এদিকে, প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রভাবশালী ব্যক্তির নিকট আত্মীয় আমি প্রবাসী অ্যাপসের নেতৃত্বে থাকায় কোনো দরপত্র আহবান ছাড়াই বর্হিগমন ছাড়পত্র ও স্মাট কার্ড সহজে সরবরাহের জন্য দায়িত্ব অর্পন করায় মন্ত্রণায় ও বিএমইটিতে চাপা অসন্তোষ বিরাজ করছে। রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা (ডাটা) এবং স্মাট কার্ড সরবরাহের একক ক্ষমতা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান আমি প্রবাসীর ওপর হস্তান্তর করায় একাধিক রিক্রুটিং এজেন্সির মালিক সার্ভার বিপর্যয়ের কারণে কার্ড সরবরাহের বিকল্প ব্যবস্থা রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। এ ব্যাপারে প্রবাসী সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীনের সাথে গতকাল বুধবার তার দপ্তরে দেখা করতে গেলে তিনি ব্যস্ততার কথা বলে দেখা দেননি।
মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানায়, প্রথমে থ্যান সিস্টেম নামের প্রতিষ্ঠানটির সাথে বিদেশগামী কর্মীদের নিবন্ধন সংক্রান্ত চুক্তি হয়েছিল। আমি প্রবাসী লি: নামের প্রতিষ্ঠানটি প্রভাবশালী ব্যক্তির ভাগ্নে নামির আহমেদের নেতৃত্বে পরিচালিত হয়। গত বছরের ৮ মে থেকে ২০ আগস্ট পর্যন্ত প্রায় আড়াই লাখ লোক এ অ্যাপসের মাধ্যমে নিবন্ধন করেছে। সেখানে প্রত্যেকের কাছ থেকে ৩০০ টাকা করে মোট ৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা নিবন্ধন ফি হিসেবে পেলেও সরকারের কোষাগারে জমা হয়েছে ৫ কোটি টাকা। বাকি ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা নিয়েছে নামিরের প্রতিষ্ঠান। চুক্তি অনুযায়ী পাঁচ বছর এ প্রতিষ্ঠানটি মোট সাড়ে ৩৭ কোটি টাকা নেবে। যদিও জেলা পর্যায়ে বিএমইটির ৪২টি ডেমো অফিস রয়েছে। সেখানেও নিবন্ধন চলছে। তবে সেখানে এখন আর খুব একটা লোকজন যাচ্ছে না। বিএমইটির উপ পরিচারক রেদওয়ানুল হক চৌধুরীর (কেনেডি) সাথে রাতে যোগাযোগ করা হলে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি প্রবাসীকে স্মার্ট কার্ড সরবরাহের জন্য কত টাকা দিতে হবে তা’ আজকের আলোচনায় নির্ধারিত হতে পারে। প্রভাবশালী ব্যক্তির নিকট আত্মীয় আমি প্রবাসীর মালিক হওয়ায় বিনা টেন্ডারেই তারা কাজ পেয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আজকের অনুষ্ঠানে আসেন আপনাদের পরামর্শ থাকলে আমরা শোনবো।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ